হজ্জ আর আমাদের একজন ইমামুন আদিলের প্রতীক্ষা!
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫৪:১৫ বিকাল
হজ্জ ইসলামের বিরাট একটা স্তম্ভ। এটা ইসলামের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। এটা চালু করেছিলেন এই উম্মতের আধ্যাত্মিক পিতা ইবরাহীম (আলায়হিস-সালাম)। আর এটাকে পূর্নাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুহাম্মদ রসূলিল্লাহ (ﷺ)। এখান থেকেই তাঁর (ﷺ) প্রতিনিধি সম্পর্কচ্ছেদের [বারাআত] ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশরিকদের সাথে। এখান থেকেই তিনি (ﷺ) ঘোষণা করেছিলেন উম্মতের ও মানবতার কল্যাণের মহাঘোষণা, বিদায় হজ্জের ভাষণে।
তাঁর (ﷺ) পরে তার সঠিক পদাঙ্ক অনুসরণকারী খলিফাগণ (রদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং খলীফার তকমাধারী রাজা-বাদশাহরাও উম্মতের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা হিসাবে এখান থেকেই তাদের ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তির ঘোষণা দিয়েছেন বা উম্মতের জন্য তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, কখনো সরাসরি নিজেরা অথবা কখনও তাঁদের নিযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে।
কিন্তু প্রায় ১০০ বছর হতে চলল উম্মতের সেই সিম্বলিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এখন নেই। এখন হজ্জ প্রতিষ্ঠা কে করে? কোন দেশের সরকার নিযুক্ত চাকুরে একজন মুফতি এখন হজ্জের এই মহাসমাবেশে বক্তৃতা [খুতবা] দেন, অথচ তাঁর কোন ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব নেই উম্মতের উপর। আমাদের উম্মাহ একটা প্যাথেটিক অবস্থায় আছে।
পোপ ক্যাথলিক খৃষ্টানদের নেতা। একসময় তিনি সমস্ত পশ্চিমী খৃষ্টানদের নেতা ছিলেন। কিন্তু তাঁর কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে মার্টিন লুথারের বিদ্রোহের মাধ্যমে যে রিফর্মেশন আন্দোলন শুরু হয় তাতে পশ্চিম ইউরোপে খৃষ্টবাদ ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট এই দুই প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রোটেস্ট্যান্টরা আবার অসংখ্য ভাগে বিভক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা ছিল প্রোটেষ্ট্যান্ট। আমেরিকাতে এখনও প্রোটেষ্ট্যান্টরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু এই আমেরিকাতেও পোপ ফ্রান্সিসের আগমনে বিরাট সাড়া পড়ে গিয়েছে। আজ নিউ ইয়র্ক সিটি ও নিউ জার্সির পুরো ট্রানজিট সিস্টেম এর অবস্থা পোপের জন্য পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে। এখানকার অবস্থা দেখলে মনে হবে পোপ আসলে সমস্ত খৃষ্টানদের নেতা। "হিজ হোলিনেস(!)" এর আগমনে উচ্চসিত সমস্ত মিডিয়া। চারিদিকে সাজ সাজ রব্ব আর নানা আয়োজন। পোপের কথাকে প্রোটেষ্ট্যান্টরাও গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করছে।
আফসোস আমাদের কোন কেন্দ্রীয় ইমাম নেই। ক্ষমতালোভী স্বার্থান্বেষী কিছু ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করে আছে উম্মতের বিভিন্ন খণ্ডিতাংশের। উম্মতের স্বার্থে কাজ করার তাদের কোন ইচ্ছা বা উদ্যোগ কিছুই নেই। আমরা অপেক্ষা করেই আছি। হে আল্লাহ আমাদের জন্য তুমি একজন কল্যাণাকাংখী ইমাম প্রেরণ কর!
বিষয়: বিবিধ
১১০৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোরাণে উল্লেখ আছে- বদর যুদ্ধে তোমরা যে পাথর নিক্ষেপ করেছ, তা আসলে আল্লা তার ফেরেস্তা দিয়ে করিয়েছেন। অথচ আজকাল আল্লা কিছুই করতে পারেন্না। তবে মুমিনের ঈমানী পরীক্ষা তিনি অনবরতই করেন। এমন কি কাবাঘরে 'লাব্বায়েক' ধ্বনি দেয়া মুমিনদের পিষ্ট করে ইমান পরীক্ষা করেন। কিন্তু ইহুদী দমন করতে পারেন্না। অবাক কান্ড??!!??
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্র এত নিক । ব্যাংকের টেইলর না।
জাযাকাল্লাহু খায়র।
কোরাণে উল্লেখ আছে- বদর যুদ্ধে তোমরা যে পাথর নিক্ষেপ করেছ, তা আসলে আল্লা তার ফেরেস্তা দিয়ে করিয়েছেন। অথচ আজকাল আল্লা কিছুই করতে পারেন্না। তবে মুমিনের ঈমানী পরীক্ষা তিনি অনবরতই করেন। এমন কি কাবাঘরে 'লাব্বায়েক' ধ্বনি দেয়া মুমিনদের পিষ্ট করে ইমান পরীক্ষা করেন। কিন্তু ইহুদী দমন করতে পারেন্না। অবাক কান্ড??!!??
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্র এত নিক । ব্যাংকের টেইলর না।
আমীন
জাযাকাল্লাহ
ওয়া ইয়্যাক।
পবিত্র হজ্জ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। হজ্জ মুসলমানদের সর্ব বৃহৎ বাৎসরিক সম্মেলনও। এটা ইসলামের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। এটা চালু করেছিলেন এই উম্মতের আধ্যাত্মিক পিতা ইবরাহীম (আলায়হিস-সালাম)। আর এটাকে পূর্নাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (ﷺ)। ( এই প্যারাটি বিডি টুডে ব্লগের "আবুসামিহা" থেকে নেওয়া)।
এতো বড় সম্মেলনের পরও মুসলমানদের সমস্যাগুলো এখানে অনুচ্চারিতই থেকে যাচ্ছে। ফিলিস্তিন, কাস্মীর, সিরিয়া, আফগানিস্থান, ইরাক, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া , ইথিওপিয়া, ওআইসি প্রভৃতি সমস্যার কোন আলোচনা নেই এই সম্মেলনে। আজ যখন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঠিক সেই দিনে কত হাজারো- লক্ষ মুসলমান অমুসলিমদের কাছে একটু আশ্রয়ের সাহায্য প্রার্থনা করে সাগর- মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
অথচ আরেকবার নবীজির (সাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণ পড়ে দেখুন। দেখবেন সেটি কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ও কর্তৃত্বময়, কতটা দায়িত্বশীল ছিল সেই ভাষণ। সেদিন কি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব আলাদা ছিল?
আরাফার এই দিনে উপস্থিত হাজীগণ ও অনুপস্থিত সকলে কী ঘোষণা দিচ্ছি, তা আরেকবার খেয়াল করা উচিৎ।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই, তাঁর কোনো শরীক নাই, রাজত্ব [গুগল করে
ইংরেজি সব জায়গায় sovereignty লেখছে দেখতেছি] আর প্রশংসা একমাত্র তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান ( এই প্যারাটি Brother Nazmussakib Nirjhor থেকে নেওয়া)
আমরা ও হাজী সাহেবগণ কি বুঝে শুনে উপরোক্ত এই ঘোষণা দিচ্ছি? যদি বুঝেই থাকি তাহলে আমাদের মুসলিম দেশ সমুহে ধর্মনিরপেক্ষতার নাম করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব থেকে ইসলাম কে আলাদা করেছি কেন?
আজ হজ্জের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করার কথা ছিল মুসলিম খলিফার, মুসলিম রাজা- বাদশা নয়।
আরাফার এই দিনে এই উক্ত এই দোয়া হোক আমাদের বোধোদয়ের মুক্ষ্যম মাধ্যম। আর এই দোয়া যখন ওই অনুভুতি নিয়ে পড়া হবে তখনই তা সাওয়াব বহন করবে।
আমীন।
সমস্যা হচ্ছে খিলাফত কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই বিষয়ে।
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন