নরেন্দ্রমোদিকে অভিনন্দন দেয়াতে যা লাভ হল....
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৭ মে, ২০১৪, ০৭:০৩:০৬ সকাল
নরেন্দ্রমোদিকে অভিনন্দন দেয়াতে যা লাভ হল....
-------------------
নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জামায়াত অভিনন্দন দিক না দিক এটার কোন পরিবর্তন হবেনা।
অভিনন্দন দেয়াতে যা লাভ হল...
১. ভারতের জনগনের মতামতকে সম্মান করা হল।(ভারতের জনগনে মুসলমানও আছে)
২.জামায়াত যে চরম বিরোধী মতামতেও অত্যন্ত সহনশীণ তা প্রমানিত হল।
৩. অভিনন্দন দেয়াতে ইসলাম, ইসলামী দল ও বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় নরেন্দ মোদী কিছু সহনশীল হতেও পারেন।
৪. অভিনন্দন দেয়ার পরও নরেন্দ্রমোদীকে আগ্রাসী দেখা গেলে সারা বিশ্বের ভদ্র, ইন্টেলেকচুয়াল গোষ্ঠী, কুটনৈতিক মিশন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, বাংলাদেশের জনগনকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলা যাবে " দেখছো..দেখছো...এদের অভিনন্দন দিলে যেই না দিলেও সেই" এই কথা বলে ভবিষৎ দাওয়াতের জন্যে শক্ত ব্যবহারিক প্লট তৈরী করা হল।
৫.মনে রাখতে হবে পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়।
৬. মুসলিম বিশ্ব ও বিশ্বের সকল ইসলামী দলের একটা অভিনন্দন "ভারতের মুসলমানদের জন্যে একটি সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে।"
৭. শত্রুতাকে উদারতা,ভালবাসা,ভাল ব্যবহার, বন্ধুত্বের মাধ্যমে কমানো যায়। মনে রাখতে হবে ভারত উঠতি বিশ্বশক্তি।
৮. নরেন্দ্রমোদী নয় আওয়ামী বন্ধুদের নিয়ে চিন্তা করুন।
৯.অভিনন্দনের কারনে ভারতকে আওয়ামী ঘেষা নীতি বদলিয়ে নিউট্রালাইজ হওয়ার দিকে আহবান করা হয়েছে যা দেশের রাজনীতির জন্যে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের জন্যে আশাব্যঞ্জকতা তৈরী করেছে।
১০. একটি অভিনন্দন দিয়ে বাংলাদেশের এক্সট্রিমিস্টদেরও চেনা গেছে। রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ক কাঁচা পুলাপাইনকে দেখে আমি মোটামুটি ঘরে বসে একটা বিদ্রুপের হাসি দিয়েছি।
জামায়াত তুমি আরো লিবারেল হও সহজ হও। কট্টরতা দেশ ও বিশ্ব গ্রহন করবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১। ভারতের সংবিধানে ওমশান্তি, পরম শক্তিমান ভগবানের নামে শুরু করছি যোগ করা।
২। হিন্দুত্ব ধর্মের পুর্নাংগ জীবন বিধান ভারতীয় সমাজের সর্বস্তরে কায়েম করা।
৩। সংখ্যালঘু অহিন্দুদের কাছ থেকে ধর্মকর আদায়ের বিধান জারি করতে হবে।
৪। হিন্দু ধর্মের শত্রুদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য শিবসেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
৫। অবিলম্বে অযধ্যার পবিত্র ভূমি থেকে নাপাক বাবরী মসজিদের অবশিষ্ট অংশ উছ্ছেদ করে সেখানে রামমন্দির পুর্ণস্থাপন করতে হবে।
জামায়াত তুমি আরো লিবারেল হও সহজ হও। কট্টরতা দেশ ও বিশ্ব গ্রহন করবেনা। বিরোধীরা মনে করলেও আমার যতটুকু জানার সুযোগ হয়েছে তার আলোকে বলতে পারি, জামায়াত ‘কট্টর নয়’। সে প্রমাণ হয়ত আপনার নিকট ও থাকতে পারে। ধন্যবাদ।
==========
একসময় আপনারাই মোদীকে কসাই বলে গলা ফাটিয়ে ফেলেছিলেন কিন্তু আজ অভিনন্দন!!! হায়, ভাইজান, স্রোতের সাথে গা ভাসিয়েই যদি চলবেন তো, দ্বীন রাখবেন কোথায়?
কংগ্রেস তবুও মন্দের ভাল ছিল, সেও কি রকম আচরন করলো বাংলাদেশের প্রতি !
বিজেপি তো বাংলাদেশকে পছন্দই করে না মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা বলে । সে তো প্রকাশ্যেই বাংলাভাষীদেরকে বিছানা বালিশ গুছিয়ে রাখতে বলেছিল ।
মোদীদের আসার ফলে ভারতে হিন্দুদের দৌরাত্ম হিংস্র রুপ নেবে বলেই মনে হয় । ওরা তো সেখানকার মুসলমানদের পুড়িয়ে কাবাব বানায় ।
বাংলাদেশ মহা ফাঁপড়ে থাকবে এই টেনিউরে নিখিল বঙ্গ আন্দোলন নামক সংগঠনের কারিকুরিতে । পুশ ইন নিয়ে বর্ডারেও আরও স্যুটিং প্রেকটিস হবে বিএসএফের ।
বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের জন্য ভারতের একটা খবরই খুশির খবর হবার কথা , সেটা হল যেদিন শুনবো যে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের মত ভাগ হয়ে গেছে ।
কেবল সেদিনই এই উপমহাদেশে প্রকৃত শান্তি আসবে । অখন্ড ভারত এই উপমহাদেশের অশান্তির একমাত্র কারণ ।
ধন্যবাদ।
জামায়াত শিবিরের লোকদের বলছি
সংখ্যালঘু চরমপন্থী ইসলামী লোকরা কি কইছে তা নিয়ে টেনশিত হওয়ার কিছু নাই। নরেন্দ্রমোদিরে অভিনন্দন ওরফে নসীহতনামা দেয়াতে যাদের মাথায় গরম ভাব হইছে তাদের বলেন সেকুলার লইয়া টেনশিত হইতে। আর দাওয়াতের ময়দান অনেক বড়। গোড়া চরমপন্থীরা এমনিতেই ধরা খাবে। সো... জাস্ট এভয়েড। জামায়াত বানের পানি না যে কারো কথায় অইসলামী বলে আখ্যায়িত হবে। জাতি জানে জামায়াত কি... দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় জামায়াত তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।কোন ইসলামপন্থী এই পরিষ্কার অবস্থানে ময়লা লাগাতে চাইলে নিজেই ময়লায় গড়াগড়ি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অসংখ্য শহীদ ও ত্যাগের বিনিময়ে জামায়াত আজ স্বীয় মহিমায় উজ্জল। জামায়াত এই দেশের তাওহীদী জনতার আশা ও স্বপ্ন। প্রেরনার বাতিঘর।
হতে পারে আমার মত পুচকারা জামায়াতকে নসীহত করে যাই এবং জামায়াতের অনেক কর্মকান্ড এবং কৌশলের আপগ্রেডেশান চাই। তার অর্থ এই নয় যে আমরা জামায়াতের কোন ভাল কাজে প্রশংসা করবনা।
Biporite ram mondirke amra public toylet bolbona..
-----------------------
ইসলাম বাঁচাতে একসময় বিএপির ছাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন! কিন্তু জাতি দেখল, আপনারা হাসিনার হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার যতগুুলি উপকরণ ছিল সব দিয়েছিলেন। ফলে ইসলামের তো কোন উপকারই করতে পারলেন না বরং বিএনপিকে ডুবিয়ে দিয়ে নিজেরাও, হরতাল অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও, ককটেল, প্রেটোল বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করে 'চূড়ান্ত রকমেরর চরমপন্থা'কে গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের স্বরপ প্রচার করলেন।
অন্যদিকে মুমিনদের বৈশিষ্ঠ 'তারা মুমিনদের প্রতি নরম এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর' (মায়েদা-৫৪) এই নীতিকে বিসর্জন দিয়ে আমেরিকার দূতাবাসের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে চাওয়া মাধ্যমে ইসলামের স্বরুপ প্রকাশ করলেন!!?
=
এই হচ্ছে তথাকথিত 'লিবারেল' রাজনীতি।
হরতাল গনতান্ত্রিক অধিকার।
গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারকে মানতে যেভাবে বাধ্য বিরোধী দলের কর্মসুচীতে সহযোগিতা করাও সবার দরকার। যেখানে বিচার নামে তামাশার কথা সবাই জানে।
ঠিকই তো।- ফলে ইসলামের বিধান 'চোরের হাত কাটা, হত জারি করা' ইত্যাদি কাজগুলি করা অন্যায়। মোদি যতই অপরাধ করুক না কেন, তাকে ঘৃণা করা যাবে না। অপরাধী আবুল হাকামের নামকে বিকৃত করে আবু জেহেলও ডাকা যাবে না!!
আওয়ামী লীগে অত্যাচারের কারণে শেখ হাসিনাকে ঘৃণা করা যাবে না। মোল্লা শাহেবকে হত্যা করা হয়েছে তো কি হয়েছে, তবুও ওদের ঘৃণা নয় ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। হা হা হা।
বিরুপভাবাপন্ন মানুষের সাথে ডিবেট করে লাভ নাই।
খেলাঘর যারা বাঁধতে আসে তাদের বক্তব্য এমনই হবে, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নাই। বসতঘর বাঁধতে আসলে তবেই সে হবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ তার প্রয়োজন হবে ভাল প্রতিবেশীর।
মহান আল্লাহ বলেন 'তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান৷ তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন : আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট৷ আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি৷ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে৷ তবে ইবরাহীমের তার বাপকে একথা বলা (এর অন্তরভুক্ত নয়) “আমি আপনার জন্য অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবো৷ তবে আল্লাহর নিকট থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত কোন কিছু অর্জন করে নেয়া আমার আয়ত্বাধীন নয়৷” ৭ (ইবরাহীম ও ইবরাহীমের দোয়া ছিল হে আমাদের রব, তোমার ওপরেই আমরা ভরসা করেছি, তোমার প্রতিই আমরা রুজু করেছি আর তোমার কাছেই আমাদের ফিরে আসতে হবে৷
মওদূদী (রহঃ) ব্যাখ্যা- অন্য কথায় এর অর্থ হলো, হযরত ইবরাহীম (আ) তাঁর কাফের ও মুশরিক কওমের প্রতি যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন এবং পরিষ্কার ভাষায় তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে ঘোষণা করেছিলেন তা তোমাদের জন্য অনুসরণীয় । কিন্তু তিনি তাঁর মুশরিক পিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার যে ওয়াদা করেছিলেন এবং কার্যত তা করেছিলেন তার মধ্যে তোমাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নেই । কারণ কাফেরদের সাথে ভালবাসা ও সহানুভূতির সামান্যতম সম্পর্ক রাখাও ঈমানদারদের জন্য ঠিক নয়
=======
তো ব্রাদার আপনার উচিত হবে, তাফহিমুল কোরআনকে সংশোধিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
===============================================
১. ভারতের জনগনের মতামতকে সম্মান করা হল।(ভারতের জনগনে মুসলমানও আছে)
===================================
মুসা দোয়া করলো, হে আমাদের রব! তুমি ফেরাউন ও তার সরদারদেরকে দুনিয়ার জীবনের শোভা -সৌন্দর্য ও ধন-সম্পদ দান করেছো৷ হে আমাদের রব! একি এ জন্য যে, তারা মনুষকে তোমার পথ থেকে বিপথে সরিয়ে দেবে? হে আমাদের রব! এদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দাও এবং এদের অন্তরে এমনভাবে মোহর মেরে দাও যাতে মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ না করা পর্যন্ত যেন এরা ঈমান না আনে। (ইউনুস-৮৮)
প্রয়োজনে বদ দোয়াও করা যায়! হায়, আপনি কোন যুক্তি বলেন যে, পাপীকে ঘৃণা নয়!!
========================
যাদেরকে ইঙ্গিত করে আপনি বিদ্রুপের হাসি হেসেছেন তারা কিন্তু দৌড় দেথে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, হে আল্লাহ আমাদের এই দ্বীনকে ভালোবাসে কিন্তু সে এখনও সঠিক দল এবং পথটি চিনতে পারে নি। হে দয়াময় আপনি তাকে পথ দেন যেন সে আমাদের দ্বীন ভাইয়ে পরিণত হতে পারে।
=======================
৯। নয় কমেন্টে 'মুসা দোয়া করল'- এর উপরে যে লাইনটি আছে তাহা ভুলক্রমে পেস্ট হয়েছে। সে স্থানে হবে '৫.মনে রাখতে হবে পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়।'
=======================
৯। নং কমেন্টে 'মুসা দোয়া করল'- এর উপরে যে লাইনটি আছে তাহা ভুলক্রমে পেস্ট হয়েছে। সে স্থানে হবে '৫.মনে রাখতে হবে পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়।'
কেবল সেদিনই এই উপমহাদেশে প্রকৃত শান্তি আসবে । অখন্ড ভারত এই উপমহাদেশের অশান্তির একমাত্র কারণ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন