ইসলামে উদারতা,কট্টরতা।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২১ মার্চ, ২০১৫, ০৩:২৫:২৬ দুপুর

ইসলামে উদারতা,কট্টরতা।

-----------------------------

ইসলামে উদারতা ও কট্টরতা বুঝার জন্যে আমি কিছু দৃষ্টিভঙ্গী লালন করে থাকি আর তা হল:

(১)

কট্টরতা হল: সব বিষয় কুরআন হাদীসে আছে কিনা এবং তাবেয়ী তাবেয়ীন তাবে-তাবেয়ীন এর যুগে আছে কিনা খোঁজা।

উদারতা হল: কুরআন যা নিষেধ করেছে ও সহীহ হাদীস দ্বারা যা নিষেধ করা হয়েছে তা ছাড়া অন্যসব বিষয়কে এডপ্ট করার চেষ্টা করা। গ্রহন করে নেয়া।

(২)

কট্টরতা হল : ব্যক্তি ও সমাজ জীবনকে একাকার করে ফেলা।

উদারতা হল: ব্যক্তি তার নিজের জন্যে রুলস কঠিন করলে করুক সমাজের জন্যে রুলস হবে লিবারেল ফ্ল্যাক্সিবল।

(৩)

কট্টরতা হল: প্রয়োজন ও ন্যায়বিচারের জন্যেও রুল চেইঞ্জ হয়না।

উদারতা হল: ডকট্রিন অব নেসেসিটি ও সোশ্যাল জাস্টিসের জন্যে অনেক বিষয়কে উপেক্ষা বা স্থগিত বা পরিবর্তন করা যেতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310260
২১ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৯
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
উদারতা হল: ব্যক্তি তার নিজের জন্যে রুলস কঠিন করলে করুক সমাজের জন্যে রুলস হবে লিবারেল ফ্ল্যাক্সিবল।


যেসব বিষয়ে ইসলাম কর্তিক কঠোরতা রয়েছে, তা নিজে যথাযথভাবে পালন করা। ঠিক একি বিষয় সমাজের উপর চাপিয়ে দেয়া বাঞ্চনীয় না হলেও উক্ত বিষয়গুলোতে যে ইসলাম কঠরতা আরোপ করেছে সে জিনিসটা উপলব্দি করানো, কেননা ব্যক্তির সমষ্টি হল একেকটা সমাজ।
এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আপনার ভিন্নমতও থাকতে পারে।
310284
২১ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : যে বিষয়ে কোরআন বা হাদিসে স্পষ্ট বিবরণ নেই, সে ব্যাপারে অবশ্যই খোলাফায়ে রাসেদীন অতঃপর তাবেয়ীন, তাবে তাবেঈন, ইমামগণ, মুহাদ্দিসীনগণের ব্যাখ্যা মেনে নিতে হবে। মনের মত করে তো যেখানে সেখানে ছাড় দিতে গেলে সমস্যা দাড়াবে। ধন্যবাদ।
২২ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২২
251356
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সহমত
310322
২১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পুরাপুরি একমত না।
ডকট্রিন অফ নেসিসিটি প্রয়োগ করা যাবে কেবলমাত্র শেষ অবস্থায়। যেমন মরনাপন্ন হলে হারাম খাওয়া। কিন্তু কেউ মেরে ফেলবে সেই হুমকির মুখে ফরজ তরক করা যাবেনা। সেইক্ষেত্রে শাহদাত ই একজন মুসলিম এর কাম্য হওয়া উচিত। আর কুরআন ও সুন্নাহ তেই সব বিষযের প্রাথমিক ব্যখ্যা খুজতে হবে।
310362
২২ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:২১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পুরাপুরি একমত না।
ডকট্রিন অফ নেসিসিটি প্রয়োগ করা যাবে কেবলমাত্র শেষ অবস্থায়। যেমন মরনাপন্ন হলে হারাম খাওয়া। কিন্তু কেউ মেরে ফেলবে সেই হুমকির মুখে ফরজ তরক করা যাবেনা। সেইক্ষেত্রে শাহদাত ই একজন মুসলিম এর কাম্য হওয়া উচিত। আর কুরআন ও সুন্নাহ তেই সব বিষযের প্রাথমিক ব্যখ্যা খুজতে হবে।




আমরাও একমত ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য।।
310403
২২ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:২৪
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ইসলামের কঠোরতা বলতে কিছুই নেই। উদারতা বলতেও কিছু নেই। ইসলাম আমাদের যা দিয়েছে তা গ্রহণ করতে হবে, আর যা বারণ করেছে তা বর্জন করতে হবে। এটা সহজ বা কঠিন করার কোন উপাই নেই।
২৬ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৫৩
252234
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আপনার দৃষ্টিভঙ্গী যথাযথ নয়। ইসলামে বিভিন্ন বিষয়ে সবোর্চ্চ সর্বনিম্ম সীমা আমি খুজে পেয়েছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File