যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বহিষ্কার
লিখেছেন লিখেছেন নীলসালু ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৯:৫৭ রাত
অবশেষে যৌন হয়রানির অভিযোগে বহিষ্কার করা হলো উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের বাংলার শিক্ষক সাইফুল্লাহ জোয়ারদারকে
নাম সাইফুল্লাহ জোয়ারদার
বিষয় - বাংলা।
পূর্বের শিফট - সকাল (ছাত্রীদের)
বর্তমান শিফট - বিকাল (ছাত্রদের)
প্রতিষ্ঠান - উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিনি জোয়ারদার স্যার নামে পরিচিত।
আগে অকারণেও ছাত্র/ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিলো তার বিরুদ্ধে এবং এটি নিয়ে পত্রিকায়ও লিখালিখি হয়েছিলো। সেটি কিছুটা কমে এলেও বেশ অনেকদিন ধরেই ছাত্রীদেরকে রাতে ফোন দিয়ে, নোংরা কথবার্তা বলে আসছেন তিনি আর তার সাথে নোংরা প্রস্তাব। কিন্তু, পরীক্ষায় নাম্বার কম দেওয়া এবং ফেল করিয়ে দেয়ার ভয়ে কেউ সেটা প্রকাশ করতে সাহস পায়নি।
অবশেষে একজন ছাত্রী এরকম একটি ফোনালাপ রেকর্ড করে ফেলে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে সব জানানোর পরও প্রথমে তাকে বহিষ্কার করার বদলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং জোয়ারদারকে মর্নিং শিফট (ছাত্রীদের) থেকে ডে শিফট (ছাত্রদের) এ বদলি করে।
কিন্তু তবুও থামেনা তার এসব কার্যকলাপ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উপায় না দেখে সবাইকে সাবধান করার জন্য ফোনালাপটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জোয়ারদারের কুকীর্তির কাহিনী গত ২৭ তারিখ রাতে ইউটিউব ও আমার ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেই। ক্লিপে তার নিজের ও কলেজের নাম্বার দেওয়া ছিলো। আর তাতেই টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলেজের আরেক শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ২৮ তারিখ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি কেউ রিসিভ করছে না বলে জানা গেছে।
এর আগে জোয়ারদারকে ফোন করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং অনলাইন থেকে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ এবং ডকুমেন্ট সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেন।
ইউটিউব লিংক: ভিকারুন্নেসার পর উত্তরা হাই স্কুলে উদয় হলো নতুন আরেক পরিমলের
মিডিয়াফায়ার অডিও লিংক:: জৈনক ছাত্রীর সাথে জোয়ারদারের ফোনালাপ
টেক্সট ডকুমেন্ট:: জোয়ারদারের সাথে জৈনক ছাত্রীর কথাবার্তা (লিখিত)
নিউজ লিংক: বিডি টুডে অডিও >> ভিকারুন্নেসার পর উত্তরা হাই স্কুলে আরেক পরিমল!
সেদিন রাত থেকেই তার ব্যক্তিগত ও কলেজের নাম্বারে অসংখ্য ফোন যেতে শুরু করে। তার নিজের ফোন সে কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়। অসংখ্য ফোনকলের কারণে রাতে কলেজের নাম্বারও বন্ধ করে দেয়া হয়। রাতেই তার বাসায় বহিস্কারাদেশ পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৭৬১ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিস্তারিত পড়ুন
Click this link
সে যদি অপরাধী হয় ৫০% তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটা অপরাধী ১০০%।
জঙ্গিবাদী-আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
জঙ্গিবাদী-আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
মেয়েগুলা কো-এড সিষ্টেমে টয়লেটে গিয়ে কতো অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে স্কুলে/পার্কে তার ইয়াত্তা নাই, আর এখানে বুইড়া শিক্ষককে পছন্দ হয় নাই বলে ফাস করেছে ঘটনা। আর এখন মেয়ে বলছে বলে এতো লাফালাফি? আর মেয়ে স্বেচ্ছায় অপকর্ম করলে তার জন্য চিল্লায় না কেন?
এই শিক্ষক স্কুলে মেয়েদের সাথে ইটার্যাকশনের সুযোগ না পেলে – নাম্বার পেতো? যোগাযোগ করতে পারতো? আর ছেলে মেয়েদের কো-এড এ ইন্টার্যাকশনের সুযোগ না থাকলে – পার্কে বা টয়লেটে গিয়ে আকাজ করতে পারতো? মেয়েদের পড়ানোর জন্য মেয়েরা নাই? এতো না হাউ-মাউ কইরা কাইন্দা বেড়ায় মেয়েরা যে তাদের কর্ম লাগবে? কি কর্ম? ছেলেদের সাথের কর্ম করা লাগবে পছন্দসই এর সাথে ঢলাঢলির জন্য? এই অধিকারের জন্য হাউমাউ করে চিল্লায় রাস্তায়?
স্কুল-কলেজ-অফিস সবখানে বাস্তবিক চিত্র এটাই – এগুলো আমরা বাস্তবেই দেখেছি এবং দেখছি।
প্রতিকারের কোন উপায় নাই, দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন