আগুনে পোড়াদের নিয়ে মিডিয়ার এ কেমন মিথ্যাচার!

লিখেছেন লিখেছেন নিউজ ওয়াচ ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৩৯:০১ বিকাল



'আমার পেটে বাচ্চা আমাকে নামতে দাও পরে আগুন দিও'

আগুন থেকে বাঁচতে শিরিনার আকুতি


এটি হচ্ছে আজকের ইত্তেফাক সহ কয়েকটি পত্রিকার অন্যতম আবেময়ী শিরোনাম

... ইত্তেফাক লিখেছে----

'ভাই, ভাইরে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমার পেটে ছয় মাসের বাচ্চা আছে। আমাকে বাস থেকে নামতে দাও। আগুন দিলে পরে দিও'। সন্তানের জন্য নিজেকে বাঁচাতে হাতজোড় করে পিকেটারদের কাছে এই আকুতি জানিয়েছিলেন গার্মেন্টস কর্মী শিরিনা বেগম। কিন্তু পাষণ্ড পিকেটারদের মন গলেনি এতে। আগুনে ঝলসে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন শিরিনা। হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছেন তিনি। নিজের কথা যতটা না ভাবছেন, তার চেয়ে বেশি ভাবছেন অনাগত সন্তানের কথা। বারবার চিকিত্সকের কাছে জিজ্ঞাসা করছেন ভাল আছে তো তার সন্তানটি। শত চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিত্সকরা কোন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না শিরিনাকে। গতকাল সোমবার আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিত্সকরা জানতে পেরেছেন নিষ্ঠুর আগুনের আঁচ লেগেছে শিরিনার পেটের সন্তানের গায়েও।

click here

দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ আরো আবেগময় ভাষায় লিখেছে----

নতুন করে আবার সোমবার ডেমরায় লেগুনায় দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিরিনা বেগম (২০)। এছাড়া পটুয়াখালী থেকেও পেট্রল বোমার আগুনে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন বৃদ্ধ আবদুস সাত্তার (৭০)। এভাবে প্রতিনিয়তই দগ্ধদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।

click here

আজকে বিডিনিউজ২৪ লিখেছে তার উলটো---



চুলার আগুনে দগ্ধ এক নারীকে অবরোধের বলি বানানোর চেষ্টা চালিয়ে পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছেন এক ব্যক্তি।


[i]বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে সোমবার দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন তার স্বামী, যেখানে অবরোধে গাড়িতে দেয়া আগুনে দগ্ধ অনেকে চিকিৎসাধীন।

শিরিন আক্তার (১৯) নামের ওই নারী সকালে রাজধানীর ডেমরা সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো নতুন সেতুর কাছে হিউম্যান হলারে দেয়া আগুনে দগ্ধ হন বলে তার স্বামী মো. শাহীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন।

পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ওই সময় ওই এলাকায় কোনো হিউম্যান হলারে আগুন দেয়া হয়নি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন স্বীকার করেন, তার স্ত্রী বাসার চুলার আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। সরকারের সাহায্য পাওয়ার আশায় মিথ্যা বলেছিলেন তিনি। [/

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৭২২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304877
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০৩
ভোলার পোলা লিখেছেন : আমি ব্যাপার টি সবার নজরে আনতে চাঁই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File