ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনের পদ্ধতিগত উন্নয়ন না হলে ২০০/৩০০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ইসলামী কল্যান রাষ্টের স্বপ্ন।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৪৭:১৪ রাত
ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনের পদ্ধতিগত উন্নয়ন না হলে ২০০/৩০০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ইসলামী কল্যান রাষ্টের স্বপ্ন।
-----------------------
সমালোচনা সহ্য করতে পারার মধ্যে পরমতসহিঞ্চুতার চরম পরাকাষ্ঠা নিহিত আছে।
বৃহত্তর স্বার্থের নামে কাউকে নিয়ে অপবাদ রটালেন গীবত করলেন কুধারনা করলেন । হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জনসম্মুখে হেয় করতে পারলেন কিন্তু নীরবে নিভৃতে তার গুনাহগুলো নিয়ে নিলেন আর তাকে আল্লাহর কাছে জয়ী করে দিলেন । আর হেরে গেলেন আপনি যদি আল্লাহর উপর আপনার বিশ্বাস থাকে।
আর আপনি যদি কাউকে হুমকি দিয়ে থাকেন তাইলে একদম সোনায় সোহাগা। বুঝা গেল আপনার কাছ থেকে আপনার চারপাশ নিরাপদ নয়। তাই আপনি রাসুলের উম্মাতও নন। আপনি দেশীয় আইনেও একজন ক্রিমিনাল। অনলাইনে যদি এই আকাম করে থাকেন তবে আপনার জন্যে রয়েছে কালো আইসিটি আইন।
জঙ্গীরা অস্ত্রের জোরে ইসলাম হাইজেক করার চেষ্টা করছে আর আপনি বৃহত্তর স্বার্থে বাকস্বাধীনতা হরন করে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে খুন করার চেষ্টা করছেন। বেসিকেলী আপনি ধর্মের মুখোশপরা একজন হিটলার। জনা পঞ্চাশেক পুলাপাইন পাইয়া নিজেকে ক্ষমতাবান ভাববেননা। এই পুলারা আপনার নয়। এরা আবেগ ছুটে গেলে আপনাকে মনে মনে একজন চরম জঘন্য মানুষ ভাববে। মানুষের হক নষ্টকারী জীবনে বড় ধরা খায়। আজ হোক কাল হোক জীবনের ঘূর্নিপাকে আটকে যাবে। কারো কাছে এটার নাম আল্লাহর পরীক্ষা। আর কারো জন্যে এটা তার উপরে মজলুমের ফরিয়াদের বিনিময়ে আল্লাহর গজব। আখেরাত নয় দুনিয়াতেই বান্দার হক নষ্টকারীর শাস্তি অবধারিত। যে বাগানে আপনি আছেন বয়স ও সময়ের ব্যবধানে সেটা অন্যরা পুরুন করবে। আপনার ফিউচারের জন্যে পরবর্তীদের আচরন নিয়ে ভাবুন। আজ আর দশ বছর পর কিন্তু একরকম নয়। পদ্ধতিগত কঠিন আত্বসমালোচনা ও উন্নয়ন না হলে এদেশের মানুষ ইসলামী কল্যানমূলক রাষ্টের কথা ভুলে যাবে। তখন ৪০০/৫০০ বছরের জন্যে পিছিয়ে যেতে পারে আমার আপনার স্বপ্নের ইসলামিক কল্যান রাষ্ট।
অনলাইনের কট্টর ক্যাচালে অসংখ্য যুবক যুবতী ইসলামী একটিভিটিস থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। ইসলামকে একগুয়ে কঠিন করে উপস্থাপন করেছে আদর্শের স্বঘোষিত মার্কেটিং ম্যানেজাররা। ফ্যানাটিসিজম দিয়ে আর যাই হোক ইসলামী দাওয়াহ আগাবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১১২৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২০০-৩০০-৫০০ বছর পর আবার ইসমাল ধর্মের দস্যু দখলদারী ফিরে আসবে, অমুসলিমদের উপর জিজিরা কর জারি হবে, মুরতাদের কল্লা কাটা হবে, নারীকে পাথর মেরে খুঁন করা হবে, পুরুষ মাহরাম ছাড়া নারীর স্বাধীন চলফেরা নিয়ন্ত্রীত হবে...........।
মাশাআল্যা..........।
তাহলে পৃথিবী আবার মুসলিম দখলদারির অধিনে চলে গেলে নিচের আয়াতের বিধানটি একই ভাষায় অনুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে?
আল কোরাণ ৯:২৯-"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।"
২।(পাথর মারা সে যুগের একটা পদ্ধতি ছিল। সে যুগের অনেক কিছুই এখন নেই। সে যুগের খেজুরগাছের পাটিতে এখন অনেকেই বসেনা।)
না খেজুর পাটির সাথে বিষয়টি যায় না। পাথর মেরে মানুষ হত্যা ইসলামের একটি বিধান, নবী মোহাম্মদ এই বিধানেই বহু নারীকে খুঁন করেছেন। তারচেয়ে বড় কথা- নবী মোরাম্মদের জীবনী, সিরাত, এবং ইসলাম সর্ব যুগের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। নাকি সব এখন অচল হয়ে গেছে?
৩।(পুরুষ মাহরাম ছাড়া নারী পর্দা সহকারে যেকোন জায়গায় যেতে পারবে।(পর্দা মানে নেকাব নয়)।
আপনি আসলে ইসলামের বর্বর বিধান নিয়ে বিব্রত। তাই কৌশলে পাশকেটে যেতে চান! নিকাব এবং মাহরামের বাধ্যবাধকতা নিয়ে এতশত সহিহ হদিস, সহিহ সিত্তা আপনি কি অস্বীকার করেন?
উত্তর দিন।
ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনের পদ্ধতিগত উন্নয়ন বিষয়ে পোষ্ট ছেপে পান্ডিত্ব জাহির করলেন ঠিকই! অথচ ইসলাম ধর্মে মুর্তাদের শাস্তির বিষয়ে আপনি এখনো ধুয়াসা, ঘোলা পানিতে হাবুডুবু দশা? ভাবতে অবাক লাগে! আমি অবশ্য আপনাদের বেগতিক অবস্থা বুঝি। আসলে মুর্তাদ কতলের বিধান ইসলামের একটি কালো অধ্যায়। মুসলিমরা ২১ শতকের সভ্যতায় এটি না পারে গিলতে, না পারে ফেলে দিতে।
মুর্তাদ কল্লাফতে করার বিধান কোরাণ-হাদীসে খুবই খোলামেলা, স্পষ্ট এবং বিস্তারিত। হাহা, আপনি না বুঝার ভান করলে কি হবে, আল্লামা শফী সাহেব তার আগেই সব খোলাসা করে দিয়েছেন। শাপলা চত্তরে রণহুংকার তো মুর্তাদ কতলের জন্যই হয়েছে, নাকি অন্য কোন কারন? পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনে নিশ্চয় মুর্তাদের গলায় ফুলের মালা দেয়া হয় না।
প্রকৃত অর্থে বর্বর ইসলাম ধর্মে মুর্তাদ কতল করার অসংখ্য নির্দ্দেশনা আছে। আপনি চাইলে কয়েক ডজন দেখাতে পারবো। রাজি আছেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন