জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হওয়া না হওয়া ...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:২০:০০ বিকাল
আমি জামায়াতে ইসলামীর তরুন সমর্থক । মোটেও অন্ধ সমর্থক নই।দলান্ধও নই। বাচবিচার না করে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেকটি বক্তব্য মেনে নেয়ার মত মানসিকতাও আমার নাই। সমর্থক , কর্মী , শুভাকাঙ্খী মহলের অন্ধ আবেগ আহত না করে লেখার মত যোগ্যতাও আমার নাই। চলমান স্বাভাবিক সুরে কথা বললে বা লিখলে আমার লেখালেখির যৌক্তিকতা খুজে পাইনা। ভূলগুলো বের করার প্রয়াস ও সমাধানের যথাসাধ্য সাজেশান দিয়ে তৃপ্তি পাই। অভ্যন্তরীন প্রোগ্রামে ওয়ান ওয়ে বক্তব্য দিয়ে সংগঠনের ভিতরে বাইরে বহুমুখী বিতর্কের মুখোমুখী না হয়ে টিসি টিএস এর মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গী ঠিক করে দেয়াকে চিন্তার চরম স্থবিরতায় বলতে হবে। এই স্থবিরতার গভীরতা সবাই বুঝবে না। জামায়াতে ইসলামী ও তার সিস্টার কনসার্নদের ইনপুট লাইন ও মধ্যম সারির নেতৃবৃন্দ যতটুকু ধীশক্তি সম্পন্ন ততটুকু সমীহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আদায় করতে পারেননি ।ধী শক্তি সম্পন্ন কর্মীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি সমীহটা ভালবাসার , শ্রদ্ধার। ব্যাতিক্রমবাদে কোনভাবেই কুর্নিশ করার মত নয়।
দলীয় পরিমন্ডলে ইউনি পরিবেশে থেকে কি শিখা যাবে বলুন! ফরজ ওয়াজিব হালাল হারাম মেনে চলা যেখানে মান সেখানে দৃষ্টিভঙ্গীগত মিলকে জামায়াতে ইসলামী ও তার সিস্টার কনসার্নরা মান বলে আখ্যা দিয়ে বছরের পর বছর প্রতীকী হযরত উমর রা: দের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারন কি আমার পুরোপুরি বোধগম্য না হলেও অনুমান করছি এভাবে :
১. দুর্বলতা ও দোষ জেনে যাবার ভয়।
২.নিজেরা দাওয়াতী কাজ হতে বিরত থাকা।
৩. নেতৃত্ব হারাবার ভয়।
৪. মান সম্পন্ন নয় ডিকলেয়ার করে আত্বম্ভরিতা প্রদর্শন করে অন্যকে মানহীন বলার স্পর্ধা দেখিয়ে নিজেকে বড় ভাবার মত বোকামী ।
মাওলানা মওদুদী রঃ যেখানে বৈষয়িক শক্তিকে নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভেবেছেন সেখানে দেশ পরিচালনায় ভাল ভূমিকা রাখছেন এমন যোগ্যতা সম্পন্নদের জামায়াতে ইসলামী ও তার সিস্টার কনসার্নরা তাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়ার মত উদারতা প্রদর্শন করতে পারেনি। এভাবেই চিন্তার গভীরতা তৈরী হওয়া থেমে গেছে । বিভিন্ন রুচির মানুষদের সাথে মিশে যোগ্যতা অর্জন বাধাগ্রস্থ হয়েছে। যথাযথ ফোরামে আলোচনার কথা বলে সর্বস্তরের জনশক্তিকে ব্রেইন স্টর্মিং করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে অনেকটা মনের অজান্তে সাংগঠনিক লাভ চিন্তা করেই। যথাযথ ফোরামে আলোচনার কথা বলে শুভাকাঙ্খী মহলকেও বৃহৎপরিসরে চিন্তা করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ।
যুদ্ধাপরাধ ছাড়া বর্তমানে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী আলোচিত সেটি হল জামায়াতে ইসলামীর নিষিদ্ধ হওয়া বা না হওয়া । জামায়াত সংশ্লিষ্টদের নিকট এই টপিকসের উত্তর খুজতে গেলে আপনি ভাল অনুভব করবেননা নিশ্চয়।
জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ না হলে কি হবে?
জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হলে কি করনীয় ?
অনেক জনশক্তির আনসার হচ্ছে "কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানেন"। ১৯৭১,আইডিএল গঠন ও লোপ , যুবশিবির , ১৯৯৬ , ২০০৮-১০ সহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভূল সিদ্ধান্তের ট্র্যাক রেকর্ড থাকাতে একজন আন্তরিক সমর্থক হিসেবে আমি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে হতাশ ও কঠিনভাবে আস্থাহীন।
আবেগী রাজনৈতিক নেতা কর্মী হিসেবে আপনি বলতে পারেন
১."আল্লাহ ভরসা" কিন্তু মহান আল্লাহ চেষ্টা করতে বলেছেন।
২. "দেখা যাক কি হয় " কিন্তু রিস্ক ফ্যাক্টর এনালাইসিস করে পাথ নির্ধারন করে রাখা কি পাপ?
জামায়াতে ইসলামী গোপন সংগঠন নয় যে এর সিদ্ধান্তের বিষয়গুলি সম্পর্কে দলীয় জনশক্তি ও শুভাকাঙ্খীদের অন্ধকারে রাখা হবে। এটা তো শেখ মুজিবের ১৯৭১ এর ২৫ মার্চে গ্রেফতার হওয়ার পরবর্তী সময়ের মত টোটাল সংগঠনকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে ফেলা।
সকল দৃষ্টিভঙ্গীর রিভিউ করার মধ্যে দিয়ে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র যুব ইসলামী আন্দোলনের ব্যাতিক্রম চিন্তার মানুষগুলো কাজে লাগানোর আহবান জানাই। ইমরান এইচ সরকার , আরিফ জেবতিক , অমি রহমান পিয়াল , নিঝুম মজুমদারদের থেকেও যোগ্যতা সম্পন্ন যুবকরা তো আমাদেরও আছে । সারা বিশ্বে যারা সংগঠনের আমব্রেলার ভিতরে না থেকেও ইসলামী আন্দোলনের জন্য অনলাইনে নিরলস পরিশ্রম করছেন তাদের কাজে লাগানোর মত মানসিকতার ডাইনামিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব অনুভব করি। মনে রাখবেন কাজের জন্য কঠিন সময়টিই উপযুক্ত। ভাল সময়ে খুব কমই ভাল সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। ইতিহাস সৃষ্টি হয় প্রতিকুল সময়েই। ভাল সময়ের জন্য অপক্ষো করা নেতারা শুধুমাত্র বড় রকমের রাসকেল।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন