বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ভার্সেস আমেরিকার লড়াই : সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে একটি পর্যালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:২৬:১৫ রাত
রাশিয়াকে ভাগ করার পর আমেরিকা বিশ্বকে আজ পর্যন্ত একক ক্ষমতা দ্বারা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ইরান, যুগোস্লাবিয়াকে খুব বেশী বশে আনতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ ঐ দুই দেশের শক্তিশালী ইকোনমি।
দক্ষিণ এশিয়ায় চীন যখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তখন চীনকে বশে রাখার জন্য ভারতমুখী হয়ে পড়ে মার্কিন প্রশাসন। আর এই সুযোগে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় একচ্ছত্র ছড়ি ঘুরাচ্ছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর চাপে ভারত যখন দিশেহারা তখন আমেরকিার এই সহায়তায় ভারত আরব বিশ্বে নিজের জনগোষ্ঠীকে পাঠিয়ে কিছু দিনার/রিয়েল/দিরহাম কামিয়ে ; একটা দুইটা ফটকা পাটিয়ে নিজেকে হিরো ভাবা শুরু করেছে।
এই ভাব ইদানিং এমন এক পর্যায়ে এসেছে যে, তারা আমেরিকাকে পর্যন্ত বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত তার স্বার্থে যা যা দরকার সব আদায় করে নিয়েছে। আমেরিকার সাথে সর্বপ্রথম এই সরকারের সম্পর্ক খারাপ হয় ড. ইউনুস ইস্যুতে। তখন ইউএস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন শেখ হাসিনাকে ফোন করলে তা শেখ হাসিনা পাত্তা দেননি। বরং ভারতেই চকেই হেটেছেন।
সর্বশেষ জাতিসজ্ঞ মহাসচিবের ফোন, তারানকোকে প্রধানমন্ত্রীর এভয়েড এবং জন কেরীর ফোন ইস্যুতে সরকারের একগুঁয়েমিতা এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বার্তা অনুযায়ী ইলেকশনের পথে হাঁটাকে আমেরিকা ভাল ভাবে নেয়নি।
একটা বিষয় খেয়াল করবেন, এই ঘটনার পর পরই আমেরিকা ভারতের একজন পেশাদার কুটনীতিককে গ্রেফতার এবং গ্রেফতার পরবর্তী তল্লাশীর নামে অর্ধ উলঙ্গ করা- পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা বিবৃতি-সর্বসম্মতিক্রমে পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব-ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রথম স্মৃতিসোধে না যাওয়া এবং সর্বশেষ ইউএস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শেখ হাসিনার কাছে ৫ তারিখের ভোটার বিহীন ইলেকশনের ব্যাখা চাওয়া সবই একই সূত্রে গাঁথা।
শুরু হয়েছে আমেরিকা-ভারত কাজিয়া
বিশেষ করে পাকিস্তান সরকারের এমন পদক্ষেপ যথেষ্ঠ সন্দেহ থেকে যায় বৈকি। এতদিন ধরে বিচার চলছে, কাদের মোল্লার ফাঁসি যখন প্রথম দপায় স্থগিত হয়ে যায় তখনো পাকিস্তান কোন বিবৃতি দেয়নি। এখন এমন কি দরকার হয়েছে, একসাথে বিবৃতি এবং সংসদে নিন্দা ও শোক প্রস্তাব পাশের?
এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ নিয়ে দেশের ভেতর বাংলাদেশ ভার্সেস আওয়ামীলীগ , 'র' বনাম আইএস আই+এফবিআই এবং ইন্টারন্যাশনালি আমেরিকা ভার্সেস ভারত শুরু লড়াইটা শুরু হয়ে গেল।
http://www.bdtomorrow.com/newsdetail/detail/34/58646
এটা মাথায় রাখতে হবে, দু পাইস দিনার কামিয়ে ভাব মারলেও এখনো দিল্লীর রাস্তায় গণসৌচাগার। গণ ধর্ষণের দেশ ভারত আমেরিকার সাথে টেক্কা খেলে খুব বেশী সুবিধা করতে পারবে না। আর দিল্লীর প্রটেকশনে এদেশীয় দোসররা হাজার হাজার কার্তুজ-গুলি ফাটালে, বন্দুক কিন্তু লোড হৈয়া আছে। যে কোন মুহুর্তে ফুটুশ করে উঠবে। দেশ আপাত: শান্ত হয়ে যাবে!
ভারতে কতটা নিরাপদে নারীরা
ততদিনে এই দেশটার যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা খান খান হয়ে যাবে। গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে দেশে।
বিষয়: বিবিধ
২৩০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন