বিরোধীদল যতদ্রুত কোমর সোজা করে দাঁড়াবে, জাতির ভাগ্যাকাশের কালোমেঘ ততদ্রুত সরে যাবে...
লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ০৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৩৩:১৩ সন্ধ্যা
কি হতে যাচ্ছে ২৪শে অক্টোবরের পর?
সম্ভবত এটাই সবার কৌতুহল।
কৌতুহল যাই থাক, এটা সবাই নশ্চিত যে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ছেন না। তার নেতৃত্বেই গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার। হতে যাচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রশ্ন থাকতে পারে কিভাবে এতটা শিওর হলাম?
গত পাঁচ বছরে এতসব ইস্যু এসেছে যে বিরোধীদল কোন একটা ইস্যুকে সামনে নিয়ে সরকারকে পিছু হঠাতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনীতিকরা এবং দলীয় অর্ন্তকোন্দল।
আর প্রথম থেকেই সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবিরকে ঘর ছাড়া করেছে বেশ সুচারুভাবেই।
বিএনপি নেতাদের কঠোর (কটুর..হাহাহা) আন্দোলনের বিপরীতে 'মুরোদ নাই' ঠাট্রাটা নতুন করে বিএনপিকে নপুংসক দল হিসেবে জাতির কাছে পরিচিতি পাইয়ে দিয়েছে।
যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায় আওয়ামীলীগ। কারণ একটাই পিঠের চামড়া বাঁচানো! তত্বাবধায়ক বলেন আর তৃতীয় শক্তি বলেন... যেই ই আসুক...মাইর নিশ্চিত। তাই কাউকে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করতে পারছে না।
অন্যদিকে বিশ্বের সকল দেশের সাথে বৈরী সম্পর্কের (যেমন-মিডল ইস্ট এর সাথে সেক্যুলারনীতি ও যুদ্ধাপরাধ, আমেরিকার সাথে ইউনুস ইস্যুতে, চীনের সাথে রাশিয়া থেকে অস্ত্রক্রয় ও অতি ভারত নীতি নিয়ে শীতল যুদ্ধ )কারণে একমাত্র ভারত মাতাই শেখ হাসিনার ভরসা। তাইতো দেশের সকল মানুষ রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধীতা করলেও শেখ হাসিনা তা দিতে কাপণ্য করছেন না! লক্ষ্য একটাই ভারত নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো।
আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ে আঁতকে উঠলাম। সরকার ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, ২৪ তারিখের পর মাঠ ত্যাগ করা যাবে না। যে কোন মূল্যে মাঠ দখলে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ২৮ অক্টোবর বাংলার মাটিতে ফিরে আসবে, আর প্রশাসন যাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রুখে না দেয় তার জন্য প্রশাসনকে নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা শেখ হাসিনা নিজের হাতেই রাখছে।
এখন কথা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের সরকারকে তত্বাবধায়ক দিতে বাধ্য করা কিংবা ক্ষমতা থেকে বিদায় করার আল্টিমেটাম কতটা কানে তুলছে আওয়ামীলীগ? অন্তত হাল সময়ে আওয়ামীলীগের আচার আচরণে তার বিন্দুমাত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত, আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা প্রবীণ এই দলটি।
হয়তো হতাশার অনেক দিক আছে, তবে সত্য হচ্ছে অত্যাচারীর মসনদ বেশী দিন টিকে না। আর পতনটাও হয় শোচনীয়ভাবে। পৃথিবীর কোন অত্যাচরী শাসকই শেষ পর্যন্ত তার মসনদ ধরে রাখতে পারে নি। আওয়ামীলীগও পারবে না। আর আওয়ামীলীগের ইতিহাস হচ্ছে, ইতিহাস থেকে তারা কখনো শিক্ষা গ্রহণ করে না।
এখন কথা হচ্ছে, জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে বিরোধী দলের ভূমিকা কি হওয়া উচিত? অবশ্যই সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারকে নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দিতে বাধ্য করা। জনগণ প্রস্তুত। কিন্তু বিরোধীদল কি প্রস্তত? আন্দোলন রাজপথে এসি রুমে বসে রিমোর্ট টিপে নয়। বিরোধীদল যতদ্রুত এই আন্দোলন শুরু করবে ততই এই জাতি দু:শাসন থেকে মুক্তি পাবে, অন্যদিকে যতই বিলম্ত হবে জাতির কপালে দু:খ-দুর্দশা ততই বাড়তে থাকবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন