আবেগ আহত করার চেষ্টা করি।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০১:৩৯:৫৫ রাত
আবেগ আহত করার চেষ্টা করি।
পৃথিবী জান্নাত নয় যে আমি আপনার কামনা অনুযায়ী সব সময় আচরন করতে পারব।
ধরুন "তুমি" শব্দটি। এটি আমি ব্যবহার করি। আমি ছোটদের তুমি ব্যবহার করি। এখন আপনাকে কেউ আপনি ব্যবহার করে অভ্যস্ত। এখন আপনার জানা থাকা ভাল তুমি শব্দটিও অভিধানে আছে। আপনি ভাই ডাকে সম্বোধিত হোন। আমি আপনাকে স্যার বলে ডাকি। ভাই ছাড়াও আরও শব্দ আছে। বাপকে ভাই ছেলেকেও ভাই ডাকবেন এটি একটি অস্বাভাবিকতা। আমি চেষ্টা করি চাচা মামা আংকেল মুরুব্বী শব্দ ব্যবহারের। ব্রাদার সিস্টার খ্রিষ্টানরাও ব্যবহার করে। আপনারে বোন না বললে আপনি আহত হন। আপনাকে আপ্পি ডাকলে সমস্যা মাইয়া কইলেও সমস্যা আন্টি বা ম্যাম বললেও আপনার আবেগ আহত হয়। আবেগ হওয়া উচিত। আবেগকে হরেক রকম পরিবেশের সাথে পরিচিত করানো উচিত। আবেগকে আহত করে করে খাটিঁ বানানো দরকার। লুতুপুতু ব্যবহারে ও পরিবেশে যারা অভ্যস্ত তারা সাধারন জনগনকে হ্যান্ডলিংয়ের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন।
আপনি শুধু চ্যানেলে সমালোচনা শুনতে চান। কিন্তু পদ্ধতিগত সমস্যা আলোচনার একটা ওপেন একাডেমিক এপ্রোচ থাকতে হবে। যাতে গবেষকরা এই গুলো বুঝতে পারে। সমাধানের দিক বাতলাতে পারে। গোপন সমালোচনার কারনে একটা চিন্তার বন্ধ্যাত্য তৈরী হয়েছে। সমস্যা ওভারলুক শিখলেও ওভারকাম শিখা যায়নি। রেজাল্ট যা হওয়ার তাই হচ্ছে। কর্মীরা ওপেন সমালোচনা শুনে ঠিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বা কর্মীদের সেই যোগ্যতা অর্জন করাতে হবে।
সুতরাং আবেগ আহত করানো একটা বড় কাজ। আবেগ আহত না করে যত বড় মানের নেতা হোক না কেন একদিন নিষ্ক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর সংগঠক নিষ্ক্রিয় হওয়া একটা আত্বঘাতি বিষয়। সংগঠিত করা একটি বড় যোগ্যতা।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন