জামাত শিবিরের ৯০% সময় ব্যবস্থাপনা ব্যয়...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১০ জুন, ২০১৪, ০৯:৩০:৫৫ সকাল
জামায়াত শিবিরের টোটাল কাজের পাশে সময় লিখুন। দেখবেন ৯০% টাইম ম্যানেজমেন্ট কস্ট। যে সংগঠনের টোটাল টাইমের ৯০% ব্যবস্থাপনা খরচ তারা কোন দিনই গনসংগঠনে পরিনত হতে পারবেনা। আজ ছোট ভাই ইশরাক ( @আশরাফ আজিজ ইশরাক ফাহিম )সংগঠনের একটি মৌলিক রোগ ইন্ডিকেট করেছে।আমাদের মুল কাজ হতে হবে সমর্থক বৃদ্ধি।বাকী কাজ করতে হবে মোবাইল কোম্পানীর ভেন্ডর কাজে লাগানোর সিস্টেমে এবং জনশক্তি পরিচালনা হতে হবে গামেন্টর্স সিস্টেম।
আর একটা বড় সমস্যা হল যারা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে হেবিচুয়েট হয়ে পড়ে তারা দাওয়াতের চরিত্র হারিয়ে আস্তে আস্তে দলীয় নেতায় পরিনত হয়। তখন দলীয় ওয়ার্ক, দলীয় গন্ডী, দলীয় মানুষ, দলীয় দোকান, দলীয় প্রতিষ্ঠান, দলীয় ইসলামিক আড্ডা ভাল লাগে। সাধারন মানুষের সাথে মিশা, তাদের কথা ভাবা , সাধারন মানুষের কথা হজম করে সাধারন মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারার যোগ্যতা প্রান্তিকতার দিকে চলে যায়। একসময় বিদায় নিয়ে নিজের প্রোটোকল চিন্তা ও সাধারন মানুষের সাথে মিশার আনইজিনেস দিয়ে নিজেই সমাজ থেকে আইসোলেটেড হয়ে পড়ে।
এভাবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় একজন দায়ী সাবেক দায়ীতে রুপান্তরিত হয়। একজন ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা ইনার সাইডের ইন্টারনাল পলিটিকসে ব্যপৃত হয়। দলীয় নেতার চারদিকে একটি ভালবাসার দেয়াল তৈরী হয়। এই ভালবাসার দেয়াল মানে মানের লোক পরিবেষ্টিত হয়ে থাকা। তাতে একই পরিবেশে থাকার আকুতি তৈরী হয় অভ্যাস তৈরী হয় এবং কোষ একপেশে হয়ে যায়। দাওয়াতের ফ্রন্টলাইনে থাকার যোগ্যতা কমতে থাকে। এভাবে অনেক বছর পরে জননেতা আর দলীয় নেতার গুন ১৮০ ডিগ্রী এন্গগেলে অবস্থান করে ।পাবলিক সমর্থন এর দৃষ্টিকোনে সমাজবিচ্ছিন্ন সমাজ কর্মী ও চিন্তকে পরিনত হয়।দলীয় নেতার সাথে সাধারন মানুষ মিশার সুযোগ কম পাওয়ার ফলে সাধারন মানুষ মনে করে ওরা অন্যগ্রহের প্রানী। যখন সাধারন মানুষ নেতা নিয়ে কথা বলে তখন অন্য সাধারন মানুষ বিশ্বাস করে। আর দলীয় নেতা যখন দলীয় নেতা নিয়ে কথা বলে তখন অন্য দলীয় নেতা বিশ্বাস করে কিন্তু সাধারন মানুষ বিশ্বাস করেনা। দলীয় নেতা সাধারন মানুষের সাময়িক সমর্থন লাভ করলেও সার্ভিস সমস্যা ও মানুষের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হওয়ার কারনে দল ও সাধারন মানুষের আবেগ আহত করে অচিরেই সমর্থন শূন্য হয়ে পড়ে।
সাহিত্যের ভাষা পাবলিকে বুঝেনা।" একের ভিতরে সব গুন " এমন ইসলামী দলীয় নেতৃত্বের ধারনা থেকে বের হতে হবে।
মনে রাখতে হবে সেবার জন্যেই নেতৃত্ব।
তার জন্যে দরকার ব্যক্তি উদ্যোগের ইসলামী আন্দোলন প্রমোট করা যারা দলকে অস্বীকার করবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা আমাদের চার পার্শে সাংগঠনিক আড্ডার আসর বসিয়ে সাধারণের মাঝে যেমন দেয়াল তৈরী করেছি, ডিজিটাল জামানায় তেমনি ভাবে সাংগঠনিক আড্ডার পরিবর্তে অনলাইনে আড্ডা দিয়ে সংগঠন আর সমাজ দুই থেকেই দূরে চলে এসেছি।
আমাদের সময়টাকে ইবাদতে রূপান্তর করতে হবে-এটাই যদি হয় লক্ষ্য, তাহলে বিতর্ক অনেক কমে যায়।
অনেক ধন্যবাদ।
হুম এই কথা সুশীলরাই বলে
আর অন্তরে আগুন জ্বলে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন