খেলা কিন্তুক শুরু হৈয়া গেছে...বাম-রাম (আওয়ামী+প্রোআওয়ামী) ভার্সেস বাংলাদেশ!...বাতিয়ে নিভিয়ে মাইরের পর বোমাতঙ্ক!

লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৪২:৩৫ সন্ধ্যা

বছর দশেক আগে এক বন্ধু বলছিল, আওয়ামীলীগের কাছে কোন আওয়ামীলীগারও নিরাপদ না থাকতো দেশ!



আমিতো অবাক! কয়কি! যার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হলো, তার দলের হাতে দেশ নিরাপদ না! এটা খোঁড়া যুক্তি নয় কি!

না...অন্তত চলতি আওয়ামী টার্মে এটা আরো স্পষ্ট। স্পিকারকে হত্যা তো বিরোধীদলের মুখে শুনতাম। কিন্তু এই টার্মে দেখলাম, কেমন করে এমপি শাওনদের হাতে যুবলীগনেতা জাহাঙ্গীরের জীবনের ইতি হয়। আর ডিজটাল সংস্করণ মিল্কি হত্যাতো ফিল্মকেও হার মানায়!

একদা আমাদের হুজুরেরা বিশেষ করে কওমী লাইনের হুজুরেরা তো জামায়াত-শিবির আর মওদুদীর নাম শুনলে তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তো। বলতো মওদুদীর অনেক লেখা নাকি কোরআর-হাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু এ নিয়ে শক্তিশালী কোন তথ্য তাদের কাছে নাই। তবে কেন এই মওদুদী বিরোধী অপপ্রচারে তারা লিপ্ত এর যুতসই এবং তথ্যভিত্তিক একটি উত্তর রয়েছে নিন্মোক্ত লেখায় মন্তব্যকারী জনাব আব্দুল কাদের হেলাল ভাইয়ের ১২ নং মন্তব্যে। দেখুন ১২ নং মন্তব্য..... আপনারা দেখে নেবেন, আমি সে দিকে যাচ্ছি না।

বিগত ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের কঠিন আন্দোলন আর পরিশ্রমের ফলেই বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করে। সকল ক্যাম্পাসে শিবির যেভাবে দাওয়াতী কাজ শুরু করে এবং ধর্ষণের সেঞ্চুরীর প্রবক্তা ছাত্রলীগের বিপরীতে শিবিরের পতাকাতলে ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণরা ভিড়তে থাকে। অন্যদিকে মাত্র দুজন মন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে সত থেকে মন্ত্রণালয় চালানো যায়। এতেই মাথা খারাপ হয়ে যায়, রাম-বামদের। তখন থেকেই তারা চক বুঁনতে থাকে। যার ফলাফল কোটালীপাড়ার ৪৮ কেজির বোমার আবিষ্কার, কিংবা একসাথে ৬৪ জেলায় বোমা বিষ্পোরণের মত ঘৃণ্য কাজ।

২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেই তাই আরেক গণসেঞ্চুরীর দেশ ইন্ডিয়ার 'র' এর পরমর্শে শুরু করে জামায়াত-শিবির নিধন কর্মসূচী। শুরু হয় জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধী সাজানো নাটক এবং শিবিরের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন। মধ্যখান দিয়ে শাহবাগীদের পুষে ময়দানে নিয়ে আসে 'হেফাজত' নামক কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদেরকে!



এর আগে শিবিরের ছেলেদের উপর যে বর্বর হামলা চলতে থাকে, তার বিপরীতে তাদের প্রতিক্রিয়াকে আওয়ামী হলুদ মিডিয়ার তথাকথিত তান্ডবের পাশাপাশি কওমী হুজুররাও বলতে থাকে জামায়াত-শিবির ক্ষমতার জন্য ভাংচুর করে। যখন ৫ ই মে রাতের আঁধারে লাইট নিভিয়ে হেফাজত নেতা-কর্মীদের গুলি করে লাশ করা হলো তখন তাঁদের বোধোদয় হল! শুরু হয়ে গেল জামায়াত-হেফাজত-আওয়ামীলীগ লড়াই! সেই লড়াইয়ের প্রথম ধাপ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেফাজত-জামায়াত ভালোই জবাব দিয়েছে।

এখন দিশেহারা নড়াচড়াখ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অব্যাহত প্রতিহতের ঘোষণা কিংবা জয়ের মাদ্রাসা ছাত্র কমানোর আন্দোলন আমাদেরকে শংকিত করে তোলে।

যুদ্ধাপরাধী ইস্যু এখন হালে পানি পাচ্ছে না। বিশেষ করে স্বাইপি কেলেংকারী-সাক্ষী বালীকে ভারতের কারাগারে আবিষ্কারের সাথে সর্বশেষ রায় ফাঁসের ঘটনায় আওয়ামীলীগীয় এই মুলা শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে সরকারের অতি ভারত তোষণনীতি, চীনকে বাদ দিয়ে রাশিয়া থেকে অস্র ক্রয়, ইউনুস ইস্যুতে আমেরিকার ক্ষোভ এর পাশাপাশি সকল বিদেশী পর্যবেক্ষকের সংলাপে তাগিদ সত্বেও একগুঁয়েমি আওয়ামীলীগ অনেকটা বন্ধুহীন করে ফেলেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন মলিন হয়ে গেছে।

তাই ইসলাম ফোবিয়ায় আক্রান্ত বিশ্বকে ইসলামী জঙ্গীর মুলা দেখানোর স্বার্থে গতকালের হাটহাজারী মাদ্রাসায় তথাকথিত গ্রেনেড বিষ্পোরণের কল্পকাহিনী আওয়ামী হলুদ মিডিয়ায় প্রচার শুরু হয়েছে। কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে, যে ছেলেটি মারা গেছে বলা হলো, সে কি চিকিতসার অবহেলায় মারা গেল? কেন তাকে ঢাকায় আনা হলো না? ১১ টায় বিষ্পোরণ হলেও কেন সন্ধ্যার পর অভিযান চালানো হলো। বিষ্পোরণের কিছুক্ষণের মাথায় যুবলীগ ডিজিটাল ব্যানার নিয়ে কিভাবে মিছিল বের করলো?অনেক প্রশনই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!

সামনে সনতান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত উতসব দূর্গা পূজা। আবহমান কাল ধরে বাংলার মানুষ যে যার ধর্ম পালন করে আসছে, নেই কোন ভেদাভেদ কিংবা বিপত্তি। খবরে বের হয়েছে, ২০ তারিখের পর বিরোধীদলের আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে সরকার গণগ্রেফতার শুরু করতে যাচ্ছে। তার আগে মাঠ অশান্ত করার জন্য বিভিন্ন মন্দিরে হামলা করা হতে পারে। আর হলুদ মিডিয়া তো আছেই প্রচারের জন্য। তারই ওয়ার্ম আপটা হয়ে গেল মুফতী ইজহারের মাদ্রাসা দিয়ে।

আওয়ামীলীগের উপর পতিত বামরা যেভাবে আছর করেছে, তাতে আওয়ামীলীগকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে নিয়ে যাচ্ছে। যে কওমী হুজুররা শিবিরকে দেখতে পারতো না তারাই এখন শিবিরের সাথে সারিবদ্ধ হচ্ছে নিজের অস্তিত্বকে বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইসলামী আন্দোলনের অনেক সিপাহসালার চেষ্টা করেছেন সকল ইসলামী দলকে এককাতারে সামিল করার জন্য। বিফল হয়েছেন কারো কারো গোয়ার্তুমির কারণে। আজ আওয়ামীলীগ সেই জটিল কাজটিকেই বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষী বাকশাল টিকে নাই। বাকশালের নব্য চেলারাও টিকবে না। এ জন্য প্রয়োজন হিম্মত আর কোরঅনে উল্লেখিত সেই সীসাঢালা ঐক্য।

বিষয়: রাজনীতি

১৯০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File