আমার বৃদ্ধিবৃত্তিকতা আমার দেশের কুলি মজুর চাষাভূষার জন্যে...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৫৪:৩৯ রাত
আমার বৃদ্ধিবৃত্তিকতা আমার দেশের কুলি মজুর চাষাভূষার জন্যে..
আমাকে যদি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে বলেন তাহলে আমি প্রথমে প্রশ্ন করব স্কুল প্রতিষ্ঠা কি পৃথিবীতে নতুন কাজ? যদি নতুন কাজ না হয় তবে বর্তমান আছে এমন স্কুলের সফলতা ব্যর্থতা কি?
তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন নিয়েও আমার তেমন মনোভাব।
আমি সবসময় শ্রমিক কৃষকের পক্ষের মানুষ। এসি রুমের নেতাদের দৃষ্টিনন্দন ভাবি তার বেশী কিছু নয়। কানসাট, শনিরআখরা বা ভূজপুর মনে পড়ে কি! লাঠিই অন্যায়ের সমাধান। জনমত বুদ্ধিবৃত্তিকতাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মুসলমানরা সংখ্যায় পৃথিবীতে সংখ্যালঘু। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে সংখ্যাগুরুরা ও জনমত। গনতন্ত্র নিয়ন্ত্রন করে জনমত।
যে বুদ্ধিবৃত্তিকতা জনমত তৈরী করে যে বুদ্ধিবৃত্তিকতা জনসচেতনতা বাড়ায় আমি সে বুদ্ধিবৃত্তিকতার পক্ষে।
আমার বৃদ্ধিবৃত্তিকতা আমার দেশের কুলি মজুর চাষাভূষার জন্যে। কারন তাদের রক্ত আমার শরীরে বহমান। তাদের কংকালসার শরীরে কৃতজ্ঞতার ঢালি , তাদের ছোট আশার মাঝে নির্মল ভালবাসা বা তাদের চোখের মাঝে দীপ্যমান স্বপ্ন আমাকে আচ্ছন্ন করে। কারন আমার লেবেলটিও তাদের অস্তিত্বের সাথে আমার আবেগের সাথে একাকার। আমি মানবতার জন্যে । আর বাংলাদেশের মানবতা মানে এলিট শ্রেনীর বাইরের ৮০% সাধারন মানুষ। এই সাধারন মানুষই আমার জীবনের মিশন ভিশন। এদের ছাড়া আমার কর্ম নির্জীব থাকে।
আমার জাতির উন্নতির জন্যে বুদ্ধিবৃত্তিকতা যদি হয় কোন ইলেকট্রিক সুইচ তবে আমি সে বুদ্বিবৃত্তিকতার সুইচ টিপে দিতে প্রানান্তকর চেষ্টা করব।
আমার মন প্রান জুড়ে সাধারন মানুষ। তাই আমার জীবনটিও খুবই সাধারন রেখেছি। আমি সিম্পিলিসিটির চর্চা করি। প্রান খুলে হাসি। প্রোটোকল মেন্টেন করিনা। বস্তির কাছে বসে থাকি কোন মলিন পুরাতন পোষাকে। আল্লাহ আমাকে গরীবের মনন বুঝার তাওফীক দিয়েছেন।
তাই আমি এলিট শ্রেনীর স্বপ্ন দেখিনা। বইয়ের পাতার কালো কালির গন্ধ না শুকেঁ মানুষের সমস্যা ও মনন বুঝার ট্রাই করি।
মদন আর মানুষের জন্যে উপকারহীন অধ্যয়নকারীর মধ্যে কোন পার্থক্য দেখিনা।।।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেন একদম আমার মনের কথা। কেম্নে বুঝলেন গো?
আমাদের বুদ্ধিজিবি শ্রেনির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা তথাকথিত মধ্যবিত্ত শ্রেনির সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যত ব্যাস্ত ততটা ব্যস্ত নন কৃষক-শ্রমিক শ্রেনির জন্য। ইসলামি আন্দোলন এর ক্ষেত্রেও এই সত্য প্রযোজ্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন