দেশ বাঁচাতে প্রয়োজন ___সালাহ উদ্দীন চৌধুরীর মত সাহসী বক্তা,কোর্টে ব্যারিষ্টার রাজ্জাকের মত কিছু তীক্ষ বুদ্ধির লোক....আর মিডিয়ায়....মাহমুদুর রহমানদের....

লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ০৪ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৪৬:৪৫ বিকাল





কারান্তরীণ যুগশ্রেষ্ঠ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তার কোন এক লেখায় বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়টা আসলেই জামায়াত নেতাদের মুখ মলিণ হয়ে যায়। তারা কখনো এ বিষয়টা নতুন প্রজন্মের কাছে ক্লিয়ার করেনি। শক্তিশালী কোন ডিপেন্স দেওয়ার চাইতে কাছুমাছু দিয়ে দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করার ফলেই আওয়ামীলীগ এ একটি বিষয় নিয়ে প্রত্যেকবার মাঠ গরম করার চেষ্টা করে।

লেখাটি সম্ভবত বছর চারেক আগে নয়াদিগন্ত পত্রিকায় লিখেছিলেন।

যুদ্ধাপরাধ নামক মূলার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ জামায়াতবদ করার যে চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ অবশেষে বুঝেছেন এবং সে অনুযায়ী ডিপেন্স অলরেডি দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতি হচ্ছে ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী বালীকে ভারতের কারাগারে আবিষ্কার, স্কাইপে কেলেঙ্কারী, নিজামী সাহেবের সাক্ষী নান্নু মিয়ার ভিডিও এবং সর্বশেষ রায় ফাঁসের ঘটনা।

হাল আমলের বিডি টুডেও তাতে কম যায় না। ইতিহাস হয়ে গেল নব এই ব্লগটি।

আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবকে কসাই কাদের কিংবা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেলু শিকদার থেকে শুরু করে ... কি না করেছে আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনাল যে বিরোধীদল ধ্বংশীয় ট্রাইব্যুনাল এটা বিএনপির নেতারা না বুঝলেও জাতি বুঝেছে।

আমরা দেখেছি জামায়াত নেতাদের রায় নিয়ে বিএনপি নেতাদের পিছলামো স্বভাব। মধ্যপন্থার ভান ধরা! এতদিনতো জামায়াত নেতারা পিছলাতেন সেটা বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা দিল। জামায়াতকে পিটালে বিএনপি'র কি? এমন ভাব ছিল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে।

সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুরীর রায়ের পর এখনতো আওয়ামীলীগের নেতারা বলা শুরু করেছেন, বিএনপিও যুদ্ধাপরাধীদের দল!!!! তাতেই ওনাদের লেগেছে! শ্রদ্ধেয় সাবেক বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, যারা এ ধরণের বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের সাথে জড়িত তাদেরও বিচার করা হবে। আমি ওভার শিওর তাতেই আওয়ামীয় ট্রাব্যুনালের ৯০ ভাগের প্যান্ট ভিজে গেছে। হাদারামরা তো ভাড়া করা লোক দিয়ে বিচারের নামে অবিচার করেছে। আর কোনদিন তাদের বিচার শুরু হলে টস দিতে হবে কে কে সাক্ষী দেওয়ার সৌভাগ্যবান ব্যক্তি!!!

কেনরে বাপু? এই ঝাড়িটা তিন দুই বছর আগে দেওয়া যেত না? তাহলেতো শেখ হাসিনার হাত এত বাড়া বাড়তো না!

পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলবো, এক আওয়ামীলীগকে থতমত খাইয়ে দেওয়ার জন্য একজন সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুই ছিলেন যথেষ্ঠ। তার মত সাহসী নেতা বিএনপিতে দ্বিতীয়টি ছিল না, বর্তমানেও নাই ...ভবিষ্যতেও আসবে না।

আওয়ামীলীগ হচ্ছে একটি নেকড়ের দল। যেখানে নিজ দলীঢ নেতা কিংবা বিরোধীদল তথাপি দেশ নিরাপদ ছিল না(৭২-৭৫ কিংবা ৯১-৯৬)। আজও নাই। থাকবেও না। তাহলে সমাধান কি?

অলওয়েজ মাইরের উপ্রে রাখা। সেটা ভেতর বাহির দু দিক থেকেই। প্রয়োজন কিছু সালাহ উদ্দীনের মত সাহসী বক্তা। দরকার কোর্টে ব্যারিষ্টার রাজ্জাকের মত কিছু তীক্ষ বুদ্ধির লোক....আর মিডিয়ায়....মাহমুদুর রহমানদের।

বিষয়: রাজনীতি

১২২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File