অতি শিক্ষিত নয়, অতি ক্যারিয়ারিস্ট মেয়েদের নিয়ে যত বিপদ!

লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ৩০ জুন, ২০১৩, ০৭:১৮:১৯ সন্ধ্যা



ডমিনেটিং করা কোন ছেলেই বরদাস্ত করবে না। হোক না তা কমশিক্ষিত-গেঁয়ো (!) কিংবা বউয়ের উপর নির্ভরশীল।

তাহলে কথা হচ্ছে কেন চাকুরীজীবী নারী আর পুরুষের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না? কেন বিচ্ছেদের হার বেড়েই চলেছে?

আমাদের আপুরা অনেক উদাহরণ দিয়েছেন। অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছেন। সেখানে গ্রামের, অশিক্ষিত বলে এক হাত নিতেও পিছপা হননি।

শিক্ষিত বউদের বিপদ

প্রথমেই আসি, শিক্ষাটা কেন মানুষ গ্রহণ করে? এ কনসেপ্ট টা ক্লিয়ার থাকতে হবে। না হলে সকল আলোচনা-পর্যালোচনা, যুক্তি-তর্কই বৃথা যাবে।

শিক্ষা গ্রহণের মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান আহোরণ করা। নিজের মূল্যবোধকে সুউচ্চ করা। নিজেকে জানা, নিজের সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্যকে জানা।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বে "পড়াশোনা করে যে গাড়ী-ঘোড়ায় চড়ে সে" থিওরির মত চাকুরীটাই পড়াশোনার মুখ্য উদ্দেশ্য। যার ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষিত লোক বের হয় না, বরং কিছু লোক বের হয় যারা গোলামী করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে!

শিক্ষিত নারী কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্ব উন্নয়নের জন্য তা নেপোলিয়ন বলে গেছেন তার সে বিখ্যাত উক্তির ("আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব") মাধ্যমে, । কিন্তু আমাদের সমাজে মেয়েদের সিংহ ভাগ এখন কে শিক্ষিত হয়ে কত বড় চাকুরে হবে..এ নিয়ে ব্যস্ত।

না! প্লিজ ভুল বুঝবেন না। আমি নারী প্রগতির অন্তরায় নই।

কথা হচ্ছে, যেখানে ইসলাম নারীকে চাকুরি করার অনুমতি দিয়েছে সেখানে দুনিয়াতে কোন আইন নেই তা রহিত করার। কিন্তু কষ্ট লাগে তখন, যখন আমরা নারীকে চাকুরী করার অধিকার ইসলাম দিয়েছে-এই কথা বলছি তখন কেন বলছিনা কোন কোন শর্তে সে অধিকার দেওয়া হয়েছে?

ক্যারিয়ার আগে না পরিবার আগে?এটা আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উচ্চ শিক্ষিত নয়। উচ্চ ক্যারিয়ারিস্ট নারী কখনোই তার পরিবারকে কিছু দিতে পারে না। বরং ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরিবার প্রথাকে ধ্বংশ করে দেওয়া হচ্ছে। ক্যারিয়াস্টি সব সময় নিজের ধ্যান থাকে নিজেকে কিভাবে আরো উঁচুতে নিয়ে যাবে। তখন সে সব কিছু স্যাক্রিফাইস করে হলেও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায়। পরিবার-বাচ্চা/কাচ্ছা তখন তার কাছে বার্ডেন মনে হয়। কি দরকার বাবা এসব ঝামেলা পোহানোর!!! অন্যদিকে নিজের জৈবিক চাহিদাকে তো আর অস্বীকার করতে পারে না। তাইতো লিভ টুগেদার বাড়ছে।

ঢাকায় বাড়ছে লিভ টুগেদার

বাড়ছে পারিবারিক কলহ! ফলশ্রুতিতে শহুরে জীবনে ডিভোর্সের হার বাড়ছে জ্যামিতিক হারে।

বাড়ছে তালাক ভাঙছে ঘর

আবার অনেকে নতুন নতুন থিওরি নিয়ে আসছেন। সন্তানকে ডে কেয়ার হোম এ রেখেও নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চাকুরি করা যায়! এ সব আজগুবি তথ্য দিয়ে প্লিজ বিভ্রান্ত করবেন না।

এ নিয়ে একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি। এক বড় ভাই বললেন তিনি তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে মহা মুসিবতে আছেন। জানতে চাইলে বললো, বললো তিনি এবং তার ওয়াইফ দুই জনেই জব করেন। ছেলেকে দেখাশোনা করেন কাজের বুয়া। কাজের বুয়া আবার বস্তিতে থাকে। উক্ত ভাইয়ের সম বয়সী একটি ছেলে আছে। ভাই এবং ভাবী যখন বাহিরে থাকেন তখন বাবুটা বুয়ার ছেলের সাথে খেলা করে। তো একদিন দেখছে তার ছেলে খারাপ কয়েকটি বাক্য উচ্চারণ করলো। ভাইয়া-ভাবী তো অবাক! ছেলে এ সব শিখলো কোথা থেকে। পরে বাবুকে আদর করে জিজ্ঞাসা করলে, সে জানায় এসব সে কাজের বুয়ার ছেলের নিকট থেকে শিখেছে। সিদ্ধান্ত নিলো না ভাবীর চাকরি আর নয়।

সুতরাং যারা নিজের সন্তানকে কায়ের বুয়ার কাছে রেখে মানুষ করতে চান তারা অনেকটা তেতুঁল গাছে আঙ্গুর ফল ফলানোর স্বপ্ন দেখছেন।

আর একটি বিষয়ের অবতারণা করি। যারা নিজেকে শহুরে বলে বেশ ভাব দেখাচ্ছেন তাদের শেকড়ও গ্রামেরই। অবশ্য কেউ যদি নিজের আত্ম পরিচয় দিতে হীনম্মন্যতায় ভোগে তার জন্য করুণায় হয়। তবে এতুটুক বলতে চাই, এখনো পারিবারিক সম্প্রীতির বন্ধন, সহমর্মিতা কিংবা আত্মত্যাগের মহিমা তা গ্রামের লোকজনের মধ্যেই দেখি। শহুরে "খেয়ে এসেছেন, না গিয়ে খাবেন" টাইপের পরিবার থেকে শেখার কিছু নেই। এখানে সবাই স্বার্থান্ধ। একেকটা রোবট!



বিষয়: বিবিধ

২১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File