মুসলিম কত প্রকার ও কি কি?
লিখেছেন লিখেছেন শাহীন সিদ্দিকী ১৯ মে, ২০১৫, ০৯:১৭:৩৩ রাত
গতকাল এনপিআর (ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও) এক ইরানী মহিলার সাক্ষাতকার প্রকাশ করে। নামটা মনে হয় শিরিন বা এই টাইপের হবে। ১৯৭৪ সালে দেশ ছাড়েন। সম্প্রতি দেশে গিয়ে তিনি ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। রাস্তাঘাটে মহিলাদের শরীর কাভারিং দেখে খুব দু:খ পায়। পাহলভীর আমলের সেই সুন্দর দেশটা গেল কোথায়? বলল, আই আ্যম নট আ্য প্র্যাকটিসিং মুসলিম, আই আ্যম আ্য সেক্যুলার মুসলিম। সামটাইম আই গো টু দা মস্ক, সামটাইম আই ডন্ট। এন্ড আই ফলো সাম রিচুয়াল টূ।
উনার যখন সাক্ষাতকার নেয়া হচ্ছিল তখন উনি ডগ নিয়ে হাঁটছিলেন। সেটাই নিউজ আ্যংকর শুরুতে পরিচয় তুলে ধরতে হাইলাইট করছিলেন।
ইরানীদের ব্যাপারটা আমার কাছে অবাক লাগে। ইসলামিস্ট কিংবা নন্ ইসলামিস্ট যাদের সাথেই আমার পরিচয় এবং কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাদের সবাই 'মোল্লা'দের দেখতে পায় না। আগের অফিসের আমার ডিপার্টমেন্টে ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর এক ইরানী মেয়ে নিগার ইন্টার্নি হিসাবে দুই টার্ম কাজ করেছে। ও বলত, আই হ্যাভ এ রয়্যাল ব্লাড। মানে ওর মাতৃকূল পাহলভীর বংশধর। ওর বয়ফ্রেন্ড ইন্ডিয়ান খ্রীস্টান। সব খেত। বারবিকিও'র সময় যে লাইনে সসেজ, ব্যাকেন থাকত সেই লাইনে ও দাঁড়াত।
আরেকজন কলিগ ছিল, এলনায। সে আবার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আলাদা বাসায় থাকত। বাবা মা থাকত একই শহরে অন্য যায়গায়।
দুইজনই বলত তারা মুসলিম।
এই দুইজনের কথা না হয় বাদ দিলাম। আরেকজন ইরানী কলিগ ছিল, মাহদী পাক্কা ধার্মিক। পরিবার শুদ্ধ ইসলামিক, অন্তত: ওর ভাষ্যমতে। মাহদী যায়নামাজ অফিসে রাখত। কোনদিকে তাকাত না। নামাজের সময় হলে চেয়ারটা সরায়ে নামাজ শুরু করে দিত। একদিন ওর বস এরকম দেখে আলাদা রুম দেখিয়ে দিয়ে বলল, এখানে পড়তে পারো। ওর জন্য একটা উত্তম ব্যবস্থা হয়ে গেল।
এরা সবাই একটা ব্যাপারে একমত। সেটা হল ইরানের শাসক, মানে আয়াতুল্লাহদের বিরোধিতা। দূর্নীতির শীর্ষে তারা, কপট, শাসক হিসাবে অযোগ্য, নিজেরা বিলাসিতায় নিমজ্জিত, ইসলামের সেবক তো নয়ই ইত্যাদি।
যাহোক, আমার মূল পয়েন্ট ওসব নয়। ওসব নিয়ে না হয় আরেকদিন লেখা যাবে।
মূল পয়েন্টটা হল মিডিয়াতে এখন মুসলিমরা কয় প্রকার ও কি কি? এদের সংজ্ঞাই বা কি? আমার মনে হয় মৌলবাদী মুসলিমের চেয়ে মিডিয়া এখন প্র্যাকটিসিং মুসলিমের দিকে বেশী নজর দিচ্ছে।
এটাকে আস্তে আস্তে এরা কোথায় নিয়ে যাবে তা ভেবে দেখেছি কি?
আমি মিডিয়ার মুসলিম শ্রেণীবিন্যাস বং সংজ্ঞা এরকমভাবে দাঁড় করিয়েছি:
১) সেক্যুলার মুসলিম: যারা ধর্ম-কর্ম করবেও, আবার করবেও না। মসজিদে যাবে আবার যাবেও না। ডগ থাকলেও নাপাকি গায়ে লাগবে না। যেকোন পোশাক-আশাকে সমস্যা নাই। আহার-বিহার-পানাহারে বাধ্যবাধকতা নাই।
২) প্র্যাকটিসিং মুসলিম: যারা নিয়মিত মসজিদে যাবে। নামাজ-কালাম, রোযা-কিয়াম, ধর্ম-কর্মসমূহ বাদ দিবে না। এই গ্রুপটাই এখন ডেন্জারাস পয়েন্টে আছে।
৩) মৌলবাদী মুসলিম: যাদের কাছে বোমা থাকবে। সবাইকে বোম মেরে উড়ায়ে দিবে।
৪) জংগী মুসলিম বা মুসলিম মিলিট্যান্ট: এরা ৩ নং-এর কাছাকাছি। পার্থক্য হল এদের সাথে ছুরি থাকবে। থাকবে কিছু ইলেকট্রিক ক্যাবল আর ব্যাটারীও। এরা খালি কোপায়। বিপদ আসন্ন হলে ব্যাটারীর সাথে তার কেমনে কেমনে লাগায়ে এরা সবার চোখে ধূলি দিয়ে পালায়। এদের চাপ দাড়ি থাকে।
৫) আইসিস মুসলিম: এদের চেনা যায় না। মুখ ঢাকা থাকে। কালো কাপড় উড়ায়। এদের গাদা গাদা একে-৪৭ রাইফেল। কেউ জানে না কোত্থেকে এসব আসে। এরা খালি জেতে। যুদ্ধ হলেই এরা জিতে যায়। পরাজিতদের এরা আগুন দিয়ে পুড়ায়ে বুলডোজার দিয়ে মাটির সাথে মিশায়ে দেয়। ওদের কেউ থামাতে পারেনা। সবার নামের সাথেই 'আবু' থাকে।
৬) নরম্যাল মুসলিম: ওপরের বর্ণিত পাঁচ গ্রুপের বাহিরে যাহারা, তাহারাই নরম্যাল মুসলিম বলে প্রতীয়মান।
এবার বলুন আপনি কোন গ্রুপে?
বিষয়: বিবিধ
৫১৩০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
১। কিছু মুসলিমের আল্লা যিনি ঝড়, ঝঞ্জা, ভুমিকম্প, সুনামি দিয়ে বান্দার ঈমান টেস্ট করে আনান্দ পান।
২। আবার কিছু মুসলিমের আল্লা এ বিষয়ে অতি অক্ষম। ঝড়, ঝঞ্জা, ভুমিকম্প, সুনামি কে নিছক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলেই শিকার করে নেন।
৩। কিছু আল্লা আছেন যিনি আইসিস, বোকোহারাম, আলকায়দা কে ভিষন ভালোবাসেন।
৪। আবার কিছু আল্লা মনে করেন আইসিস, বোকোহারাম, আলকায়দা উহারা সহি মুসলিম নহে।
৫। এক ধরনের আল্লা আছেন যার কাছে চাইলেই সব পাওয়া যায়। হাত তুলে শুধু বলতে হবে "তুমি মুসলিম উম্মাকে পৃথিবীর মোড়ল বানিয়ে দাও। কাম সারা।
৬। আবার অন্য এক ধরনের আল্লা আছেন, যিনি একটু চালাক। তিনি বলেন তোমরা চেষ্টা না করলে আমি কচুও দিব না।
৭ কিছু আল্লা আছেন, যিনি লম্বা দাড়ি, টুপি আলখাল্লা, হেজাব বোরখার ভক্ত।
৮। আবার কিছু আল্লা টাইস্যুট, মোডারেট পছন্দ করেন।
এমন হাজার কিসিমের আল্লা বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। তো আপনি কোন কিসিমের আল্লাপূজা করেন ভাই??
মুসলিমদের এতগুলো শ্রেণীবিন্যাস হতে পারে না। আল্ কুরআনে মুসলিমদের যে সকল গুণাবলী রয়েছে। তারাই মুসলিম। এর বাইরে যারা তারা নামে মুসলিম। অনেকেই আছে আবার পাশ্চাত্যের শিকার হয়েও ন্যক্কারজনক কাজ করছে। তারপরও আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন