হামবুর্গে বাংলা পত্রিকা 'জাগরণ' এর আত্মপ্রকাশ
লিখেছেন লিখেছেন নিউজ ওয়াচ ০২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৫৩:২৮ রাত
জার্মানির হামবুর্গ শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে প্রকাশিত 'জাগরণ' পত্রিকার বিজয় দিবস ২০১২ সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন হয় সোমবার। 'জাগরণ' জার্মান বাংলাদেশ সমিতি হামবুর্গের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো:আজিজুল হক এবং মীর্জা গোলাম হোসেন খান পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন করেন। পরে পত্রিকাটির বিভিন্ন লেখার উপর আলোচনা হয়। পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন আবু ইসমাইল ফিরোজ, শামীম মাহমুদ ও আদনান আব্দুল হাই।
সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যরা পত্রিকাটির ল্য ব্যাখ্যা করে বলেন, জাগরণের এই প্রকাশনা হামবুর্গ ও এর আশেপাশে বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসীদের মধ্যে সাহিত্য চর্চার সুযোগ করে দেয়ার একটি প্রয়াস। এই পত্রিকা জার্মানিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাস জীবনে নানা ব্যস্ততার মাঝেও 'জাগরণ' পত্রিকার জন্য লেখা দেয়ার যে আগ্রহ ও উদ্দীপনা হামবুর্গের বাংলাদেশীদের মাঝে দেখা গেছে তা সত্যি প্রসংশার দাবি রাখে।
'জাগরণ' জার্মান বাংলাদেশ সমিতি হামবুর্গের সভাপতি মো: সালাহউদ্দিন পত্রিকাটির সম্পাদক ও লেখকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি শুধু সাহিত্য চর্চার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং বাংলাদেশী কমিউনিটির একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, জাগরণের মূল ল্য প্রবাসে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে সাহায্য করা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রতন বলেন, জাগরণ পত্রিকা জার্মানির অন্যান্য শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এর বিজয় দিবস সংখ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা জার্মানিতে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশীদের ইতিহাস জানতে আগ্রহী করে তুলবে। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এপোলো আলমগীর, রমজান শেখ, জুলফিকার আহমেদ ভুট্টো, হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান ও সেলিনা শেখ। আলোচনা শেষে জাগরণের বিজয় দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতা থেকে আবৃতি করে শোনানো হয়।
হামবুর্গ ও এর আশেপাশের শহরে বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসীদের উদ্যোগে সম্প্রতি 'জাগরণ - জার্মান বাংলাদেশ সমিতি, হামবুর্গ-প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই সংগঠনের মূল ল্য বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের চর্চা ও লালন করা, এবং বাংলাদেশের কৃষ্টি ও শিকড় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়া। জাগরণ নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব হামবুর্গে আয়োজন করবে। এছাড়া, হামবুর্গের বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের জন্য খুব শীঘ্রই একটি বাংলা স্কুল চালু করবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন