বিয়ে নিয়ে ইসলামী যুবকদের ম্যড়মেড়ে অবস্থা!
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৭ জুন, ২০১৪, ০১:৪৯:৩২ দুপুর
বিয়ে নিয়ে ইসলামী যুবকদের ম্যড়মেড়ে অবস্থা!
চট্টগ্রাম মহানগরীর দুইজন অত্যন্ত এক্সট্রা অরডিনারী মেরিটরিয়াস সদস্যের বিয়ের ছবি ফেইসবুকে দেখলাম যারা দাওয়াতী কাজে ও মানউন্নয়নে আমার দৃষ্টিতে ম্যাজিক জানতেন। সাধারন মেয়ের সাথেই বিয়ে। মেয়ে বিয়েরদিন অন্য মেয়ের মতই খোলামেলা।
অসহায় ইসলামী যুবকের কি করার আছে?
১.ইসলামী ছেলের অনুপাতে ইসলামী মেয়ে কম। ১:৪০ বলা চলে(অনুমান)।
২. আবার অনেক ইসলামী মেয়ে আছে বিকলাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গীর। প্রথমত শশুড় শাশুড়ীকে আত্বীয় স্বজনকে খেদমত করা এরা কর্তব্য মনে করেনা।অনেকে সাজতে শাই ফিল করে। অথচ পুরুষের ভালবাসা জাগানোটা বা পুরুষের আকর্ষন তৈরী হওয়া গুরুত্বপূর্ন। আবার দেখা যায় ঘরের কথা সব ইসলামী চ্যানেলে গিয়ে শেয়ার করে নিজের প্রাইভেসী ক্ষুন্ন হওয়ার একটা থ্রেট তৈরী হয়। তারপর লাইফটাকে ইজিলি নিতে পারেনা। সিস্টেমকে পেচিয়ে কঠিন করে। অনেকেই সাংসারিক কাজকর্মে থাকে উদাসীন।
৩.জেল জুলুম মামলা হুলিয়া আহত হওয়ার থ্রেট নিয়ে কেন সাধারন মেয়েরা ইসলামী যুবকদের বিয়ে করতে চাইবে?
৪.কোন মতে ইসলামী যুবকদের জন্যে সাধারন মেয়েদের রাজী করানো গেলেও কেন একটি মেয়ে আধা ইসলামী পরিবেশে বড় হয়ে তার আজীবনের বিয়ের সাজ পোষাক নিয়ে স্বপ্নকে একনিমিষে ছাড় দিয়ে হিজাব পড়বে?
৫.আর ইসলামী ছেলের কাছে সুইচ বা রিমোট কন্ট্রল থাকে কি যা দিয়ে ম্যাজিক দেখানো যায় এবং রিমোট দিয়ে দাওয়াতী কাজের আওতায় না এনে হিজাবী বানানো যায়?
যেখানে বিয়ের কথা বার্তা ফাইনাল হলেও আকদ হওয়ার আগে পর্যন্ত ফ্রি কথা বলা অনুচিত!
৬.আজ "দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে দীলের কাজ হয়ে যাবে" শ্লোগানে আমাদের তরুনীদেরকে সেকুলার ভাবধারায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী রমনা ধানমন্ডী মিরপুর ভেড়ীবাধ বোটানিকেল গার্ডেনের পরিবেশ কোন ইসলামপন্থীর গায়ে আগুন ধরাতে পারেনি। ঈমান নাড়া দিতে পারেনি। হায় দেশবাসী হায় ইসলামপন্থীরা।
৭. ইসলামপন্থী তরুন তরুনীদের জন্যে বিয়ের ব্যবস্থা, পাত্রপাত্রী খুজার জন্যে স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানও নেই যে সহজে কিছু করা যাবে।
৮. আবার ইসলামপন্থী মেয়েদের দেখার জন্যে যে অবর্ননীয় কষ্ট করা লাগে তা করার জন্যে ইসলামপন্থী যুবকরা বিব্রত।
৯. আবার ইসলামী মেয়ের যেখানে আকাল সেখানে কোন ইসলামী মেয়ে কখন বিয়ে করবে সেটা বুঝার চেয়ে একসাগর পানি চুষে খেয়ে ফেলা সহজ।
১০. আবার ইসলামিক মেয়ে কম। সিনিয়ররা করে কি যেগুলো একটু ভাল সে গুলো তাদের ভাই বেরাদারদের জন্যে নিয়ে যাবে। অন্তপুর থেকে যে খবর বাইরে আসবে তা হল তারা তাদের আত্বীয় স্বজনের জন্যে যে গুলো নিয়ে যাবেনা সে গুলোর।
আসুন দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে দীলের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যে জোর প্রচেষ্ঠা চালাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারণ , ''সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে ''
আপনার কপালে বউ নাই....
তবে যা বলেছেন তা ১০০% ঠিক। আমাদের মধ্যে কেউ নারিদের বেপর্দা করেন। আবার কেউ পর্দাকরতে গিয়ে পুরাপুরি হারেম বাসিনি করে তুলেন। যদিও অসূর্যস্পর্শা নারির ইতিহাস ইসলামের গেীরবের যুগে ছিলনা। সমস্যাটা কিছুটা সামাজিক ও বটে। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজেও গত দুই জেনারেশনের ক্ষেত্রে দেখা যায় নারিরা শিক্ষিত হয়েও স্বামির জিবনের আদর্শকেই গ্রহন করেন। ইসলামিক বিষয়ে জ্ঞাত ছেলেদের মধ্যেও এই অনুভুতি পারিবারিক ভাবেই ঢুকে যায়। ফলে তার মধ্যে বিয়ের পর ঠিক করে নেওয়ার মানসিকতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে মেয়েদের মধ্যেও এখন স্বাধিনতা বা ক্যারিয়ার এর নামে এক ধরনের অদ্ভুত স্বাতন্ত্রবোধ এর সৃষ্টি হয়েছে যে অনেক মেয়েই নিজের স্বামিকে স্রেফ নিজের সম্পদ মনে করে। বিয়ে হওয়া মানে কেবল দুই জনের মিলন নয় বরং দুটি পরিবারের বন্ধন এই বোধ আমাদের সমাজের থেকে প্রায় উঠে যাচ্ছে। আর এই সমস্যাগুলির মূল দেখবেন সেখানেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন