নাস্তিকতা আর হলুদ মিডিয়ার বিপরীতে সিবিএফ'র যাত্রা...
লিখেছেন লিখেছেন মু নূরনবী ২২ মে, ২০১৩, ০৭:২৩:৪৩ সন্ধ্যা
টুকিটাকি লেখালেখির কারণেই ব্লগিং এর সাথে পরিচিত হই আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে। আস্তে আস্তে পত্রিকার পাতা থেকে ভার্সুয়াল জগতে পা রাখতে শুরু করলাম। পড়াশোনা টেকনিক্যাল লাইনে হলেও মিডিয়া/লেখালেখির প্রতি কিছুটা ঝোঁক, স্বল্পকালীন সাংবাদিকতার ফলে সাংবাদিক কমিউনিটির একটা অংশ এবং নিজস্ব সার্কেলে সাংবাদিক হিসেবে কিছুটা পরিচিতি পেলাম!
আর দশ জনের মত ডিজিটাল হতে গিয়ে আমিও ধীরে ধীরে কাগজের পাতা থেকে ভার্সুয়াল জগতে চলে এলাম।
এই বছর খানেক আগেও যখন কেউ জিজ্ঞেস করতো, কি লেখালেখি চলে? বলতাম, হ্যাঁ ব্লগিং করি। ভ্রু কুঁচকে বলতো, ব্লগিং? সেইটা আবার কি??
অনেককে বুঝাতে পারতাম, অনেককে পারতাম না।
শিক্ষিত সমাজও এর বাহিরে ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রও জানতো না ব্লগিং কি! আরব বসন্তের পর শিক্ষিত শ্রেণীর একটি অংশ জানলেও বিরাট একটি গোষ্ঠী ছিল অন্ধকারে।
শাহবাগের 'বিরানী পার্টি'র কল্যাণে দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা এখন ব্লগিং শব্দের সাথে পরিচিত। তবে বেশীর ভাগের ধারণা ব্লগার মানেই নাস্তিক!
অথচ হাতে গোনা কয়েকটি কুলাঙ্গারকে সব সময় যুক্তি দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছে সাইবার জগতের হক পন্থীরা।
শুধু বাম-রাম কর্তৃক অন্যান্য মিডিয়ার মত ব্লগিং পাড়ার নিয়ন্ত্রণ এসব উচ্ছিষ্টদের হাতে থাকার কারণে তাঁরা পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। বরং ব্যান খেতে হয়েছে। এই ব্যানটা বাকশালের ডিজিটালরুপ।
সত্যপন্থী, আল্লাহপ্রেমী ব্লগাররা শাহবাগীদের কলঙ্কের দায় কেন নেবে?
তাইতো জন্ম হয়েছে 'সিবিএফ' বা 'কমিউনিটি ব্লগারর্স ফোরাম'।
Community Bloggers Forum - CBF
না...আমরা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য আসিনি। সতের কোটি মানব সন্তানই এ দেশের। আমরা সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা কোন ভেদাভেদ চাই না। আমাদের দেশটা আমাদেরকেই সাজাতে হবে। আমাদের রাজনীতিকরা আজ স্পষ্ট দু ধারায় বিভক্ত। আমরা বিশ্বাস করি যারা বিভেদের রাজনীতি করছে তারা ভিন্ন দেশের তাঁবেদারী করছে। আমরা যেমন চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, আমারদেশ বন্ধের নিন্দা জানাই। তেমনি জোট সরকার কর্তৃক একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধের প্রতি ঘৃণা জানাই।
আমরা সুশীল সাজতে চাই না। আমরা সত্য কথা বলতে চাই। আমরা ঝাটিয়ে দিতে চাই সে সকল সুশীলদের যারা নারী অধিকার নিয়ে কথা বলে কিন্তু পরিমলদের ঠিকই নিজের আঁচলে রাখে। আমরা ধিক্কার জানাই তাদের যারা হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কিন্তু বিশ্বজিতদের হত্যার সময় বালিতে মুখ গুজিয়ে রাখে। আমরা তীব্র ঘৃণা জানাই তাদের যারা গাছ কাটা নিয়ে অশ্রু বিসর্জন দেয় অথচ শত শত মানুষ হত্যায় তারা মুখ খোলে না।
মাহমুদুর রহমান-একরামুল হক-মোহায়মেন-ফারাবী-?
এরপর কে?
তাই রুখে দিতে হবে সকল কন্ঠরোধের অপচেষ্টা। আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। গণতন্ত্রের আড়ালে বাকশাল চাই না।
আসুন...
এখানে কেউ নেতা নয়। প্রত্যেকে মজলুম। প্রত্যেকে দেশপ্রেমিক। প্রত্যেকে হকপন্থী।
পাশে পাবো কি বন্ধু তোমায়?
জেনে রেখো আমাদের এই পথ চলা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানের জন্য।
একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গড়ায় প্রত্যয়ে।
বি:দ্র: ডিজিটাল সরকারের রোশানলে ডাউনলোড স্প্রীড কম থাকায় পূর্বে পোষ্টে বাকি অংশ আসেনি। যারা পূর্বের পোষ্টে কমেন্ট করেছেন, তাদের ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন