মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা সেকুলার হতে পারেনি সেটাই তাদের অপরাধ।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৪ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৫৮:৩৭ সকাল
মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা সেকুলার হতে পারেনি সেটাই তাদের অপরাধ।
--------------------
ইংরেজী জানাই কি শিক্ষার মানদন্ড?
পৃথিবীর অনেক দেশের লোকজনই তো ভাল করে ইংরেজী জানেননা।তাহলে তারা কি শিক্ষিত না?
মাদরাসায় ভাল টিচার দেয়া হয়না... হতনা। এখনো টিচারের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নেই।দীর্ঘদিন বাংলা অংক ইংরেজী বিষয় স্কুল ও মাদরাসার বই ভিন্ন থাকাতে চাকরীর ও অনার্স ভর্তিপরীক্ষায় বৈষম্য করার সুযোগ ছিল।মাদরাসায় বিজ্ঞান শিক্ষা থাকলেও গনিত আর জীববিজ্ঞান একসাথে নেয়া যায়না। আজো পর্যন্ত মাদরাসায় কর্মাস নেই। আলিমের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক জায়গায় মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা প্রথম স্থান অর্জন করে টিকলেও ভর্তি নিচ্ছেনা অথচ উচ্চআদালতের দিক নির্দেশনাও ছিল ভর্তিকরানোর জন্যে। মাদরাসা সার্টিফিকেট দেখলে বিভিন্ন ভাল চাকরী ও বিসিএস ভাইভাতে নাক সিটকানো হয়। সমাজকল্যানমন্ত্রীর বক্তব্য আসলে মাদরাসা শিক্ষার কোয়ালিটি মেইনটেইনের জন্যে না স্রেফ রাজনৈতিক বক্তব্য। মুসলিম দেশগুলোতে পানজাবী চলে ব্যপক অথচ এদেশে পানজাবী দেখলেই সমাজকল্যানমন্ত্রীর দলের লোকেরা রাজাকার সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বলে টিটকারী করে। এদেশে দাড়িটুপি দেখলেই জঙ্গী বলা হয়। মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা সেকুলার হতে পারেনি সেটাই তাদের অপরাধ। মাদরাসার অনেকেই উর্দু ফারসী আরবী জানেন। তিনটা বিদেশী ভাষা যারা রপ্ত করতে পারে তাদের মেধাবী নয় বলা মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। রাজনৈতিক কারনে তাদের কাজে লাগানো হয়না এটাই মূল কথা।
সিলেবাস উপযুক্ত করে তৈরী করা কার কাজ? মাদরাসায় যারা পড়ে তাদের? নাকি যারা দেশ চালায় তাদের?বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি সংস্তৃতি পড়াতে পারে ..জার্মান ফ্রেন্স শিখানো যায়..অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন পড়াতে পারে... তুলনামূলক মতবাদ পড়াতে পারে... সক্রেটিস এরিস্টটল প্লেটো পড়াতে পারে...কাল মার্কর্সের অর্থনীতি পড়াতে পারে... কিন্তু কুরআন, হাদীস, আরবী ভাষা, ইসলামী অর্থনীতি, ইসলামী রাজনীতি পড়ালেই বিপত্তি!অংকে শুধু মাদরাসা ছাত্ররা কাচাঁ না স্কুল কলেজের আর্টসের শিক্ষার্থীদের টেস্ট করে দেখেন ...ব্যাতিক্রম ছাড়া দেখবেন সবাই একই রকম।
বিদ্বেষ নয় সবাইকে দেশের উন্নতির জন্যে কাজে লাগানোই হবে সুবিচার।
বিষয়: বিবিধ
১০২০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরাও অনেকে বাধ্য হয়েই ওসব বিষয় ইংরেজীতেই পড়েছি এবং পড়ি, কেননা যারা এ নিয়ে চিল্লাবে, তারা সেসব বিষয় বাংলা করেন-না, কেননা সবাই শিক্ষিত হয়ে গেলেও ব্যাপারটা তাদের জন্য অনেক মুশকিলের। তাই আমাদের দেশের ইংরেজীর-কঠিন-ধারকগণ, শিক্ষার প্রসারে জন্য ইংরেজীর কথা বলেন না, ভালো শিক্ষার সে সময়-টা অন্য কাজে ব্যয় তথা নিজেদেরকে সম্মানীত-শিক্ষিত(!) প্রমাণ করতে বলে থাকেন!
এসবের মাধ্যমে শিক্ষা-র বিষয় সম্বন্ধে তাদের ধারণা এবং অনেকের জন্মগতভাবে অর্জিত একটা বিষয় নিয়ে তাদের আত্মতুষ্টি তাদের রুচী সম্বন্ধে আমাদেরকে জানিয়ে দেয়!
আর প্রেসিডেন্টের নাম লেখা দূরে থাক, খোজ নিলে দেখা যাবে এদেশে অনেকই তার নামও জানানে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন