থটস্ ফিল্টারিং বা বিদ্যমান চিন্তার নিরীক্ষন
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ১২:৫৬:৫৪ রাত
থটস্ ফিল্টারিং বা বিদ্যমান চিন্তার নিরীক্ষন
থটস্ ফিল্টারিং বা বিদ্যমান চিন্তার নিরীক্ষন খুবই জরুরী।
বিদ্যামান বক্তা, বিদ্যামান সাহিত্য ও দৃষ্টিভঙ্গীকে সরলমনে গ্রহন না করে নিজের মেধাকে ব্যবহার করে সমাজের সমস্যা,ওহীর সীমারেখা, বিরোধীদের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে উদীয়মান সমাজচিন্তকদেরকে নিজেদের মনন ও দৃষ্টিভঙ্গীকে পূর্নগঠন করতে হবে।
থটস্ ফিল্টারিং-১
বিদ্যমান চিন্তার নিরীক্ষন কিভাবে হবে?
নিজের ভিতরের বিদ্যামান চিন্তাকে কিছু মানদন্ডের ভিত্তিতে তুলনা করে নিতে হবে। যেমন নিজেকে মনে করতে হবে স্রষ্টার অনুগত ও সৃষ্টির কাজে উজ্জীবিত একজন প্রতিনিধি। কর্মক্ষেত্র হবে পুরো পৃথিবী ও তার অধিবাসী। নির্দিষ্ট কোন ভূখন্ড ও ধর্মাবলম্বীর মাঝে কাজের ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ করে ফেলা অনুচিত। স্রষ্টা যেমন সবাইকে দেখে ঠিক তেমনি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী হতে হবে উদার পরোপকারী ও মহৎ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তার নিরীক্ষনে আমাদেরকে অধিকাংশ জনগনের বিশ্বাসকে মূল্য দিতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীকেও সমান চোখে দেখতে হবে। বিশ্বাসের অমিলের কারনে অন্যের অস্তিত্বহীনতার চেষ্টাকে শোভন দৃষ্টিতে দেখার কোন সুযোগ নেই। যাবতীয় ফৌজদারী ও দেওয়ানী সমস্যাকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। জাতিকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসার জন্যে ধীরস্থির ও তড়িৎ পদক্ষেপে কাজ করতে হবে।
অধিকাংশ জনগনের ধর্ম ইসলামে কি আছে দেখার চেয়েও কি কি বিষয়ে ইসলাম নিষেধ করে সে বিষয়কে মানদন্ড ধরে পুরো পৃথিবীর ভাল বিষয়গুলো গ্রহন করার মত মনন তৈরী করতে হবে।
ইসলাম ধর্মীয় চিন্তার অব্যবস্থাপনা দুরীকরনে প্রথমেই যে বিষয়টা বুঝা দরকার তা হল:
কুরআন মূলনীতি। সংবিধান নয়। কুরআন বিরোধী নয় এমন আইন মানুষ তৈরী করতে পারবে। সামাজিক ন্যায়বিচার (সোশ্যাল জাস্টিস) এবং ডকট্রিন অব নেসেসিটি(প্রয়োজনীয়তা) হল একত্ববাদ ধারনার (কনসেপ্ট) পরে ইসলামের গুরুত্বপূর্ন ও একমাত্র অগ্রাধিকার বিষয়। মানবতা(ইহসান) সমাজের প্রানস্পন্দন। হারাম ও ফরজ করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তায়ালার। আল্লাহ একমাত্র সবার উপরে ক্ষমতাবান।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু সামান্য ভারতিয় রাষ্ট্রপতি আবুল কালাম এর ইন্তেকালে কিছু মানুষের চিন্তার যে সীমাবদ্ধতা দেখলাম তাতে আমি চিন্তিত!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন