ভিকারুন্নেসার পর এবার অগ্রণী ব্যাংকে নতুন আরেক পরিমল!! (ভিডিও সহ)
লিখেছেন লিখেছেন নীলসালু ০৭ মার্চ, ২০১৬, ০৬:৪৮:৩৫ সন্ধ্যা
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি আর কেউ নয়, ইয়াদ নামধারী আরেক নতুন পরিমল৷ পেশায় যিনি একজন অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা৷ তিনি বিবাহিত এবং এক বাচ্চার বাবা হওয়া সত্ত্বেও নিজের প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে মেয়েদেরকে ইমোশনালি ব্লাকমেইল করে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে আসছে অনেক দিন আগে থেকেই৷ হোক...সেটি ফেসবুক কিংবা ফেসবুকের বাইরে৷
ফেইসবুক আইডি অনুসারে তার নাম- Tashreer R. Yaad
সাহিত্যিক ছদ্মনাম- অরণ্য সৌমিক
আসল নাম- এইচ এম মেহেদি রাকিব৷
একমাত্র বাচ্চার নাম- মাশরুর দৃক আয়ান
একমাত্র স্ত্রীর নাম- মাশরুফা তাসনুভা তানজিলা
স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম: পারকল, পোস্ট+থানা: বড়ইগ্রাম, জেলা: নাটোর।
বর্তমান ঠিকানা+কর্মস্থল-
এ এইচ এম মেহেদী রাকিব
(পার্সোনাল নং- ২৩১২২০)
সিনিয়র অফিসার
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
সি কে ঘোষ রোড শাখা, ময়মনসিংহ
ফোন- 091 55776
এর আগে রাকিব সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলো অগ্রণী ব্যাংক, হরিয়ান শাখা, রাজশাহীতে৷ সেখানে একই কর্মকান্ডের কারণে তাকে বদলি করা হয় ময়মনসিংহ৷
অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহীর হরিয়ান ব্রাঞ্চে রাকিবের সঞ্চয়ী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার- 100101636, যা খোলা হয়েছিলো ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে৷
এছাড়াও তার ন্যাশনাল ব্যাংকে আরেকটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে৷ যার মাস্টার কার্ড নাম্বার- 1605 1755 8197, যেই কার্ডের মেয়াদ জুন, ২০১৯ সাল পর্যন্ত৷
রাজশাহীর হরিয়ান শাখায় থাকাকালীন ২০১৩ এর জুনে সে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলো৷ যার রোল নং- 5019 এবং এনরোলমেন্ট নং- 137556
এছাড়াও, সে ময়মনসিংহ, ঘোষ রোড বদলি হবার পর ২০১৫ এর ডিসেম্বরে আবারো ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে৷ যার রোল নং- 45292 এবং এনরোলমেন্ট নং- 137656
কর্মকান্ড বর্ণনা-
ব্যাংক জীবনে ঢুকার আগেই রাকিবের সাথে তার স্ত্রী তানজিলার প্রেমের সম্পর্ক হয়৷ শারীরিক সম্পর্ক হয় একের অধিকবার৷ এক পর্যায়ে তানজিলা বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে, কিন্তু রাকিব তানজিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ বাধ্য হয়েই তানজিলার পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়৷
নিজের ব্যাংক চাকুরী রক্ষা করতে রাকিব তখন ২০১০ সালে তানজিলাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়৷ আগের বাচ্চাটিকে তানজিলা নষ্ট করে ফেললেও বিয়ের পর ‘আয়ান’ নামের আরেকটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি৷ অর্থাৎ, চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই রাকিব বিবাহিত এবং ১ বাচ্চার বাবা৷
কিন্তু এই সত্যি পরিচয়টি লুকিয়ে নিজের নাম পাল্টিয়ে মেহেদী রাকিব থেকে কখনো ‘ইয়াদ’ কিংবা কখনো ‘সৌমিক’ নামে মেয়েদের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এবং তারপর শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে বছরের পর বছর থেকে৷ তার এই কর্মকান্ডের বিস্তার সমগ্র বাংলাদেশে৷ ময়মনসিংহ থেকে রংপুর-দিনাজপুর-লালমনিরহাট-রাজশাহী-ঢাকা-বরিশাল-চট্রগ্রাম, বাদ যায়নি সিলেটও৷
প্রথমে প্রেম তারপর ২-৩ মাসের মাথায় সেই মেয়ের এলাকায় গিয়ে হোটেল ভাড়া করে শারীরিক সম্পর্ক এবং তার ঠিক ২ দিনের মাথায় সেই মেয়েটিকে ভুলে যাওয়া যেন এই ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য টিস্যু পেপারের মতই বস্তু হয়ে গেছে৷
মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করার স্টাইল টা তার সবার থেকে ভিন্ন৷ সে সব মেয়েকেই ‘সে তার বাবা মায়ের কুড়িয়ে পাওয়া সন্তান, এতিম খানায় বড় হয়েছে, সে একা’ ইত্যাদি বলেই ইমোশনাল ভাবে দুর্বল করে এবং এক পর্যায়ে তাদের সাথে সম্পর্ক করে৷
এর জন্য সে ব্যবহার করে প্রায় বহু সংখ্যক ফোন নাম্বার–
+8801717 499522
+8801617 499522
+8801797 147806
+8801709 210448
+8801788 002177
+8801710 210078
ঢাকা কেন্দ্রিক মেয়েদের জন্য ঢাকার খিলগায়ে তার একটি মেস রয়েছে৷ যেখানে সে ঢাকা ও তার আশেপাশের মেয়েদের নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক করে ও ভিডিও করে থাকে৷
প্রায় কয়েক মাস আগে ওই মেসেই বরিশালের একটি মেয়ের সাথে সে সম্পর্ক করে এবং ওই মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়৷
দিনাজপুর সরকারী কলেজের আরেকটি মেয়ের সাথে সে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এবং করে একের অধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছিলো।
সর্বশেষ, গত ১ ফেব্রুয়ারী লালমনিরহাট গিয়ে লালমনিরহাট নর্থ-বেঙ্গল গেষ্ট হাউজে একটি মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, ভিডিও করে এবং ২ তারিখে লালমনিরহাট থেকে রংপুর গিয়ে ওই মেয়েটির সাথে ব্রেকাপ করে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়৷
কিন্তু মেয়েটি যখন পরে শুনতে পায় সে বিবাহিত এবং মেয়েটির সাথে প্রতারণা করেছে, তখন মেয়েটি আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ একই সাথে মেয়েটি তার নিজের মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে তার স্ত্রী এবং ব্যাংকে গিয়ে কমপ্লেইন করার সিদ্ধান্ত নিলে রাকিব মেয়েটির কাছে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে৷
নিচের ভিডিওতে প্রথম ৪ মিনিট আলাদা, এবং পরের ১০ মিনিট আলাদা৷ যেখানে ব্যাংক কর্মকর্তা রাকিব কে মেয়েটির সাথে ব্রেকাপ নিয়ে তর্ক করতে দেখা যায়৷ কিন্তু পরবর্তিতে মেয়েটি যখন আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন রাকিব তার দোষ স্বীকার করে মেয়েটির কাছে ক্ষমা চায়৷
দেখুন তার স্বিকারত্তির ভিডিওটি-
মেয়েটির কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার আরো কিছু প্রমান দেখুন-
একেক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রাকিব-
খিলগায়ে নিজের পরিচালিত মেসে আপত্তিকর অবস্থায় রাকিব এবং একটি ভেক্টিম মেয়ে, ছবিগুলো ভিডিও থেকে ক্রপ করে নেওয়া। যা রাকিব ভিডিও করেছিলো এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিলো-
লালমনিরহাট অন্য আরেকটি মেয়ের সাথে শারিরিক সম্পর্ক করার সময় হোটেলের রুমে তোলা ইয়াদের ছবি এবং ইয়াদ ওরফে রাকিবের ব্যাগ-
কিন্তু তাই বলে থেমে নেই তার প্রতারনামূলক কাজ৷বর্তমানে সে মিমলী নামক একটি মেয়ের সাথে প্রেম প্রেম খেলায় লিপ্ত, হয়তো মিমলীর শেষ পরিণতিও বাকি মেয়েদের মতই হবে......তারপর আবার নতুন কোনো মেয়ে......
কিন্তু এভাবে আর কত????
আর কত এভাবে সহজ সরল মেয়েদের ইমোশনাল ব্লাকমেইলের সম্মুখীন হতে হবে??
আর কত এভাবে নব্য পরিমলেরা লুটে নেবে আপনার আমার সহজ সরল বোনের ইজ্জত??
এত কিছুর পরেও কি অগ্রণী ব্যাংক অথরিটি এই নব্য পরিমলকে তাদের প্রতিষ্ঠানে রাখবে?????
উত্তর কি আছে জাতির কাছে???????
(নতুন তথ্য যোগ করা হচ্ছে....)
বিষয়: বিবিধ
১৮৭০০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি এত তথ্য কোথা থেকে সংগ্রহ করলেন?
তাছাড়া ছেলেটির সাথে আপনারই বা সম্পর্ক কিসের?
তার এত কর্মকান্ড প্লাস ভিড়িও কোথা থেকে সংগ্রহ?
উলঙ্গ ছবি ২টি ডিলেট করে দিলে ভালো হয়।
পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন