বৈশাখ হোক না আপনার মত করে....
লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:১২:৩৭ দুপুর
ঢাকার এগার বছরের লাইফে যত সম্ভব তথাকথিত দিবসগুলোতে (পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, নিউ ইয়ার) বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছি। বের হলেও যে যে স্থানে এ নিয়ে অতিরিক্ত মাতমাতি থাকে সে স্থানগুলো এড়িয়ে চলেছি। এতে মানসিক এবং শারীরিক প্রশান্তি- উভয় দিক থেকেই লাভবান হয়েছি।
আপনি আপনার চারপাশে তাকালে দেখবেন, সমাজে দুটো ভাগে বিভক্ত।
প্রথম গ্রুপ--- অতীব মুক্তমনা, তথাকথিত সংস্কৃতিপ্রেমী! উহারা নিজের বউকে কড়া মেকাআপ করিয়ে বাহিরে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাজুগুজুটা এমন স্টাইলের যে পেট খালি-পিঠ খালি-কপালের উপর এক নকতা! মনের মধ্যে পাপাচারের গভীর প্রলেপ না পড়লে কি আর... ঘাইটের টাকা খরচ করে কেউ নিজের বউকে সাজিয়ে অন্যের মনে রোমাঞ্চ জাগায়?
আবার আরেক দল আছে---যারা এ সব দিবস টিবসের মধ্যে নাই। ঘরে অঘোষিত কার্ফু জারি করে। আর ঘরের মধ্যে বসে যে বারাক ওবামার সাথে ডেটিং করা যায় উনার এ নিয়ে কোন জ্ঞানই নাই!
আমি দুই গ্রুপকেই এভয়েড করি।
প্রথমত, মস্তিষ্ক বিকৃত না হলে নিজের ঘাইটের টাকা খরচ করে কড়া মেকাপ করিয়ে নিজের বউকে অর্ধ উলঙ্গ করে ঘুরতে কেউ বের হয়? পরকালের কথা বাদই দেন ইহকালেই তো তারা লাঞ্চিত। ফলশ্রুতিতে বস্ত্র হরণ বা ইভ টিজিং এর ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে, কট্রর গ্রুপ। আপনি বিজাতীয় কালচার না হয় ফলো না করলেন। ভোরবেলা চুপে চুপে টকটকে একগুচ্ছ গোলাপ ভাবীর হাতে দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। হাত দুটো ধরে, চোখে চোখ রেখে দু চারটা রোমান্টিক বাক্য ছাড়ুন না! হোক না তা ভাঙ্গা গলায়, কাঁপা কাঁপা স্বরে! নাই বা থাকুক ছন্দের মিল। দেখবেন সকালটাই শুরু হয়েছে অন্য রকম ভাল লাগার মধ্য দিয়ে। সাধ্য অনুযায়ী ভাল খাওয়ার আয়োজন করুন। কিচেনে তাকে সহযোগীতা করুন। প্ল্যান করে বাসায় একটি মুভি দেখুন। সাংসারিক দীর্ঘ দিনের পেন্ডিং ইস্যুগুলো নিয়ে তাঁর সাথে বসুন...যুক্তি সংগত একটি সমাধানে আসুন। আমার মত ঘরম-জ্যাম নিয়ে এলার্জি থাকলে সন্ধ্যার পর আগুন লাগা বাতাসে বারান্দায় বসে দু জনে অর্ধ বাঁকা চাঁদটাই দেখুন না!
ইসলাম ও কঠিন নয়, জীবন ও ক্ষণিকের। যে সময়গুলো আমরা পার করছি সে সময়গুলো কি আর ফিরে পাবো? আর সুখের সময়গুলোতো গ্যাসের মত। ধুম করে বাতাসে মিলে যায়।
সবাই ভাল থাকুন।
বিষয়: বিবিধ
২২২৫ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাট কেনু???
হাহাহা
(~~)
এ টুকুর জন্য ।
আসলে কি জানেন...
বেশীরভাগ লোকই পাইনারে, খাইনারে..টাইপের!
কি পেলাম..সেটাকে উপভোগ করি না!
পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে অনেক কিছুই মানিয়ে নেওয়া সম্ভব।
আমরা এত বেশী ব্যস্ত হয়ে গেছি...যে পরিবারকে সময় দেওয়ার ফুসরত নাই!
পারিবারিক ভাঙ্গন তো স্বাভাবিক!
এটাও সত্য..এখনকার বেশীরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের জাজমেন্ট করে ইউরোপের কার্ড আর ফ্ল্যাট দিয়ে...
বাস্তবতা অনেক দূর!
একসেপ্ট বাপের টাকা না থাকলে ৪০ এর নীচে কোন ছেলেই হালাল ইনকাম দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা কি সম্ভব?
সরি! অনেক কথা!
দোয়া...দোয়া।
এখন আমার কি হপে?
ধন্যবাদ।
ভাইজান বিবাহিত জীভনে কিভাবে চলা যায়, তা নিয়ে আপনাদের পোস্টের খরা দেখে নিজেউ মেরে দিলুম যে দাদা...
আসলে আমি যা চিন্তা করি তাই লিখি...এর বাহিরে কিছুই না।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ভাল লাগলো লিখাটা, আপনাকে ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন