ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল প্রনয়নের জন্যে ইসলামিস্টদের কিছু দৃষ্টি আকর্ষনী:
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৫:১৮:১২ সকাল
ইসলামিস্টদের কিছু দৃষ্টি আকর্ষনী:
মান এর সার্টিফিকেট মহান আল্লাহ তায়ালার টিই শ্রেষ্ঠ। আখিরাতে মানুষ কর্তৃক দেয়া মানের ঘোষনা যথেষ্ট নয়। দায়িত্বশীলকে নয় আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে হবে। সিস্টেমের ফলোয়ার হয়ে নিজেকে কর্তৃপক্ষ সাজানো যথাযথ হবেনা। কর্মপদ্ধতি সংবিধান সহ মৌলিক বইগুলো তাত্ত্বিকরাই তৈরী করেছেন তাই সংস্কার ট্যাগ লাগানো বা তাত্বিকদের ঘৃনা নয় প্রমোট করে তাদেরকে খেদমত করার সুযোগ করে দিতে হবে। ইনডোর সাংগঠনিক পর্যালোচনার সবই সমালোচনা নির্ভর তাই সমালোচনা বাইরে কতটুকু করা যাবে তার নীতিমালা থাকা দরকার। আন্তরিক সমালোচকদের শত্রুভাবা কখনই ঠিক হবেনা। পক্ষের ও বিরোধীদের মধ্য থেকে যৌক্তিক পরামর্শ যেই দিক তা গ্রহন করা উচিত। বায়তুলমালে এয়ানত দেয় এমন ইসলামী আন্দোলনের অগনিত শুভাকাংখিদেরকে পরামর্শগ্রহন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করা দরকার। একই আকীদার সংগঠনে তিনবার(সাথী,সদস্য,রুকন) শপথ হতে পারেনা। একই ব্যক্তি নির্ভর সাহিত্য দিয়ে মানউন্নয়ন করলে ইনইফিসিয়েন্সি ইনহেরিট করে তাই মানউন্নয়নের জন্যে মূল টেক্সট হবে কুরআন হাদীস ও বিষয় ভিত্তিক নোট। জনশক্তির ভলিউম বাড়ার সাথে সাথে পদ্ধতিগত উন্নয়ন ও টেক্সট যুগোপযুগী করতে হয়।
সাংগঠনিক কাজ নয় ইসলামী সকল কাজই কাজের সংজ্ঞার আওতায় আসবে।দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী ও নিজের দৃষ্টিভঙ্গী নয় বিভ্রান্তি চ্যাকের মানদন্ড হবে আল কুরআন। সংগঠনকে ভালবাসা নয় ইসলামকে ভালবাসতে হবে। উর্ধ্বতন মানেই জ্ঞান নির্ধারনের মাপকাঠি নয়। প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল।
ব্যক্তির উদ্যেগে ইসলামী আন্দোলন প্রমোট করতে হবে। সকল ইসলামী একটিভিস্টরাই সক্রিয়। সকল ইসলামিস্টদের রাজনীতিতে আনার চেষ্টা ভয়ংকর আত্বঘাতি। হাজার হাজার অটোনোমাস কমপ্লিমেন্টারী সংগঠন তৈরী হোক।
কনভেনশনাল সিস্টেম নয় অবশ্যই আপনাকে বর্তমান ও ফিউচার উপযোগী নতুন কর্মকৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গী তৈরী করতে হবে। স্মার্ট হাস্যজ্জল ভিশনারী বর্তমান তরুনদের কনভিন্স করার মত অল্প কথার কনভিন্সিংগুন সম্পন্ন সাহিত্য তৈরী করতে হবে। সামাজিক কাজ , ম্যানার ও গীবত ধারনা বুহতান নিয়ে শক্তিশালী টেক্সট দরকার।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন