তুরস্কের সামাজিক আন্দোলন: স্থানীয় গ্রুপগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো -১

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২২ মে, ২০১৫, ১২:২৯:১৯ রাত

তুরস্কের সামাজিক আন্দোলন: স্থানীয় গ্রুপগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো (Structure of the Local Circles)

----------------------------------

স্থানীয় গ্রুপগুলো সাধারনত দুইপদ্ধতিতে সংগঠিত হয়।

এক. বসবাসের এলাকা এবং প্রতিবেশী হিসেবে

দুই. শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ধরন অনুসারে।

উদাহরন স্বরুপ বলা যায় ডাক্তার তার পেশার মানুষের সাথে প্রোগ্রামে মিলিত হত। এভাবে ডেন্টিস্ট, আইনজীবী, একাউন্টেন্ট,শিক্ষক,(প্রকৌশলী) এবং ফ্যাক্টরী ওয়ার্কাররাও মিলিত হত। যখন সামাজিক আন্দোলনের সমর্থক সংখ্যা বাড়ত তখন প্রফেশনাল সংগঠন মাঝে মাঝে আড্ডার আয়োজন করত। তারা সপ্তাহে দশ বার জন সমর্থকদের নিয়ে বা ছোটগ্রুপ নিয়ে একবার বা দুইবার মিলিত হত। সেই ছোট আড্ডাগুলোতে অংশগ্রহনকারীরা বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করত যেমন ধর্ম,টেকনিকেল কাজ, পরিবার অথবা উপস্থিতির পক্ষ হতে উত্থাপিত কোন বিষয়ে ।মাঝে মাঝে আড্ডাতে পবিত্র কুরআন এবং রাসুল সা: এর অনুসরনকৃত বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হত। বিভিন্ন উপলক্ষে কোন কোন গ্রুপ বক্তার ভুমিকা নিত। গ্রুপের মেম্বাররা প্রায় একত্রে মিলিত হত তাদের জীবনের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন দিক বা সপ্তাহে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে ভাবের আদান প্রদানের জন্যে। একজন সদস্য বললেন কেন একত্রে বসা ও মতের আদান প্রদান গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে। সপ্তাহের শেষদিন জুমাবার রাত কখনোই আসতনা যদি না তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ, আড্ডা বা পরিকল্পনা শেয়ার না করত। স্থানীয় গ্রুপগুলোর আড্ডা ছিল তাদের জন্যে ঐই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার।প্রতি সপ্তাহে সামাজিক আন্দোলনের প্রবীন কয়েকজন সংগঠক মিলে স্থানীয়গ্রুপ হতে সামাজিক আন্দোলনে যারা নবীন তাদের ২০/২৫ জনকে নিয়ে আড্ডাতে মিলিত হত। একজন বিশেষায়িত সমাজকর্মী বলল তারা তাদের সংস্কৃতি ও সামাজিক নীতি নৈতিকতার যে অংশটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মনে করে তা প্রতিরোধে ও পূরণে আড্ডাতে প্রেষনা ও প্রেরনামূলক আলোচনা করা হয় এবং পড়া হয় বদিউজ্জামান নুরসী,গুলেনের বই ,নৈতিকতায় উৎসাহ দানকারী ভিডিও দেখানো হত এবং সাথে থাকত রাসুলের সা: অনুসৃত পন্থা আলোচনা।

(অপরিমার্জিত-চলবে)

-----------

অনুবাদের সময়

--নতুন পরিভাষা তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছে।

--বাংলাদেশে সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত করার চিন্তা মাথায় ছিল।

--নিরানন্দতাকে দুরীকরনে পরোক্ষ চেষ্টা ছিল।

--গবেষনা,সংস্কৃতি ও সোশ্যাল ইথিকসকে অগ্রাধিকার বিবেচনা ছিল।

--ভাবানুবাদ ও বইয়ের মূলআবেদন ও স্পিরিটকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

-- ইংরেজী ভাষা জনিত ব্যক্তিগত দুর্বলতা ছিল।

-- তুরস্কের সাথে সরাসরি মিশে তারপর অনুবাদ না করায় আন্দোলনের প্রানপ্রবাহের সাথে সংযোগে ঘাটতি ছিল।

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321752
২২ মে ২০১৫ সকাল ০৮:০৬
আবু জারীর লিখেছেন : ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
২২ মে ২০১৫ সকাল ০৯:১৭
262831
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : সামাজিক আন্দোলনের জন্যে জনশক্তি খুজছি।
321762
২২ মে ২০১৫ সকাল ০৯:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পেশা ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন অনেক ক্ষেত্রেই সিবিএ এর মত একক সুবিধাদর্শি হয়ে যায়।
২৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
263162
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : উদ্দেশ্যর আনুগত্য এই সমস্যা থেকে পরিত্রান দিবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File