কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে কার্নিভালের ব্যানারে চলছে ধোকাবাজি আর রমরমা ব্যবসা; মূল হোতা কথিত বি-করিম ও তার স্ত্রী লিমা কবির৷

লিখেছেন লিখেছেন নীলসালু ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৪৪:০৬ রাত

(আরো বিস্তারিত দেখুন ফেসবুকে- এখানে ক্লিক করুন!!

"কার্নিভাল" কুষ্টিয়ার একটি ইভেন্ট মেনেজমেন্ট কোঃ এর নাম।

নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক আইনগত কাগজপত্র৷ নেই প্রশাসনের অনুমতি পত্র৷

অথছ, সব কিছুকে ডিঙিয়েই কুষ্টিয়ায় বছরের পর বছর চলছে ‘কার্নিভাল’ এর মত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ বিজনেস৷ যার মালিক বনে আছেন কথিত এক ব্যক্তি৷ নাম বি করিম৷ সাথে আছে স্ত্রী লিমা কবির৷

কখনো সাজেন ডলার, কখনো সোহাগ, আবার কখনো বা বি-করিম৷ কখনো নিজের স্ত্রীকে দেন বোন পরিচয়, আবার স্ত্রীও নিজের স্বামীকে ভাইয়ের পরিচয় দেন নানা জায়গায়৷ অথছ খবর নিয়ে জানা যায় দু জনেই স্বামী-স্ত্রী৷ প্রমান- এই ফোনালাপ

(ছবিতে, বি-করিম ওরফে সোহাগ এবং তার স্ত্রী লিমা কবির)



কুষ্টিয়ার প্রাণকেন্দ্রেই কোর্টপাড়ায় সনো টু এর পাশেই দ্বিতল ভবনের মালিক এই বি-করিম৷ কার্নিভালের প্রাতিষ্ঠানিক লাইসেন্স আছে দাবি করলেও আদৌ তা কেউই দেখেন নি, কেউ বুঝেনওনি লাইসেন্স থাকা স্বত্তেও কেন একজন ব্যাক্তি নিজের বাড়িকেই বছরের পর বছর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন৷

নিজেকে দাবি করেন বিশাল বড় ফটোগ্রাফার, অথছ ফটোগ্রাফির উপরেও নেই কোনো বড় ধরনের ট্রেনিং সারটিফিকেট৷ মূল পেশা ফটোগ্রাফি হলেও...এটিকে তিনি বিবেচনা করেন অপশনাল কাজ হিসেবেই৷ মূল কাজ.....রক্ত ব্যবসা, শীতবস্ত্র বিতরণের নামে মানুষের কাজ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থ আত্মসাৎ করা।



দেখুন অনলাইনে মানুষকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করার নমুনা।

মানুষের সমস্ত শরীরে প্রবাহমান হয় যেই তরল জিনিসটি৷ যা অনুমতি ব্যতীত কেনাবেচা করা আইনত দন্ডনীয়৷ সেই রক্ত নিয়েই খেলা করেন বি-করিম৷ ফেসবুকে গ্রুপ তৈরী করে মানুষকে রক্ত দেওয়ার নাম করে রক্ত সংগ্রহ করলেও বেশিরভাগ সময় সেই রক্ত রোগীর কাছে না গিয়ে হারিয়ে যায় অজানায়৷ আবার কখনো বা রোগী না থাকলেও রোগীর নাম ভাঙ্গিয়েই সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করেন তিনি৷ পরবর্তিতে আর খুঁজে পাওয়া যায়না মূল্যবান সেই রক্ত৷ যারা রক্ত নিয়ে কাজ করেছে, তারা হরহামেশাই বিপাকে পড়তে শুরু করে। তারপর যখন তারা সবাই রুখে দাড়ায়, তখন বি করিম এবং লিমা কবির তাদের ফোন কলের জবাব দেয়া বন্ধ করে দেয়। ফেসবুক থেকে ব্লক করে দেয় জবাব চাওয়া রক্তযোদ্ধাদের। অথবা গালিগালাজ করে দলবল নিয়েই।



দেখুন জবাব চাওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে বি-করিমের করা হুমকি মন্তব্য।



ছবিতে এমনভাবে কমেন্ট করেছে মনে হচ্ছে জবাব তার কাছে রেডি করা আছে, কেউ চাইলেই কপি পেস্ট করবে। চোর যেমন চুরি করার আগেই বাহানা রেডি রাখে।

যৌক্তিক জবাব এবং প্রমান তো দেয়নি, উল্টা নিজের ফেসবুক আইডি নিজেই বন্ধ করে রেখে অন্যদের দিয়ে প্রচার করছে তার ফেসবুক আইডি নাকি হ্যাক হয়েছে।



রক্তের প্রয়োজনে কল করার জন্য কার্ড বানানো হয়েছে, কিন্তু এই নাম্বারে রক্তের জন্য কল করে গালি আর অবহেলা সহ্য করা একের অধিক প্রমান পাওয়া গেছে। যেমন, ভিডিওতে নাসিমা নামক মহিলার রেগুলার রক্তের দরকার হয়। করিম তার নাম ভাঙিয়ে প্রতিনিয়ত রক্তের পোস্ট দিতো ফেসবুকে। রক্ত ম্যানেজও করে দিতো রক্তযোদ্ধারা, কিন্তু মাত্র দুইদিন নাসিমকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। বাকী রক্ত কোথায়????

এখন প্রশ্ন, কার্নিভাল কি ব্লড ব্যাংক?? নাকি সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান?? নাকি ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান???

শীতবস্ত্র বিতরণের নাম করে ফেসবুকের বেশ কয়েকটি ইভেন্ট এবং গ্রুপ থেকে লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছিলো বি-করিম। কিন্তু আজও তার যৌক্তিক কোনো প্রমান দেখাতে পারেনি কাগজে-কলমে।



ফেসবুকে স্ট্যাটাস.....কতখানি শান্তনা দিবে আপনার মনকে??

কোথায় খরচ হয়েছে আপনার আমার ভাই-বোনের স্কুল-কলেজের টিফিনের টাকা আর হাত খরচের টাকা?????

আপনাদের জন্য আপনাদের অবহিত করবো বলে আমরা বের করে এনেছি সেই তথ্য। অনুসন্ধানে দেখা যায়, খোদ কুষ্টিয়াতেই বি করিম মানুষের টাকায় জালিয়াতি করেছে অসহায় গরিব দুঃখীদের সাথে। মানুষের সহযোগিতা করা টাকায় কম্বল বিতরণের নাম করে নিজের ব্যবসার প্রচারণা চালানোর নামে ধোকা দিয়েছে সবাইকে।

গরীবদের হাতে কম্বল দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো কেড়ে নেবার মতো নীচ কাজটি করতেও তাদের বাঁধেনি। দেখুন ভিডিওতে-




কাউন্সিলর প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়ে কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে ফটোসেশন করে সেই কম্বল ফেরৎ নিয়ে এসেছিলো বি-করিম। তাদের আশ্বাস দিয়েছিল, "এই কম্বলগুলো দাও..তোমাদের দামী চাদর দেবো " আফসোস সেই দামী চাদরের মুখ তারা আজও দেখেনি। গরীব মহিলাগুলো তার বাড়ি পর্যন্ত গেলে, তাদের নামে কেস করা হবে বলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অথছ ফেসবুক স্ট্যাটাস বলছে অন্য কথা, সেখানে সে হিসেব দিচ্ছে সব টাকাই খরছ করেছে গরীব দুঃখীদের মাঝে।





এরা সবাই বি-করিমের সাথেই তার প্ররোচনায় পড়ে কাজ করে।যাদের বেশিরভাগই এখন বি-করিমের নোংরা কর্মকান্ডের কারণে তার সাথে নেই। আসুন নিছে তারই সাথে মাঠে কাজ করা একের অধিক ব্যক্তির বক্তব্য দেখি। বি-করিমের কর্মকান্ড সম্পর্কে তাদের কি মতামত-

ওয়ালিনা চৌধুরী অভিঃ আমি বি-করিমের সাথে বেশ অনেক দিন থেকেই কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে সে আমার আত্মীয়। যখন আমি দেখলাম সে আমাদের সকলের ইমোশনকে পুজি করে সবাইকে ধোকা দিচ্ছে এবং তার কাজ কর্মে গড়মিল, সঠিক হিসেব দিচ্ছেনা তখন আমি তার কাছ থেকে সরে আসি। এই বিষয়ে [url href="http://www.sonelablog.com/archives/29070" target="_blank"]সোনেলা ব্লগে [/url] আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি।

রজিবঃ ২০১৩ শালে আমরা টাকার সাথে আমরা অনেক কাপড় তুলেছিলাম, যা পরবর্তীতে বেচে নতুন কম্বল কেনার কথা কিন্তু ঐ কাপড় কবে বেচলো তা আজো জানতে পারিনি। জানতে চাইলে বলেছে বেচা হয়ে গেছে। মোট ১১ বস্তা কাপড় এর হিসাব পাইনি আমরা। এবং ব্যাপারে বি করিম নাসিমা নামের একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে আর মাসুদ কে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিত তাদের ব্লাড লাগবে বলে কিন্তু যখনই তারা ফোন দিত বি করিম কে তখন বি করিম কেটে দিত কিন্তু বরাবর সেই রুগীগুলোর পোস্ট দিয়ে তার পেইজ সমাজসেবা করে তা তুলে ধরতো।

রুবেল পারভেজঃ প্রচুর মানুষ বিশ্বাসের জায়গা থেকে মন প্রান খুলে ডোনেট করছিল,তাদের ডোনেশন মিসইউজ করেছে।

সিহাব সজলঃ তারা কোনদিন কোন কিছুর হিসাব দিত না ঠিকমত। কিসের হিসাব!! যা দিছে সব গুজামিল!! ঐডা তো হিসাবই না। আমি যেদিন যেদিন টাকা তুলছি সেদিন সেদিন টাকার হিসাব পেয়েছি কত উঠছে কিন্তু খরচের হিসাব পাইনি !!

কুসুমঃ আমার মত অনেকেই কার্নিভ্যাল এর সাথে আগে ছিলো কিন্তু এখন নাই, তারা আমাদের সমাজ সেবার কথা বলে চোখে রঙ্গিন চশমা পরিয়ে দিয়েছিলো, তাদের নিজ স্বার্থ উদ্ধার এর জন্য আমাদের কাজে লাগিয়েছে আমরা সমাজ সেবা ভেবে তা করে গিয়েছি। কিন্তু আস্তে আস্তে তার রুপ আমাদের সামনে বের হতে থাকে। রানা প্লাজা ঘটনার সময় আমরা অনেক টাকা তুলেছিলাম তাদের সাহায্য করার জন্য। সকাল ৯টা থেকে রাত পর্যন্ত আমরা কাজ করেছি। সেই টাকা গুলো তারা সাভার ভিকটিমদের দেয়নি। হিসাব চাওয়ার পর হিসাব দিয়েছে তার এক বোনকে দিয়েছে আর ঢাকার এক বন্ধুকে ৩০০০ টাকা, বাসার বুয়াকে ওষুধ খরচ দিয়েছে। আর বাকি টাকার হিসাব চাইলে বলছে কুষ্টিয়াতে দেয়ার মত কারো ক্ষতি হয়নি। আমরা এসব দেখে খুব কষ্ট পেয়ে বের হয়ে এসেছি।

পুলকঃ সাভারের টাকা তোলার পর সবার অনুমতি নিয়ে সাভারে ৪৯০০০ টাকা পাঠাইছে। আর কুষ্টিয়ার দুই টা সাভার ভিক্টিমস ফ্যামিলি কে ১০০০ করে টাকা দিছে কিন্তু পরের ৪০০০০ হাজার এর ও বেশি টাকা কোথায় কখন দিছে কেউ জানে না। আর কারও কাছ থেকে অনুমতি নেয় নাই। পরে কার্নিভাল থেকে হিসাব দিছে কোথায় কোথায় টাকা পাঠায়ছে ওই জায়গায় চট্টগ্রামের কাকে কাকে প্রায় ২০০০০ টাকা দিছে। আর বুয়ার মেডিসিন বাবদ ৩০০০ এর ও বেশি টাকা দেখায়ছে। কুষ্টিয়ার মানুষ সাভারের জন্য টাকা দিল কুষ্টিয়ার সাভার ভিক্টিমদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হলো আর অন্য জায়গায় ১০০০০ হাজার ৫০০০ কেন দেওয়া হলো? শীত বস্ত্র কাজের সময় কম্বল দিয়ে আসার পর ও টাকা তুলা হইছে। আর বলা হয়েছিল যে বাকি টাকা গুলো দিয়ে কুষ্টিয়ার গরীব দের জন্য কম্বল দিবে। পরে ওই টা তো দেয় নাই আর ওই টাকার কোনও হিসাব ও দেওয়া হয় নাই। আর আমার সম্পর্কে রুম্পার কাছে কিছু বাজে কথা বলছে। যেই কাজ গুলো আমি করি নাই। পরে আমি রুম্পার কাছ থেকে জানতে পারছি ওই কথা গুলো। আর আমরা যারা কার্নিভালের সাথে ছিলাম তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করার জন্য লিমা কবির আর এক জনের নামে আরেক জনের কাছে কথা লাগাইতো। এই সব কারনে আমি ওখান থেকে বের হয়ে আসছি। আর ব্লাড এর ব্যাপারে বি করিম নাসিমা নামের একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিত তার ব্লাড লাগবে বলে কিন্তু ওই নাসিমা যখন ফোন দিত বি করিম কে তখন বি করিম নাসিমা নাম দেখার সাথে সাথে কেটে দিত। (প্রমান ভিডিওতে নাসিমার স্বীকারোক্তি)

বাপ্পিঃ কার্নিভ্যাল নামক প্রতিষ্ঠানের ঘাপলার অভাব নাই। সাভারের জন্য যে টাকা তুলেছিলাম আমরা তা তারা দেয়নি ভিকটিমদের মাঝে । তাদের আই বাটপারির খেসারত আমাকে দিতে হয়েছে, ভেরামারাতে আমাকে ধরে লোক মারতে চেয়েছিল চিটার বলে, কারন তারা সাহায্যের নাম করে সাহায্য দিত না।

রুম্পাঃ আমার কাহিনী হচ্ছে আমি বোধহয় সবচাইতে বেশি বিলিভ করে গরুর মত খেটে গিয়েছি। আমি নিজে সাভারের ফান্ড কালেক্ট করেছি শীত বস্ত্র কালেক্ট করেছি আমি সহ আরোও অনেকে ছিল। আমার আর পুলক ভাইয়ার সাথে গিয়ে দুই ফ্যামিলি কে এক এক দুই হাজার টাকা দিছে। টাকা উঠছিল একানব্বই হাজার টাকা। বাকি গুলার কথা বলছে কাউকে নাকি সেলাই মেশিন কিনে দিছে দোকান করে দিবে বাট এসবের কোনও উপযুক্ত প্রুভ নাই। আমার যত দুর মনে আছে তখন ইনিয়ে বিনিয়ে পয়তাল্লিশ হাজার টাকার হিসাব দিছিল বাট বাকি টাকা গুলোর কোনও হিসাব ই না। আর শীত বস্ত্র আমি নিজেই পুরা এক বস্তা কাপড় দিয়েছিলাম। টাকাও অনেক তুলেছিলাম আমি পুলক ভাইয়া কুসুম। বাট তার পরপর ই আমি মালয়েশিয়া চলে আসি তবে আমি আমাদের ভিতরের মানুষ গুলোর কাছ থেকেই শুনছি যে টাকা গুলো ঠিক জায়গায় পৌছায় নি। আর বি করিম রক্ত নিয়ে কাজ করতো। আমি নিজেও অনেক রক্ত জোগাড় করে দিয়েছি ফোনে। আমি নিজেও রক্ত দিয়েছি। বাট সব শেষে এটায় প্রমানিত হইছে যে তার কাজ কর্মে যে সে তার বিজনেসের প্রচার করতেই এসব ন্যাকামি করে। আর আমি থাকা কালিন ই সাভারের টাকা তোলার মধ্যেই লিমা কবির সিতা হার বানায়। মোবাইল কিনে এন্ড্রয়েড এইসব আর কি। আর ইভেন্টের যে কাজ গুলো করতো কখনোই টাকার হিসাব দিত না।

ইতু চৌধুরীঃ সাভার রানা প্লাজা ধসের পর মানুষের জন্য টাকা তোলা হলো , আমরা তখন দেখলাম এরা সবার নামে বিজনেস করছে। রক্ত চেয়ে পোস্ট দিত আর্জেন্ট রক্ত লাগবে। অনেক কষ্ট করে যোগাড় করতাম বি করিম বলতো হাতে রাখো প্রয়োজন হলে জানাবো। কিন্তু আর জানাতো না।

লিমনঃ রক্ত নিয়ে আর মানুষের টাকা নিয়ে ধান্দা বি করিমের অনেক পুরানো কাহিনি। সে এগুলো করেই বেড়ায়. আমরা অন্যায় এর প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের এখন শত্রু বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলাম না যাহ করতাম মানুষকে সাহায্য করার জন্য করতাম। এখানে আমরা শুধু কি নিয়ে শত্রুতা করতে যাবো।

সারিকাঃ শীত বস্র কেনার সময় যখন রাস্তায় নামা হইলো তখনতো কোন মেয়ে আসেনি, রাস্তায় একাই কাজ করেছি যতটুক পেরেছি, বিনিময়ে হিসাব চাইতে গিয়ে ঝারি খাইছি, ব্লক গিফট হিসেবে পেলা।

এই যখন ভার্সিটি পড়ুয়া মাঠে অনুদানের জন্য বি-করিমের সাথে কাজ করা কুসুম, পুলক, ইতু, রুম্পাদের বক্তব্য, তখন সাভারের রানা প্লাজার খরছ বাবত লিমা কবিরের ৯২,২৯০ টাকার হিসেব দেওয়া এই ফেসবুক পোস্টকে আপনি হাস্যকর এবং মিথ্যাচার ব্যতীত আর কি বলবেন??



কার্নিভালের ব্যানারে ঈদ আয়োজন!!

বেশ কয়েকটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিলো, কার্নিভাল ৫০ জন পথশিশুদের সাথে ঈদ কাটিয়েছে। ওই শিশুদের জামা-কাপড় দিয়েছে। কিন্তু এটি কার্নিভালের নিজস্ব খরচে নয়, Fairy Land নামক ফেসবুকের একটি বিশাল সিক্রেট গ্রুপ থেকে ০১৭১৭ ৬৫৬৫৯৫ শুধু মাত্র এই নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে বি-করিম সংগ্রহ করেছে প্রায় ৩০,০০০ টাকা। নিচের ছবিতে ভালো করে মাথা গুনে দেখুন ৩০-৩৫ টি শিশু রয়েছে। অথচ ফেসবুক এবং পত্রিকায় বি-করিম প্রচার করেছে সে ওই টাকায় ৫০ জন পথশিশুকে নতুন জামা কাপড় কিনে দিয়েছিলো। যার প্রমান ওই কাজে সহযোগিতা করা কেউই পায়নি। এমনকি ওই গ্রুপের কর্ণধার নিজেও পায়নি সেই টাকার হিসেব। (করিমের নাম্বারের বিকাশ ট্রানজেকশন ডিটেলস এবং জনতা ও AB ব্যাংক হিসেব আপাদত মিডিয়া প্রোগ্রাম এবং অনুসন্ধানের স্বার্থে গোপন রাখা হলো)



এই যখন ৫০ জন শিশুর ছবি তখন এই হিসেবের ব্যাপারে চলুন দেখি লিমা কবিরের ফেসবুক পোস্ট কি বলে-



স্বিকারত্তি আছে, গ্রুপ থেকে পাওয়া ৩০,০০০ টাকার হিসেবও আছে। কিন্তু ফেসবুক স্ট্যাটাসে। বাস্তবে কেউই দেখেনি বা পায়নি কাগজে কলমে কোনো হিসেব।

দেখুন তাদের সাথে কাজ করা ছেলে-মেয়েদর আরো কিছু মন্তব্য-























































এই যখন অবস্থা তখন তারা বাধ্যহলো ফেসবুকে একটা গদবাধা হিসেব দিতে। হিসেবটি খেয়াল করে পড়বার অনুরোধ থাকলো। তারা শুধু একটি পোস্ট লিখেই হাজার হাজার টাকার দায়মুক্তি চায়। বিষয়টা হাস্যকর নয় কি??

বস্তুত এসব ফেসবুক স্ট্যাটাসের কোনই গ্রহনযোগ্যতা নেই। তাদের লিখিত কোনই প্রমান বা ছবি নেই। যে বি করিম কাউকে এক গ্লাস পানি খাওয়ালেও সেটার ছবি তুলে রাখতো!! আর সে এতোটাকা কোন রকম প্রমান ছাড়াই কাউকে দিয়ে দিল??

আসলে সে নিশ্চিন্ত হয়ে গিয়েছিল, এতোদিনের ফেসবুক জীবনে সে বড় বড় ফেসবুক সেলিব্রেটিদের সাথে সখ্যতা গড়ে নিয়েছিল। তাদেরই ঢাল বানিয়ে এবারও তারা প্রতিবাদ মুখর ছেলেমেয়েদের দমাতে ফেসবুকে বাজে ভাষা আর ব্যাক্তিগত আক্রমনের বন্যা বইয়ে দিল। সব কিছুরই একটা শেষ থাকে...

আমরা চাই এই অসাধু ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি যেন আর কখনোই মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলার সুযোগ না পায়। আপনার কষ্টের টাকা যা আপনি দান স্বরুপ দিয়েছিলেন তা দিয়ে যেন আর কেউ সীতাহার বা এ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার মতো দুঃসাহস না দেখায়। অথবা সেই টাকায় প্রতিবছর হানিমুন করতে যায় পার্বত্যাঞ্চলে।

আসুন সকলে মিলে রুখে দাড়াই... নির্মূল করি এইসব ভন্ড আর প্রতারকদের।

বিষয়: বিবিধ

৫৯০৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

306412
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৩৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
306420
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৮
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : সবই তো ফাঁস বাকি থাকলো কি আর?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File