যে শিবিরের কর্মী তার তিনজন অভিভাবক মা,পিতা,শিবির...(১)
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৮ জুলাই, ২০১৪, ০৪:০৭:২৩ রাত
যে শিবিরের কর্মী তার তিনজন অভিভাবক মা,পিতা,শিবির...(১)
স্বার্থপরের পৃথিবীতে কে কাকে স্মরন করে? ..কার জন্যে কে কি করে বলুন.!!!..সেখানে শিবির কি করছে? মানুষ থেকে কষ্ট করে দান সংগ্রহ করে সে আয় থেকে অফিস নিয়ে হাজার প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে প্রোগ্রাম করে পরিকল্পনা নিচ্ছে কার কার আদরের সন্তানটিকে সীমিত স্বার্থের মধ্যে পরোপকারী, চরিত্রবান, দেশের আগামীর সুনাগরিক বানানো যায়, কিভাবে ভবিষৎ প্রজন্মকে একজন ভাল পিতা উপহার দেয়া যায়, কিভাবে মেয়েদেরকে একজন ভাল জীবনসঙ্গী গঠন করে উপহার দেয়া যায়। দেশ ও বিশ্বের আগামীর কান্ডারী তৈরীতে ছাত্রশিবির কোটি কর্মকান্ড ব্যয় করছে। সংগঠন হিসেবে শিবিরের অবিশ্বাস্য ত্যাগের অনুভূতি। গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে পথে প্রান্তরে অলিতে গলিতে বিল্ডিংয়ে ফ্লাটে ক্যম্পাসের ক্লাসে ক্লাসে পৌছে গেছে এই শহীদি কাফিলার দায়ী গ্রুপ। শিবির একজন "মা" একজন "পিতা"। যে শিবিরের কর্মী তার তিনজন অভিভাবক মা,পিতা,শিবির। ছাত্রজীবনের প্রতিটি পরতে পরতে শিবিরের রং তুলি ছাত্রদের চিন্তা চেতনা স্বপন রুটিন গঠনে অনন্য ছবির সমাহারে নান্দনিক বাস্তব তৈলচিত্র বিনির্মানে সফল, কার্যকরী নির্ভুল অব্যর্থ অস্ত্র প্রমানিত হয়েছে। সম্পূর্ন ড্রাগমুক্ত, নকলমুক্ত অসংখ্য আপাত পাপমুক্ত আধুনিক জনশক্তি গঠনে শিবির সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। আকীদার সঠিকতায় ও পরিশ্রমে শিবির নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। শিবির এদেশের সকল দলের সকল ধর্মের জন্যে প্রেরনার বাতিঘর ভালবাসার সারথী। এদেশকে একটি চরিত্রবান সোনারদেশ বানানোর জন্যে শিবিরের পরিশ্রম ও ঐকান্তিক চেষ্টাকে বুকে জড়িয়ে মুহাব্বাত করা ছাড়া কোন সত্যিকার প্রতিদান হতে পারেনা।
নিজেকে এবং পৃথিবীকে কিছু দিতে হলে আত্বগঠনের পাশাপাশি আত্ববিশ্বাস জরুরী প্রয়োজন। ২০ জন ছাত্রের একটি ক্লাসের রোল-১০ যদি শিবিরের সাথে জীবন চলা শুরু করে আর ১০ বছর পরে দেখবেন ঐই ক্লাসের রোল-১ যে শিবিরের সাথে নেই তার জীবন রোল-১০ এর জীবন থেকে যোগ্যতার সুচকে ব্যবধান তৈরী করে পিছিয়ে পড়েছে দৃশ্যমানভাবে। শিবির আত্ববিশ্বাস তৈরী করে। বড়দের সম্মান ছোটদের স্নেহ করতে শিখায়। আমানতদারী ও সমাজকর্মী বানায়। একজন বোনের আদর্শ ভাই বানায়, একজন প্রেমিকার আদর্শ প্রেমিক, একজন শিক্ষকের আদর্শ ছাত্র, একজন অনুজের অনুকরনীয় বড়ভাই।
কে পরিশ্রম করে দান সংগ্রহ করে তা থেকে ব্যয় করে নৈতিক চরিত্রগঠনের বই কিনে পাচ তলা বিল্ডিংয়ের সিড়ি বেয়ে করিম রহিম জামাল সাত্তারের জন্যে বই পড়তে দিয়ে আসে? কে বইয়ের টেবিল আর ছাত্রের রুটিনের ভিতরে পাঠ্যভ্যাস বাড়ানোর কাজ করে? কে বয়সন্ধিকালের কঠিন সময়ে চরিত্রগঠনের বই পড়াতে ব্যস্ত রেখে প্রতিটি দিন নি:স্বার্থ ভালবাসা দেয়? কে রিপোর্ট বইটি খুলে আদর করে বলে আসে ছোটভাই বড়ভাই এভাবে চললে আপনি হয়ে যেতে পারেন আগামীর উমর বিন আবদুল আজীজ র! কে প্রতিটি বাড়িতে বাসায় লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরীর জন্যে নিরবচ্ছ্ন্নি প্রয়াসে অনন্য বিপ্লবী?
উত্তর হবে "বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।"
সুতরাং শিবিরকে নি:সংকোচে আজো একটি ব্লাংক চ্যাক দেয়া যায়।
বিষয়: বিবিধ
১১৮২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন