বিএনপি'র নেতাদের পলায়ন...শেষ রক্ষা হয়েছে কি?...হবে কি?
লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ১২ মার্চ, ২০১৩, ০১:৩১:২৬ দুপুর
শেষ পর্যন্ত কি বিএনপি নেতাদের বোধোদয় হবে?
গতকালকের নব্য বাকশালী সরকারের আচরণের পর আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে বর্তমান সরকার কতটা ফ্যাসিবাদী মনমানসিকতা লালন করছে।
বিএনপি দেশের অন্যতম প্রধান একটি রাজনৈতিক দল, তিনবারের ক্ষমতা আহোরণকারী। অথচ সেই দলের মহাসচিব যখন মামলার ভয়ে, জেল-জুলুমের ভয়ে পালিয়ে বেড়ান তখন অবাক না হয়ে পারি না। বর্তমান সরকার দেশটাকে সব দিক থেকে পঙ্গু করে দিয়েছে। অথচ প্রধান বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি কোন একটা ইস্যুকেই জনগণের সামনে নিয়ে অঅসতে পারেনি। বরং অতি চাতুর বর্তমান সরকার তাদের কুকর্মগুলো ঢাকার জন্য একটার পর একটা নাটকের অবতারণা করে সেগুলোকে বেশীদিন স্থায়ী হতে দেয় নি।
অথচ এই বিএনপি নেতাদের ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী নেতাদে সাথে সখ্যতা কিংবা টাকার বিনিময়ে আওয়ামী ঘরানার লোকজনকে বিভিন্ন চাকরিতে প্রবেশ করানো আমি নিজে দেখেছি। অথচ বর্তমান সরকারের সময় কট্রর আওয়ামীলীগার ছাড়া কোন লোক চাকরি পেয়েছে বলে আমার জানা নেই। বরং গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তা বারং বার ফরখ করে দেখা হয়েছে! আজকে তারাই একেকজন এডিসি মেহেদী কিংবা একেজন কুখ্যাত হারুনুর রশিদ। যাদেরকে এই সরকার নিয়োগ দিয়েছিল একটাই মিশন সাকসেস করার জন্য---সেটা হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা। এরা ছাত্রজীবনে যেমন ত্রাস করেছে, বর্তমানে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
একজন মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে বিএনপি যে ভূমিকা নেওয়ার দরকার ছিল বা তার নেতাদের মাঠে যে ভূমিকায় থাকার কথা ছিল তার কোন নেতাই শো করতে পারেনি। যার ফলে নেতাদের এমন পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনায় বিরোধীরা আরো বেশী সুযোগ পেয়েছে। তাই এখন এডিসি মেহেদীর মত সরকারের আজ্ঞাবহ অফিসাররা প্রধান বিরোধীদলের মহাসচিবকে টেনে হিছরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিয়ে যেতে সাহস পায়।
অন্যদিকে গত তিনটার্ম ক্ষমতায় থাকলেও বেশীরভাগ সময় বিএনপি নেতাদের দেখা গেছে আখের গোছাতে। দল কতটুকু শক্তিশালী হলো তা নিয়ে তাদের কোন মাথঅব্যাথা ছিল না। বর্তমানে মিডিয়ার যে অপপ্রচার চলছে জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপির নেতাদের নিয়েও এই মিডিয়া পানি কম ঘোলা করছে না। অথচ বিএনপির সাবেক এমপি মোসাদ্দেক আলী ফালুর এনটিভি'র ভূমিকা কি? অথবা ফালুই বা এখন কোথায়? অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর পাশে সুযোগ সন্ধানী এ সব লোকের আনাগোনা ছিল সবচে বেশী। অবশ্য কারো কারো মতে, এই সব মিডিয়া নাকি বিএনপি'র এ সব নেতাদের মনোরঞ্জনকল্পে নারী সাপ্লাইয়ের কারখানা!!!!
তৃতীয়ত, বর্তমানেও ঢাকার রাস্তায় অসংখ্য পোস্টার চোখে পড়ে বিএনপি এবং ছাত্রদল নেতাদের। এসব দেখলে আমার মন চায় এসব পোস্টারে থুথু নিক্ষেপ করি। উদাহরণ হিসিবে বলি, বতর্মান সময়ে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এবং সেক্রেটারীর পোস্টারে পুরো ঢাকা শহর সয়লাভ। একেকটা পোস্টারের খরচ কম করে হলেও দশ টাকা খরচ পড়েছে। ডিজিটাল ব্যনার, ফেস্টুন বাদই দিলাম। অথচ বিগত সাড়ে চার বছরে আমি তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের কোন মিছিল দেখি নাই। যদিও আমার বাসা উক্ত কলেজের অতি সন্নিকটেই। পিকেটিংতো দূরে থাক। তাহলে এত টাকা খরচ করে পোস্টারিং কেন? ....হ্যাঁ, নিজের চেহারাটা চিনে রাখার জন্য জানান দেওয়া। আগামীতে দল ক্ষমতায় আসলে বাগবাটোয়ারাটা যেন নিজের বাগে রাখা যায়। কিন্তু....আবাল নেতারা কি আর বোঝে ২০০১ সালের আওয়ামীলীগ আর ২০১৩ সালের আওয়ামীলীগের মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক।
কেন জানি মধ্যে হচ্ছে বিএনপির এমন পিছলানোতে দেশ স্পষ্ট দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে বিএনপির কোমর ভাঙ্গা নেতাদের দিয়ে আওয়ামীলীগের এই ফ্যাসীবাদী আচরণ রোখা যাবে না। তাই তারা বিকল্প ভাবছে.....
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন