পিলখানা ট্র্যাজেডির পঞ্চমবার্ষিকী আজ

লিখেছেন লিখেছেন নিউজ ওয়াচ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৫২:৩৯ সকাল



স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি কলঙ্কময় পিলখানা বিদ্রোহের পঞ্চমবার্ষিকী আজ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সূর্যসন্তান মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নির্যাতন ও লাশগুমের লোমহর্ষক উত্সবে মেতে উঠেছিল কিছু নরঘাতক। বিদ্রোহের বিচার হয়েছে। হত্যামমালায় ১৫৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১৫৯ জনকে যাবজ্জীবনসহ মোট ৫৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বিস্ফোরক মামলার বিচার চলছে। কিন্তু কেন এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ, এর নেপথ্যে কারা ছিল সেই প্রশ্নের জবাব ও ট্র্যাজেডির নেপথ্যরহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যের ধারক ও বাংলার সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী ছিল বিডিআর। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। দেশের সীমান্ত রক্ষা, বিদেশি আগ্রাসন ও চোরাচালান প্রতিরোধে এক সাহসী নাম ছিল ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ সংক্ষেপে বিডিআর। আইন অনুযায়ী সর্বদা বিডিআরের মূল নেতৃত্ব থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে। সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে আসা সাহসী কর্মকর্তাদের দিয়ে পরিচালিত হয় বিডিআর। সেই বিডিআরকে সেনাবাহিনীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার দেশি বিদেশি ঘৃণ্য চক্রান্তের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছিল বিডিআর বিদ্রোহ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সীমান্তকে করা হয়েছে নিরাপত্তাহীন। দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের টার্গেট করে করে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন। সেদিন সিপাহী মইন, সেলিম রেজা, ইকরাম, কাজল আলী, বাছেদ, জুয়েলসহ বিডিআরের কিছু ঘাতকের হিংস্র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারগুলো। সেই

পরিবারগুলো আজও শুধু কাঁদছেন। খুঁজে ফিরছেন স্বজনদের। বিদ্রোহের পর ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আইনের সংশোধন এনে পরিবর্তন করা হয়েছে মনোগ্রাম ও পোশাকেরও। এরই মধ্যে বিদ্রোহের মামলার ৫৭টি ইউনিটের বিচারের সম্পন্ন হওয়ার পর হত্যা মামলারও বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে বিস্ফোরক মামলার বিচার। বিডিআররের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিন বাহিনীর ৫১ জন সামরিক কর্মকর্তা শহীদ হয়েছিলেন। আর ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র দু’দিনের বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দুজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর জওয়ান, পিলখানার বাইরে সেনাবাহিনীর এক সিপাহী, এক পুলিশ কনস্টেবল ও তিন পথচারী নিহত হয়েছিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারিই বিদ্রোহের প্রথমদিনেই পিলখানার স্যুয়ারেজ লাইন দিয়ে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়েছিল ৩ সেনা কর্মকর্তার লাশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি মাটিচাপা অবস্থায় পাওয়া গেছে লাশের স্তূপ। অর্ধশত সাহসী নির্ভীক নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তার সারি সারি লাশ দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশের মানুষ। বর্বর ওই হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে, কারা এর অর্থের জোগান দিয়েছে, কারা পরিকল্পনা করেছে, কী তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এসব বিষয় আজও রহস্যাবৃত। বিডিআর হত্যা মামলার রায়েও বিষয়গুলো পরিষ্কার করা হয়নি। আদালত কিছু পর্যবেক্ষণে অপারেশন ডালভাতকে দায়ী করাসহ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু সেটিকেও পূর্ণাঙ্গ মনে করছেন না সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার পর সেনাবাহিনী থেকে একটি ও সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু ওইসব তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনগুলো আজও প্রকাশ করেনি সরকার।

বিভীষিকাময় সেই দিন

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন বিডিআরের তত্কালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলে যেতে শুরু করে দরবার হলের দৃশ্যপট। প্রথমে দুই বিদ্রোহী সৈনিক মঞ্চে ওঠে। তাদের একজন শাকিল আহমেদের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এর পরই ঘটে যায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা। নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্রোহীরা। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে। এক ভীতিকর, বীভত্স পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পিলখানাজুড়ে। সৈনিকরা ওইদিন অস্ত্রাগার লুট করে। কর্মকর্তাদের বাসভবনে হামলা চালায়। গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে কোয়ার্টার গার্ডে আটকে রাখে।

৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে নৃশংসতার নানা চিহ্ন। পিলখানার ভেতরেই সন্ধান মেলে গণকবরের। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের গলিত লাশ। পিলখানায় সেদিনের ৩৬ ঘণ্টার তাণ্ডবলীলায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৭৪ জন নিহত হন।

এরপর শুরু হয় বিডিআরের নিজস্ব আইনে বিদ্রোহের বিচার ও ফৌজদারি আইনে হত্যা মামলার বিচার। দেশের ৫৭টি ইউনিটের ৬ হাজার ৪১ জন আসামির বিরুদ্ধে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় বিচার চলে। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সাজা ভোগ করার পর এ পর্যন্ত বিদ্রোহ মামলার বেশ কিছু আসামি মুক্তি পেয়েছেন।

মামলার রায়ে ১৫৪ মৃত্যুদণ্ড

গত ৫ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায় দেয়া হয়। বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ওই রায়ে মামলায় ৮৪৬ জন জীবিত আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে ডিএডি তৌহিদসহ ১৫৪ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনকে। সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা দেয়া হয়েছে ২৬২ জনকে। এই ২৬২ জনের মধ্যে ২০৭ জনকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আরেকটি অভিযোগে আরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়। সবমিলিয়ে তাদের মোট কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ১৩ বছর। অপর ৫৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে ২৭১ জনকে। মামলার মোট ৮৫০ জন আসামির মধ্যে বিচারকার্য চলাকালে ৪ জন আসামি জেলহাজতে মারা গেছেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

বিদ্রোহের নেপথ্যে অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচিকে দায়ী করাসহ আদালত রায়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। রায়ে বরা হয়েছে, ‘অপারেশন ডাল-ভাত’ কর্মসূচি বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের একটি বড় কারণ। কোনো শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অপারেশন ডাল-ভাতের মতো কোনো কাজে যুক্ত রাখা উচিত নয়। পিলখানার ভেতরে স্কুলগুলোতে বিডিআর জওয়ানদের সন্তানদের ভর্তি করানোর বিষয়ে আরও ছাড় দেয়া প্রয়োজন। তাদের সন্তানদের জন্য আরও স্কুল তৈরি করা যায় সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত।

সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো বিডিআর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো যায় কি না, সেটাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভেবে দেখতে পারেন। এছাড়া সেনাসদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে বিডিআর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এ জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর মতো ২০ শতাংশ ভাতা তাদের পাওয়া উচিত। তাদের ঝুঁকি ভাতা দেয়া যায় কি না, সেটিও দেখা উচিত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের কারণ হিসেবে সামরিক নিরাপত্তা-সম্পর্কিত কারণ থাকতে পারে; যাতে আমাদের সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট করা যায়। কূটনৈতিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীকে উচ্ছশৃঙ্খল দেখানো, যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এছাড়া অর্থনৈতিক কারণ হিসেবে আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, দেশে গণ্ডগোল থাকলে বাহিনীর মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা থাকবে। এতে বিনিয়োগ হবে না। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড দুর্বল করার জন্য হতে পারে। সামাজিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে নিরুত্সাহিত করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, আমাকে রায় দিতে হবে। আমার বিবেচনায় যা সঠিক মনে হয়েছে তা-ই দিয়েছি। আসামিরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।

বিচারক আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই এলাকার লোকজন বিডিআর বিদ্রোহ সমর্থন করেছে। মিছিল করেছে পানি খাইয়েছে। ওই এলাকায় অনেক বিডিআর সদস্য বাস করেন। এলাকার কারণেও বিদ্রোহ হয়েছে।

বিচারক আরও বলেন, এই মামলার আসামির সংখ্যা অনেক। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা। সেনাবাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এসব ডেডবডির সুরতহাল রিপোর্ট আমি দেখেছি। আমি আইনের ছাত্র। সুরতহাল রিপোর্ট দেখে আমার গা শিউরে উঠেছে। ডেডবডিগুলোকে মিনিমাম রেসপেক্ট করা হয়নি। এই মামলার অপরাধ একটি ব্যারাকে বা গণ্ডির মধ্যে ঘটেছে। তাই সাক্ষীও গণ্ডির মধ্যেই। বিচারক আরও বলেন, এই মামলার রায় অনেক বড়। পুরো রায় পড়তে গেলে অনেক দিন লেগে যাবে। তাই শুধু আদেশের অংশটুকু পড়ব। বিদ্রোহতো হয়েছে এটা সঠিক। বিদ্রোহের আগে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংবলিত লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।

১৫৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

মোট ১৫২ জন আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিডিআরের তত্কালীন উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিএডি নাসির উদ্দিন খান, ডিএডি মির্জা হাবিব আবদুর রহিম, ডিএডি আবদুল জলিল, সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিক, ল্যান্সনায়েক শাহ আলম, হাবিলদার আবু তাহের, সিপাহী সেলিম রেজা, সিপাহী শাহ আলম, সিপাহী আলতাফ হোসেন, সিপাহী সাজ্জাদ হোসেন, সিপাহী কাজল আলী, সিপাহী আবদুল বনি, বেসামরিক আসামি ও লালবাগ থানা যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন, বেসামরিক আসামি আজিম পাটোয়ারি, রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ অনেকে।

১৫৯ আসামির যাবজ্জীবন

পিলখানা হত্যা মামলায় বিএনপির নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৫৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। আদালত পিন্টু ও তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন; অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই দুজনসহ ৮৫০ আসামির মধ্যে ১৫৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে অবৈধভাবে অস্ত্র লুণ্ঠনের দায়ে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিদ্রোহের পর ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানার তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবোজ্যোতি খিসা একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ মামলাটি তদন্ত করেন। তাকে সহযোগিতা করেন ২০০ কর্মকর্তা। ৫০০ দিন তদন্তের পর ২০১০ সালের ১২ জুলাই এ আদালতে হত্যা এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। এতে ৮২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে অধিকতর তদন্তে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে বর্ধিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সবমিলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০।

কর্মসূচি

বিজিবির জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিলখানায় শহীদদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিজিবির সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর পবিত্র কোরআন খতম, মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধানরা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষমস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

182437
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : আমরা তাদের ভুলবনা|
182438
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২০
বিদ্রোহী লিখেছেন : মর্মান্তিক ও রহস্যময়।
182443
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩০
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : কি দেখার কথা কি দেখছি, কি শুনার কথা কি শুনছি?
182466
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
আমি মুসাফির লিখেছেন : তাদের জন্য অবশ্যই দুয়া করতে হবে কিন্তু কালপ্রিটদের জন্য সাজা কেন নিশ্চিত হচ্ছে না ?? ক্ষমতায় থেকে এত বড় সর্বনাশ করে যাবে ??
182686
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ১ , এই হত্যাকান্ডের বিচারের পদ্ধতি ও রায়ে শহীদ সেনা পরিবার কি সচ্ছ বলে মেনে নিয়েছে ?
২, এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি কারণ ছিল ?কারা জড়িত ছিল ?এবং তাদের কি কোনো সাজা হয়েছে বা হবে ?
৩ , এই হত্যাকান্ডের পেছনে কি বিদেশী রাষ্টের ইশারা রয়েছে ? বা বিদেশী কোনো রাষ্টের ইশারা রয়েছে কি না তার খুজ নেওয়া হয়েছে ?
৪ , সরকারের ভুমিকা কি ছিল ? প্রশাসনের সকল স্থরের ভুমিকা কি ছিল ?এসব তদন্ত করা হয়েছিল ?
189369
০৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : হৃদয় দিয়ে দেখা সে লোমহর্ষক কাহীনি যেন পৃথিবীর সব হত্যাকান্ডকে হার মানিয়েছে। ম্লান করে দিয়েছে স্বাধীনতার সব অর্জন। মুলত এ দিনটিতে বাঙ্গালী জাতি আত্মহত্যার মাধ্যতে নিজেকে কবরস্থ করেছে।

ধন্যবাদ আপনার লিখাটির জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File