নাশকতাকারীঃ ধরা না পড়লে অবশ্যই বিএনপি-জামাত, তবে যারা ধরা পাড়েছে তাদের কথা জিজ্ঞেস করে বিব্রত করবেন না, প্লিজ!

লিখেছেন লিখেছেন শরীফ নজমুল ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:০৩:২৮ বিকাল

কদিন আগে শাহবাগে বাসে আগুন জ্বালানো হলো। মানুষ মারা গেলেন, বেশ কয়েকজন অমানুষিক যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটপট করছেন। হুকুমের আসামী হিসাবে বড় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো, গ্রেফতার হলো, প্রধানমন্ত্রী বার্ণ ইউনিট ঘুরে রাজনীতির পুজি সংগ্রহ করে ফেললেন। যেটা হলোনা এবং সম্ভবত হবেওনা, তা হলো প্রকৃত আসামীদের ধরা এবং এর মুল হুকুমদাতা দের খুজে বের করা।আমাদের পুলিশ কি এতই অসহায়, অকর্মণ্য? নাকি তাদের আসল কাজ করতে দেয়া হয় না?

মিলিওন ডলার প্রশ্ন কার হুকুমে এই মানুষ পোড়ানো? চায়ের টেবিল গরম। লাঞ্চের টেবিল সরগরম। যে বন্ধু কিম্বা কলীগ রাজনীতি নিয়ে সাধারনত কথা বলেন না কখনো, তিনিও বিরক্ত-হতাশ।

যারা বিএনপি করেন তারা বলছেন এটা আওয়ামী লীগের কাজ। তবে অবরোধ যেহেতু বিএনপি-জামাতের এবং তাদের স্টাইল যেহেতু চোরাগোপ্তা আক্রমন, সেহেতু তারাও এর দ্বায় এড়াতে পারছেন না। আর যেহেতু হামলাকারী ধরা পড়েনি, তাই মিডিয়া-পুলিশ-সুশীল সমাজ সাথে আওয়ামী লীগ এই দ্বায় চাপিয়ে দিচ্ছে বিরোধী জোটের উপর।

এবার আরেকটা কথা মনে করিয়ে দেই, বেশী দিন আগের কথা নয়, ভুলে যাবার কথা নয়।

বিনপি-জামাতের হরতাল চলছে।খবর এলো পুরান ঢাকায় এক কর্মজীবি তরুন কাজে যাবার সময় তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে হয়েছে। এ রকম খবরে আপনি কি ধারনা করবেন? এই হত্যাকারী কোন দলের? সাধারন সিদ্ধান্ত হবে পিকেটারা এই কাজ করেছে যারা হরতাল আহবানকারী দলের হয়ে থাকে। সুতরাং এই হত্যার দ্বায় অবশ্যি বিএনপি-জামাতের উপর বর্তায়! কিন্তু এই ঘটনা যেহেতু ক্যামেরায় ধরা পড়ে গেল তাই সত্য প্রকাশ হয়ে গেল!! দেখা গেল হত্যাকারীরা কিন্তু বিরোধী জোটের নয়, সরকারী দলের! বিশ্বজিতের সাথে ছাত্রলীগের কোন শত্রুতাও ছিলনা। তাহলে কেন তাকে এত নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো? শুধু হরতালকারীদের দেশবাসীদের কাছে হেয় করবার জন্য নয় কি?

যুবলীগ নেতা মিল্কীকে হত্যাকারী যদি শপিং মলের সিসি ক্যামেরায় ধরা না পড়ত তাহলে সাধারন মানুষ কি কোনদিন জানতে পারত কি তাকে কে হত্যা করেছে? কিম্বা নারায়নগঞ্জের ত্বকী হত্যাকান্ড স্মরন করুন। ত্বকীর বাবা স্থানীয় গণজাগরন মঞ্ছের সাথে জড়িত ছিল। কত সহজেই তার হত্যাকারীকে জামাত-শিবির বলে চালানো যায়! কিন্তু ত্বকীর বাবার দৃঢ় প্রতিবাদের কারনে আজ দেশবাসী জানে ত্বকীর হত্যাকারী কে। এবং ইতিমধ্যে দেশবাসী এটাও জেনে গেছে এর জন্য হত্যাকারীকে কিভাবে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

যারা ধরা পড়েছে তাদের কথা আমরা না বলি, কারন তাতে অনেকেই বিব্রত হন। বরং যারা ধরা পড়েনি, তাদের তাদের বিএনপি-জামাত বলে চালিয়ে দেই, সেটাই সহজ, সেটাই সময়োপযোগী। অনেক বছর আগে এই শাহাবাগেই বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারার সুচনা হয়েছিল, সেটার কথাও দয়া করে তুলবেন না, ওটার আবার স্বীকারোক্তিমুলক ভিডিও পাওয়া যায় ইউটিউবে খুজলে, জানবেন যে ওটা ভুয়া।

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File