ঘরে ঘরে হাসপাতাল গড়ে তুলুন আর পারলে প্রাথমিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ট্রেনিং গ্রহন করুন দ্রুত ...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৩ মার্চ, ২০১৩, ০২:১৮:২৩ দুপুর
চারদিকে শুধু আহত আর আহত । কারো চোখ নষ্ট, কারো মুখ বিভৎস ,কারো মাথা কাটা ,হাত কাটা, কারো হাত পা ভাঙ্গা , কারো শরীরে অসংখ্য গুলির স্পিলিন্টার। ভাই কান্দে বোন কান্দে মা কান্দে বাপ কান্দে । আতংক আহাজারী ভয়ে নির্বাক দেশ। চোখে পানি আর পানি । তবুও আওয়ামী হিংসাত্বক মনোভাব শেষ হবার নয়। আওয়ামীলীগের ও বামধারার সিনিয়র নেতারা জন্মেছিলেন কোন সম্মানী মায়ের উদরে জানিনা তবে ছাত্রজীবন থেকে তাদের রক্তের নেশা যে শুরু হয়েছিল সেটা তাড়া বুড়ো বয়সেও শেষ করতে পারেতেছেননা।
ইতিহাস সাক্ষী
শেখ মুজিব , পাকিস্তানের জিয়াউল হক , ইয়াহিয়া , জুলফিকার আলী ভুট্টো , ইন্দিরা গান্ধী কেউই স্বাভাবিক মৃত্যু পাননি। রক্তাক্ত জনতা রক্তাক্ত বাংলাদেশ আর মারাত্বক আহতদের আহাজারীতে যাদের মন টলেনা তাদের ব্যাপারে আজকের তরুনেরা কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে আশা রাখছি।
হিংস্রতাঃ
১.যারা বিরোধী নেতাকর্মীর পুরুষাঙ্গে সিগারেটের স্যাক দেয় ।
২.গুম করে ঠান্ডা মাথায় মেরে ফেলে।
৩. এরেস্ট করে চোখ উপড়িয়ে দিচ্ছে ।
৪. অসহায় ভাবে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে পায়ে গুলি করছে ।
৫. আহত এরেস্ট করে চিকিৎসাও দিচ্ছেনা।
৬.আহত অবস্থায় ক্লিনিক মেডিকেল থেকে গ্রেফতার করে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।
কাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে?
এখন অপরাধ একটাই শুধু জামাত শিবির সমর্থক। তাইলেই এরেস্ট ।
ঘরে ইসলামী বই পেলে গ্রেফতার হচ্ছে ।
মুখে দাড়ি দেখলে গ্রেফতার হচ্ছে।
লাম্পট্যভাবাপূর্ন হিন্দি সিনেমাটাইপ সেক্সী চেহারা না হলে এরেস্ট হচ্ছে ।
জামাতের সালাতে নিয়মিত গেলে এরেস্ট হচ্ছে ।
পথে ইসলামী কথা বলতে শুনলেই গোয়েন্দারা গ্রেফতার করছে ।
মাদরাসাগুলোতে গোয়েন্দা মসজিদে গোয়েন্দা গিজ গিজ করছে।
মোবাইল ট্রেকিং করে বাসাবাড়ি থেকে এরেস্ট হচ্ছে ।
ইন্টারনেট আইপি ট্রেসিং করে গ্রেফতার হচ্ছে।
শুধু এতটুকু জানি "চরিত্রহীন ছাত্রলীগের " গডফাদারদের শেষ রক্ষা হবেনা যারা ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।
রাজধানী ঢাকা মাত্র ১৫ দিন দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেই সরকার ভারতে পালাতে বাধ্য হবে।
এমতাবস্থায় ঘরে ঘরে হাসপাতাল গড়ে তুলুন আর পারলে প্রাথমিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ট্রেনিং গ্রহন করুন দ্রুত । আপনিই হয়ে উঠতে পারেন আন্দোলনের একজন কর্মী। মজলুম সাঈদীকে মুক্ত না করে বাংলার মানুষ ঘরে ফিরবে বলে মনে হয়না।
ঢাকা কার্যত অবরুদ্ধ।
ঢাকা -চট্টগ্রাম -পাবর্ত্য চট্টগ্রাম।
ঢাকা -কুমিল্লা - চট্টগ্রাম - কক্সবাজার।
ঢাকা থেকে গাবতলী হয়ে উত্তর বঙ্গ যাওয়ার উপায় নেই।
সতর্ক থাকুন কোন সংখ্যালগুকে কেউ যেন আক্রমন করতে না পারে। জনগনের ও বিশ্বের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ামীদের র্কতৃক সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়ে উঠবে একটি বড় ট্রামকার্ড।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন