সহীহ্ প্রশ্নফাঁস নামা...!
লিখেছেন লিখেছেন নীলসালু ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০৩:২৮ দুপুর
শুধুমাত্র ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, ৪ বছরেই বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৩টি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে ২০১০ সালের ২১শে জানুয়ারি।
বাদ যায়নি ২০১৩ এর ভর্তি পরিক্ষা, আর সর্বশেষ ২০১৫ একের অধিক ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রতি সিট ৩-৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে লীগের ক্যাডারেরা।
২০১৩ এর পর ২০১৫, জগন্নাথের ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবার ঘটনা ইতিমধ্যেই সবার জানা।
১৯৯৯, ২০০৬, ২০১০, ২০১১, ২০১২ এর পর সর্বশেষ ২০১৫, মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। ফাঁসকৃত প্রশ্নেই পরিক্ষা নেওয়া হয়।
২০১৫, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতি সিট বিক্রি হয়েছে ২০ লাখ টাকায়।
২০১৫, HSC-SSC উভয় পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
তারও আগে-
- ২০১০ সালের ৮ই জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার তিনটি সেটের সবটাই ফাঁস হয়।
- ২০১০ সালের ১৬ই জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১০ সালের ২৮শে আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১০ সালের ৮ই জুলাই সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১০-১১ সালে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১১ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সিন্ডিকেট চক্রের ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
- ২০১১ সালে অডিট বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১২ সালের ২৭ শে জানুয়ারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়।
- ২০১২, ২৭ শে জুলাই জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১২ এর ৩ আগস্ট জতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১২, ২১শে সেপ্টেম্বর ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই এটিরও প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়।
- ২০১২ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সব কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১২, ২১ ও ২২শে নভেম্বর শিশু শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (পিএসসি) গণিত ও বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
- ২০১৩, ১২ই অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
- ২০১৩, ১২ ও ১৯ শে অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
- ২০১৩, ১২ই অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হল থেকে ফাঁস হয়।
- ২০১৩, HSC পরিক্ষার ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ২০১৩ ও ২০১৪ সালের PSC ও JSC পরীক্ষার সবগুলো পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
- ২০১৪, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ইংরেজি, বাংলা, গণিতসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।
- ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আলোচিত এসএসসি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নও দু’বার ফাঁস হয়েছে।
- ১৯৯৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
- ১৯৯৯ সালে আবার এসএসসি পরীক্ষার আগে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।
- ১৯৯৯, তে ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই মেডিক্যাল ভর্তি পরিক্ষা নেওয়া হয়েছিলো।
বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রবণতা শুরু হয়। গত শতকের সত্তরের দশক থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও গত পাঁচ বছরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ একটি নিয়মিত ঘটনা হিসেবে জাতির কাছে পরিচিত।
কিন্তু কেন?????????? !!!!!
জনৈক ব্যাক্তি বলেছিলেন তুমি যদি কোন জাতিকে ২০০ বছর নিরবিছিন্ন শাসন শোষণ করতে চাও তবে নিচের কাজ গুলো সম্পন্ন কর।
১. ঐ জাতির সুশিক্ষিত লোকদের হত্যা কর।
২. সকল জ্ঞান ভাণ্ডার তথা বই/লাইব্রেরি ধ্বংস কর।
৩. ঐ জাতির মাঝে এমন কিছু শিক্ষিত লোক ছড়িয়ে দাও যারা আসলে তোমার পদলেহন কারী।
আমাদের ভেবে দেখা দরকার যে, আসলে আমরা কি জনৈক ব্যাক্তির কথা অনুসরন করনেওয়ালা কোন ধূর্ত শিয়ালের ফাঁদে আঁটকে আছি বা যাচ্ছি কিনা।
****আসলেই ভেবে দেখা দরকার!!!
.
(ফেসবুকে দেখুন)
বিষয়: বিবিধ
৫৪৫৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই জন্যেই প্রশ্নফাস করা হচ্ছে বারবার!
নাহলে কারো বাবার ক্ষমতা ফাঁস করার! ... খাড়ার উপর চাকরী যেত।
শিক্ষার হারের রিপোর্ট জাতিসংঘে পাঠানোর মতলব।
সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ডের জন্য এসব জাতি বিনাশি কাজ বড়ই প্রয়োজন। নাহলে নির্বাচন ডাকাতরা ক্ষমতায় থাকা আরো বড় সমস্যা হত।
মূলত দেশ স্বাধীন হবার পর ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে এরকম কিছু একটা আনতে চাওয়া হয়েছিল । পররাষ্ট্রনীতিও বানানো হয় ভারতের এপ্রুভাল নিয়ে ।
আগামী ১০-১৫ বছর পর বাংলাদেশের শ্রম বাজারের (সরকারী ,বেসরকারী তো আগে থেকেই আছে) বড় বড় পোস্টে থাকবে ভারতীয় আই.সি.এস. এর লোকেরা।
১০ মাস ১০ দিনের শুভেচ্ছা... ;
অনেকদিন আপনার সঙ্গে ব্লগে আছি...
মন্তব্য করতে লগইন করুন