পড়া,সংস্কৃতি, প্রেম, সুর, মজা আধুনিকতা।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৪ মে, ২০১৪, ১১:৩৯:২৬ রাত
ঢাকায় এমন অনেক জায়গা আছে যা শুক্রবারে হয়ে উঠে সকাল থেকে রাত অবধি সেকুলারদের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র।এরা অনেকগুলো সংগঠন করে। একেকজনে একটা। সংগঠন পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে নেতৃত্বগুন গ্রো করে। আবার একজনের সংগঠনের দাওয়াতে অন্যরা যায়। এভাবে তারা সম্মিলিত ভাবে বড় হয়।তারপর কারওয়ান বাজারের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এরা কাজ করে মনোপলি ভাবে অস্তিত্বের জানান দেয়। এরা সারাদিন উচ্চারন আবৃত্তি নাটক গান ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে আছে আর একসময় কথা বলার বড় ডায়েসটি নিজের করে নেয়। আর আমরা সামষ্টিক পাঠের কান্ডারী থেকে যাই। আমাদের মধ্য থেকে যারা ঐই লাইনে যায় তাদের ভাবি দলছুট।
আমাদের সাইমুম পানজেরী টাইফুন উচ্চারন আছে।সাধারন কারো বিয়ের অনুষ্ঠানেও এদের পাওয়া যায়না। পাইলে দাম আকাশচুম্বী। আমরা যারা সদস্য শাখার দায়িত্বশীল ছিলাম আমাদের প্রোগ্রাম নেয়। কিন্তু জামাতী ট্যাগ খাওয়া এই গ্রুপ সবখানে যেতে পারেনা। আবার আমরা ব্যক্তিকে অন্য সংগঠন করা থেকে বিরত রাখার জন্যে রক্তচক্ষু বের করে রাখি। আমরা এক ছাতায় বিশ্বাসী। একছাতা উল্টায়া দিয়া বিরোধীরা আমাদের বিপরীতে সফল। আমরা পরে বুঝি.. হারিয়ে বুঝি। আজকেরটা ১০ বছর পরে বুঝে কি লাভ? অদ্ভূত! ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রমোট করে সাবেক সাইমুম পানজেরী টাইফুন উচ্চারন শিল্পী গোষ্ঠীর কর্মী দিয়ে গড়ে উঠতে পারত হাজার হাজার সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ও সংগঠন। হয়নি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সপ্তাহে পুরো একদিন বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের সংস্কৃতি চর্চা করার জন্যে কোন জায়গা আছে কি?এমনিতেই সংস্কৃতি সংস্কৃতি করবে? আরে বাংলাতেই তো অনেকের বিশ্বাস ও প্রেম নেই । তার উপর আবার সংস্কৃতি চর্চা!!!!! ইসলামপন্থী এক গ্রুপ আছে অরাজনৈতিক বৈরাগী আর এক গ্রুপ আছে অতি রাজনীতিবিদ। এই দুইগ্রুপের অনেক কর্মকান্ডেই এখন বিব্রতবোধ করি। সব মানুষ একরকম হয়না। একেকজনের আবেগ একেক রকম। মনও অসুস্থ হতে পারে। আমাদের মধ্যে মন ভাল থাকার খোরাক কই? মনের অসুস্থতাকে দুর করার জন্যে গান কই? রবীন্দ্রনাথ এক অদ্ভূত দার্শনিক। মনের ডাইমেনশান গুলো তিনি গানে সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন।ছায়ানট ও রবীন্দ্রনাথের বিপরীতে আমাদের অবস্থান কি! গতকাল হাইকোর্টের এক লয়ার বন্ধুর সাথে জুমার পর থেকে ঘুরলাম। দায়িত্বশীল ছিলেন। কনে দেখতে গিয়েছেন আর ঐ কনের প্রেমে পড়েছেন। যে কোন কারনে মেয়ের আব্বা দিবেনা। এখন সে অদ্ভূত ভাবে তার জন্যে কষ্ট পায়। ইসলামে এই প্রেমের কষ্টের অবস্থান কই? আমরা এমন এক দায়ী গ্রুপের সদস্য যারা নিজেরা নিজেরা বাস করতে চাই। আমরা বিরোধীদের সাথে কট্টর ব্যবহারে অভ্যস্ত।বিরোধীদের ঘৃনা করতে অভ্যস্ত। বিরোধীদের সাথে ক্লোজলি না মিশলে দাওয়াত হয় না এটা কে বুঝাবে আমাদের? ঘৃনা দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করা যায় না। সাংস্কৃতিক যুদ্ধটাই মূল। মানুষ ভাল লাগা থেকে সংস্কৃতি চর্চা করে। মন যখন হাঁপিয়ে উঠে তখন গানের দরকার। শুধু হামদ নাত নয় জীবনমূখী গান মন ভাল রাখতে পারে। কুরআনের আলোচ্য বিষয় মানুষ নয় কি! তাইলে মানুষের জন্যে কবিতা গান কই? বর্তমান ইসলামপন্থীদের অনেকেই জীবনের অনেক বিষয় নিয়ে ব্যালান্স উত্তর দিতে পারছেনা। আবার যারা একটু প্রাগ্রসর ইসলামিষ্ট তাদেরকে গোড়াঁরা বলছে তারা কেউ ইসলামের কিছুনা। সামগ্রিকভাবে জাতির মুক্তির পথ খুজি। ব্যক্তিগতভাবে বাজনার ফিকাহ আমার কাছে ক্লিয়ারনা। গলা থেকে বের হয় স্বর। ইন্স্ট্রুমেন্ট থেকে বের হয় সুর। এই সুরের সাথে রয়েছে ইসলামপন্থীদের শত্রুতা। কিভাবে আসবে সাংস্কৃতিক যুদ্ধে সফলতা? আমার মাথায় ধরেনা। মজা নিয়ে চলে আধুনিক সমাজ। হেসে খেলে আনন্দ করার মধ্যে দিয়ে চলে আধুনিক সমাজ। অথচ হাসি মজার বিষয়ে রয়েছে ইসলামপন্থীদের বিতৃঞ্চা। কিভাবে আধুনিক সমাজ এই নিরস ইসলামিষ্টদের গ্রহন করবে? বিতর্কে অসহনীয় এই ইসলামিষ্টদের মূল সমস্যা টেক্সট বইয়ে । মাদরাসা গুলোর টেক্সট বইয়ে দৃষ্টিভঙ্গীগত ঝামেলা আছে। ইসলামী দলের সিলেবাসেও দৃষ্টিভঙ্গীগত ঝামেলা আছে।
একটি নিরেট স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপকে খুজছি। আবার এক গ্রুপ আছে পড়া লেখার তালে। বেশী পড়ালেখা করাটা একটা রোগ। কমপড়াও রোগ। আপনি এক যুগ পড়তে থাকবেন আর সমাজ আপনার জন্যে বসে থাকবে? আপনি বই পড়ে শিখাটা শিক্ষা বলছেন । কিন্তু সঙ্গ থেকেও শিখা যায়। টেকে ঠকে শিখা যায়। কাজের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা। ভ্রমনে শিখা যায়। মানুষের সমস্যা সমাধানের পড়া ছাড়া বাকীটা পূর্নিমা চাদঁ। সারাদিন বইয়ের দিকে কল্লা নীচু করে থাকলে মাথা উচুঁ করে দাড়াবেন কখন?
বিষয়: বিবিধ
১২৩২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাহা। মিয়া ভাই। আপনার সদস্যপদ কি এখনও আছে? ও আচ্ছা। আপনিতো ছদ্ম নামে। আপনার কথাগুলো নিরেট সত্য। কিন্তু রক্ষণশীল রাজনীতিতে এসব গাঁজাখুরী। আপনি যোগ্যতার দিক থেকে দায়ীত্বশীল থেকে বেশী হলেও বেশী বেশী দাওয়াতী কাজ করে দায়ীত্বশীল কিন্তু আপনার নেতা। আপনার চেয়ে বেশী বুঝে। হেতে যা কয় হেইডা কোরানের আয়াত। হেতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু কইত হাইত্তন। কইলে গেছে। বাস। ফার্মের মাঝে লালিত সব মুরগী ভেবে নিবে আপনি বাদ! বিপথগামী!
নিজের প্রবাসী মজুমদার তাদের একজন। মনে অনেক যাতনা। বরফ ঢেলে দিয়ে চেপে রেখেছি। বলে লাভ নেই। কেবলা বাবার দরগাহে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট রাজনীতির বিষে সব শেষ। সেদিকে খেয়াল নেই। বাবার দরবারে মাথা গুনে ১০০ লোকের উপস্থিতির গর্বে বুকটা অহংকারে ভরে যায়। প্রমাদ গুনি, বিপ্লব অত্যাসন্ন। খালি মুখে দাড়ী গজাল। পেকে গেল। কিন্তু বিপ্লব দেখিনা.....।
ধন্যবাদ।
https://www.facebook.com/lokmanbinyousuf
মন্তব্য করতে লগইন করুন