ইসলামী আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের জন্যে সমস্যা হল ছাত্রজীবনে বক্তব্য শিখালেও লেখার আর্ট নিয়ে কোন টিচিং ছিলনা
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৩৫:৩২ সকাল
ইসলামী আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের জন্যে সমস্যা হল ছাত্রজীবনে বক্তব্য শিখালেও লেখার আর্ট নিয়ে কোন টিচিং ছিলনা...((সতর্কীকরন:সমালোচনা করা একটি রোগ আবার কারো কাছে অমূল্য শিল্প))
-------------------------------
পাম্পিং লেখা সাময়িক চমক দেয় বটে দীর্ঘদিন একই পাঠককে ধরে রাখতে পারেনা। একই পাঠকের ভালবাসাও ধরে রাখতে পারবেনা। পাঠক পড়তে পড়তে একঘেঁয়ে হয়ে অন্য কিছু খুজে। লেখার আবেদনও দীর্ঘদিন থাকেনা। ইস্যূ শেষ হলে লেখার উপযোগীতা কমে এক সময় হারিয়ে যায়।
অন্যদিকে উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষনী গুন, গঠনমূলক সমালোচনা সমৃদ্ধ লেখার পাঠক কম থাকলেও এটা দিন যেতে যেতে ভুক্তভোগীর হৃদয় জয় করবেই।দেখা গেল কারো কোন বিষয়ে সাপোর্ট দরকার তখন সে খুজে আপনার লেখা পড়বেই। দেখা যাবে কোন এক সময় রাহবারের চোখেও পড়বে যিনি সমাধানের মত যোগ্যতা ও মনন রাখেন। গঠনমূলক সমালোচনাকারীকে মনে রাখতে হবে ট্রিটমেন্ট করা হতে হবে আপনার উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের পছন্দের উপর প্রশ্ন তৈরী করা নয় বরং তাদের মধ্য হতে ব্রিলিয়ান্টদের বের করে এনে জাতির বৃহত্তর খেদমতে প্লেস করাই হতে হবে এইম। দল নয় ইসলামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে .. উম্মাহর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের জন্যে সমস্যা হল ছাত্রজীবনে বক্তব্য শিখালেও লেখার আর্ট নিয়ে কোন টিচিং ছিলনা। কেহ কেহ লিখলেও লেখা ছাপানোর ফ্লোর পাওয়া যেত কম। আর বেশী ব্যস্ত মানুষের চিন্তার জগত সময় পায় না কিছু লেখার মত। কিন্তু কেহ কেহ বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলো ডাইরীভুক্ত করলে বা একমাসে একটা বিষয় সিলেক্ট করে লেখা তৈরী করে ঐই আলোকে সারা মাসের প্রোগ্রামে ঐই একটি বিষয়ে কথা বলেন তবে তার লেখা তৈরী হবে এবং পরবর্তীতে চক্রাকারে তিনি পূর্বের লেখা সমৃদ্ধ করার সুযোগও পাবেন।
ইসলাম, মানবতা, সমাজসমস্যা সহ আপনার প্রিয় বিষয় সিলেক্ট করে পড়তে থাকুন লিখতে থাকুন। লেখা বেচে থাকে। বক্তব্য হারিয়ে যায় আকাশে বাতাসে। লেখা থেকে হোক বক্তব্য । একই বিষয়ে কুরআন হাদীস ও অনেক বই পড়ুন। আস্তে আস্তে বায়াসড না হয়ে বাস্তবতার আলোকে নিজের চিন্তাটিই বলুন। সাময়িক প্রতিক্রিয়া তৈরী হতে পারে। সকল উপযোগী লেখা বা গঠনমূলক লেখা ঐই সময়ের দুর্বলতাগুলোকে টাচ করেছে। আপনার বক্তব্য যদি রেফারেন্স ভিত্তিক ও বাস্তবতার আলোকে হয় তবে দুর্বলতার প্র্যাকটিসকারীরা কি বলল তা দেখার বিষয় নয় বরং দুয়া করতে থাকুন লেখা যাতে এমন কারো চোখে পড়ে যিনি ত্রাতা হিসেবে আর্বিভূত হবেন। বেশিরভাগ মানুষ পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চের দর্শক। লেখক স্বত্ত্বা স্রষ্টার দান। এই শক্তিকে উম্মাহ ও মানবতার পথপ্রদর্শক হিসেবে ব্যবহার করাটাই গুরুত্বপূর্ন। কারো প্রেসক্রাইভে ও মনোরঞ্জনের জন্যে লেখা লিখা আপনাকে দেয়া আল্লাহ প্রদত্ত উদ্ভাবনী শক্তির সাথে আমানতের আচরন নয়। সমালোচনা ও বিতর্ক উন্নতির সোপান। সবাই লেখা আজকে নাও বুঝতে পারে। অর্ধশতকও লেগে যেতে পারে অনেক লেখার যৌক্তিকতা বুঝতে। কারন কাউকে কাউকে দিয়ে আল্লাহ খেদমত আদায় করেন।ভাল চিন্তা আল্লাহই উদয় করেন। চোখের আলোয় চোখের বাহিরে দেখা যায় অন্তরের আলো দিয়ে অনেক অনেক বছর পরে সংঘটিত হতে পারে এমন অনেক কিছুকেই দেখা যায়। মাঝে মাঝে ঘটে যাওয়া উপসর্গ নিয়ে যারা কাজ করেনা তাদের হাতে ঘূর্নিঝড় থেকে ঘর রক্ষা করার আশা করা শোভন নয়। ঘূর্নিঝড় যখন আসবে ঘরের প্রশংসাকারীরা শিশুতোষ দর্শক হয়ে যায় মাত্র।
সুতরাং পদের লোভ না করে জনপ্রিয়তা নয় সত্য বলে যাওয়া সত্য লিখা সত্যে অনুগত থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একেকজন যদি একেক্টা বিষয় নিয়ে প্যশনেটলি পড়া এবং লেখালেখি করে তাহলে লং রানে ভালো কন্ট্রিবিউশন পাওয়া যাবেই।
ব্লগে কয়েকজন প্যাশনেটলি যেমন বিয়ে নিয়ে লেখেন, তেমনি অন্য বিষয়গুলো নিয়েও যদি কেউ কেউ ক্রমাগত লিখতেন তাহলে খুবই ভালো হতো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন