বাংলাদেশে রাশাদ খলীফার উম্মত
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ০৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৬:০০:১০ সকাল
বাংলাদেশে মনে হয় রাশাদ খলীফাহর উম্মতদের ভাল একটা আখড়া আছে। মুহাম্মদ (ﷺ) এর উম্মতদের ভেতর থেকে রাশাদ খলীফার উম্মত বের হচ্ছে বেশ। মুহাম্মদ (ﷺ) এর রিসালতকে নিতান্তই ডাকপিয়নের চিঠি ডেলিভারি দেয়ার দায়িত্বের সাথে তুলনাকারী হচ্ছে এই নতুন রসূলের উম্মতগণ। তারা মনে করে কুরআন শুধু সেইভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব সাইয়িদুনা মুহাম্মদকে (ﷺ) দেয়া হয়েছিল যেভাবে চিঠিটা প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ করেন ডাকপিয়ন। নবী হিসেবে এই কিতাবের অফিসিয়াল ভাষ্যকার ও শিক্ষক হিসেবে তাঁর দায়িত্বকে অস্বীকার করে এরা।
এরা নিজেদেরকে সরাসরি মুসলিমও বলে না; বলে সাবমিটার্স (submitters)। এদের একটা প্ল্যাটফর্মও আছে “ইউনাইটেড সাবমিটার্স ইন্টারন্যাশনাল” নামে। এদেরকে আপনি সহজেই চিনতে পারবেন। এরা রসূলুল্লাহর (ﷺ) গুরুত্বকে খাটো করে পোস্ট দিবে অথবা সে রকম পোস্টে সমর্থনসূচক মন্তব্য করবে। এদের আরো একটা বৈশিষ্ট হল এরা হাদীস নিয়ে উল্টা-পাল্টা পোস্ট দিবে এবং অহেতুক হাদীসের বিরোধিতা করবে।
এরা তাদের রসূল রাশাদ খলীফাহকে মানতে কিন্তু আপত্তি করে না। মুহাম্মদ (ﷺ) এর আনুগত্য করতে তাদের যত আপত্তি। তারা বলবে আল্লাহ ছাড়া আর কারো আনুগত্য করা যাবে না; কিন্তু নির্বিচারে রাশাদ খলীফার শিক্ষার অনুসরণ করে যায় তারা। তারা তাকে খোদার রসূল মনে করে। এরা বিভিন্ন বাংলা ব্লগে এবং ফেইসবুকে লিখে বিভ্রান্তি ছড়ায়। অধুনা লুপ্ত সোনার বাংলা ব্লগে ফারুক হোসেন নামে এদের একজন লিখত।
বিঃদ্রঃ রাশাদ খলীফাহ মিসরী বংশোদ্ভূত এক আমেরিকান বৈজ্ঞানিক। কুর’আনের গাণিতিক মু’জিযা নিয়ে কিতাব লিখেছে, যেখানে ১৯ নিয়ে অনেক তেলেসমাতি দেখিয়েছে। এছাড়াও সে কুর’আনের নতুন একটা অনুবাদও লিখেছে "Qur'an: the Final Testament" নামে, যা ইউনাইটেড সাবমিটারস ইন্টারন্যাশনালের কুরআন। খলীফাহ মনে করে জিবরীল (আঃ) তার কাছে এসেছিলেন এবং তাকে রিসালত দিয়ে গেছেন। আর কুর’আনের সূরা ইয়াসীনের ৩ নং আয়াত তার ব্যাপারে কথা বলেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৫ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাদিসের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ। হাদিস মানেই সিরাত নাও হতে পারে। অবশ্যই হাদিস সত্য কি না যাচাই করা উচিৎ।
অনেক ধন্যবাদ।
http://www.quranresearchbd.org/Rashad-Khalifa-messenger-of-God.htm
কিন্তু অনেকেই বিভ্রান্ত হবে।
আপনি চালনী দেখেন নাই বলেই সুইরেই ছিদ্রযুক্ত মনে হইতেছে।
লেখাপড়া করেন অনেক কিছি জানতে পারবেন।
আমি নিশ্চিত করতে বলতে পাই - আপনি ব্যাবিলনিয়ান, হিতাতাইত, ইজিপ্সিয়ান, রোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে পড়েন নাই।
পড়লে অনেক জিনিষকে bigger context এ বুঝার বুদ্ধি বিকশিত হত।
বিজ্ঞান এস্ট্রফিজিক্স পড়লে এমন বেকুবি ধারণা হত না!
কোরান-হাদিসের সমষ্টিই হল 'ইসলাম'!
এর একটিরও সামান্য বিরোধীতা করলে ব্যক্তি মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে না!
যারা শুধুই কোরান মানার কথা বলবে তারা অবশ্যই কাফের বলেই পরিগণিত হবে!
আল্লাহ এই ফেতনা থেকে মুসলিমদের হেফাজত করুন,আমিন!
জাজাকাল্লাহু খায়রা।
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/9201
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/60561#.VhT5713mjIU
জাযাকাল্লাহু খায়রা।
১৯ সংখ্যার বিষয়টা পড়েছিলাম কিন্তু রাশাদের ব্যাপারটা এখন জানলাম!শুকরিয়া
19 এর তেলেসমাতিতে তিনি মাতিয়ে ফেলেছিলেন৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে সূরা তওবার শেষ দুই আয়াতকেও অস্বীকার করেছে৷
ধন্যবাদ আপনাকেও৷
কথা বলিনি। সব সময় এড়িয়ে যেতাম।
http://www.quranresearchbd.org/Rashad-Khalifa-messenger-of-God.htm
মন্তব্য করতে লগইন করুন