ঢাকাতে মন ভাল রাখা কঠিন।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ মে, ২০১৪, ১০:৪১:২৪ রাত
প্রথম যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম তার কিছুদিন পরে লিখেছিলাম "ঢাকা শহর যন্ত্রনাময়"। যখনই চট্টগ্রাম ছেড়ে আসি বারবার অনুভব করি এই কথাটি। শহর হিসেবে ঢাকা শহরটি পৌছে গেছে অমানবিকতার পংকিল সমুদ্রে। চোখ ধাধানো উচু বিল্ডিংয়ের নীচে পড়ে আছে বস্তি যা বড় লোকের বাথরুম থেকে ১০০০০গুন খারাপ। ডাস্টবিনের ময়লা চেটে খাচ্ছে পথশিশু আর খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনা অসংখ্য বিলিয়নপতিকে নিয়ে এয়ারকন্ডিশানে ঘুমায়। এখানে মধ্যবিত্তরা ৯ঘন্টা অফিস ডিউটি শেষ করে অফিসে আসা যাওয়ার জন্যে চার ঘন্টা কাটিয়ে বাকী এক চিলতে সময় প্রিয়তমার জন্যে দেয় । তাদের মনে চোখে অসহায় বোবা দৃষ্টি। কাওরান বাজারে মিডিয়া নামক একপেশেরা দৈত্যরুপ পেয়েছে। টিএসসি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশকে ফ্রি সেক্সের দেশে বিবর্তন করার এক অঘোষিত অফিস। ঢাবির হলগুলো হয়ে পড়েছে ফিউচার গডফাদারদের কর্মশালা যেন। সোহরাওয়াদী ধানমন্ডীর দুষ্টু হাতগুলো নোংরামীতে ব্যস্ত। মিরপুর ভেড়ীবাধ, বোটানিকেল গার্ডেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভিতরে ঘটে চলেছে সভ্যতার প্রতি অসৌজন্যতাবোধ। চাইনিজ গুলো ফিউচার পরকীয়ার পটভূমি তৈরীতে ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সার্টিফিকেট দিচ্ছে মানুষ তৈরী করছেনা। অফিস আসা যাওয়ার পথে দেখেছি ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পতিতাপল্লীগুলোতে স্কুলছাত্রদেরও আনাগোনা । লোমহর্ষক!!! নাইট ক্লাব গুলোতে সম্ভ্রান্ত গৃহবধুরাও ভিড় করে। চারদিকে মিথ্যার বেসাতী। ভেজাল আর ভেজাল। আধুনিকতার ছোয়া লাগা ফ্লাটগুলোতেও নারীরা নিগৃহীত। ইসলামপন্থীরা সমাজের মনন রীড করতে পারছেনা। এভাবেই চলছে ঢাকা....
অফিস বাসা অফিস বাসা ..এর ফাঁকে সামান্য সামাজিক আন্দোলনে সময় দিই। এই জটিল শহরে মনকে ভাল রাখা দু:সাধ্য হয়ে উঠেছে। তিনবছর হয়ে গেল ঢাকায়। অসংখ্য মেধাবী মানুষের দেখা পেয়েছি কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গ পেয়ে একটি একটি দিন কাটিয়ে দিই মায়াহীন শহরে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতো কিছুর পরেও যারা সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখেন
তাদের অন্তর থেকে মুবারকবাদ জানাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন