বিয়ে না হওয়া মেয়েদের কথা (৮ম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৫:৪৪:৪৭ সকাল

বিয়ে না হওয়া মেয়েদের কথা (৮ম পর্ব)

২০০৮ সালের কোন এক সময়ে সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম এলাকার ছেলেদের সঙ্গ দেয়ার জন্যে। ফিরে এসে প্রবাহতে এসএসসি স্পেশালের সম্ভবত রসায়ন ক্লাস ছিল তা নিয়ে গেলাম ইউএসটিসিতে একজন রোগী দেখতে। দেখে বের হলাম । রিকসা অটো কিছু না পেয়ে জিইসির দিকে হাটা শুরু করলাম। একটু হাটার পর দেখলাম বোবা বধিরদের একটা স্কুলের সামনে আদিল দাড়িয়ে আছে। খুবই অল্প পরিচিত। জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছ? ছেলেটি বলল জ্বী ভাইয়া ভাল। দেখলাম পাশে দাড়িয়ে আছে অসম্ভব রুপবতী একজন মেয়ে।ছবির মত যেন।

চোখ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম উনি কে? বলল আমার বড় বোন।

আমি সালাম দিলাম আপুকে। কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম।

কিন্তু একি !!!!!

আপু কথা বলতে পারেননা। কিছু শব্দ করলেন বটে।অস্ফূট সে শব্দ।

আদিল খুবই অস্বস্তিবোধ করল। সচরাচর আদিলের ফ্যামিলি এই মেয়েটির কথা সমাজে বলেইনা। আদিলরা তাদের এই বোনটির কথা সমাজে চেপে যায়।কারন তার ছোট আরও দুটি বোন আছে। এই মেয়েটির জন্যে তাদের অন্য দুবোনের জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। কারন সমাজ যাদের ঘরে প্রতিবন্ধী আছে তাদের সাথে সহজে আত্মীয়তা করতে চায়না । যুক্তি হল এই ঘর থেকে মেয়ে নিলে জেনেটিকেলী নতুন সংসারেও প্রতিবন্ধী জন্ম নিতে পারে। সেই ছোট কাল থেকে বোবা বধির সুন্দরী মেয়েটিকে গ্রাম থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা শহরের কোন আত্মীয়ের বাসায়। বোবা বধির মেয়েটি ফ্যাশান ডিজাইনিংয়ের কাজও জানে। অথচ থাকতে পারেনা স্বজনদের সাথে । মেয়েটির বাবা বেচে নেই।

বিয়ে হয়নি মেয়েটির। হবেওনা হয়তবা। বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। এই মেয়েটির জন্যে তার অপর দুটি বোনের বিয়েও যেন অদ্ভূত ভাবে অসংখ্য তির্যক মন্তব্যের শিকার। সমাজ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। কথার বুলেটে রক্তাক্ত করে চলেছে একটি ফ্যামিলির কোমল হৃদয়।

২০০৮ সালের কোন এক সময়ে সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম এলাকার ছেলেদের সঙ্গ দেয়ার জন্যে। ফিরে এসে প্রবাহতে এসএসসি স্পেশালের সম্ভবত রসায়ন ক্লাস ছিল তা নিয়ে গেলাম ইউএসটিসিতে একজন রোগী দেখতে। দেখে বের হলাম । রিকসা অটো কিছু না পেয়ে জিইসির দিকে হাটা শুরু করলাম। একটু হাটার পর দেখলাম বোবা বধিরদের একটা স্কুলের সামনে আদিল দাড়িয়ে আছে। খুবই অল্প পরিচিত। জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছ? ছেলেটি বলল জ্বী ভাইয়া ভাল। দেখলাম পাশে দাড়িয়ে আছে অসম্ভব রুপবতী একজন মেয়ে।ছবির মত যেন।

চোখ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম উনি কে? বলল আমার বড় বোন।

আমি সালাম দিলাম আপুকে। কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম।

কিন্তু একি !!!!!

আপু কথা বলতে পারেননা। কিছু শব্দ করলেন বটে।অস্ফূট সে শব্দ।

আদিল খুবই অস্বস্তিবোধ করল। সচরাচর আদিলের ফ্যামিলি এই মেয়েটির কথা সমাজে বলেইনা। আদিলরা তাদের এই বোনটির কথা সমাজে চেপে যায়।কারন তার ছোট আরও দুটি বোন আছে। এই মেয়েটির জন্যে তাদের অন্য দুবোনের জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। কারন সমাজ যাদের ঘরে প্রতিবন্ধী আছে তাদের সাথে সহজে আত্মীয়তা করতে চায়না । যুক্তি হল এই ঘর থেকে মেয়ে নিলে জেনেটিকেলী নতুন সংসারেও প্রতিবন্ধী জন্ম নিতে পারে। সেই ছোট কাল থেকে বোবা বধির সুন্দরী মেয়েটিকে গ্রাম থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা শহরের কোন আত্মীয়ের বাসায়। বোবা বধির মেয়েটি ফ্যাশান ডিজাইনিংয়ের কাজও জানে। অথচ থাকতে পারেনা স্বজনদের সাথে । মেয়েটির বাবা বেচে নেই।

বিয়ে হয়নি মেয়েটির। হবেওনা হয়তবা। বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। এই মেয়েটির জন্যে তার অপর দুটি বোনের বিয়েও যেন অদ্ভূত ভাবে অসংখ্য তির্যক মন্তব্যের শিকার। সমাজ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। কথার বুলেটে রক্তাক্ত করে চলেছে একটি ফ্যামিলির কোমল হৃদয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

195617
২১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:৩৫
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : ভাই বুঝলাম আপনার হৃদয়টাও অনেক কোমল । কিন্তু এত কোমল হৃদয়ের হয়েও সম্ভবত আপনিও পারবেননা এ বোনটিকে বিয়ে করে ঘরে তুলে নিতে । কি আর করবেন, দূঃখবোধ করে কি আর লাভ হবে বলুন। যেখানে আপনি নিজেই ফেল !!
২২ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৫
146040
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ইসলামের বিয়ে নিয়ে পড়া কয়েকটি বইয়ের নাম বলুন পড়ালেথা করি।
২৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:১০
146976
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : কোরানের তাফসীর ও হাদিসের বিয়ে বিষয়ক বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলে অনেক কিছুই জানা যাবে বলে আমার বিশ্বাস ।
২৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৫
146978
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ঐখানে একটা কুফু বিষয়ক কথা ছিল। কুফু নিয়ে কিছু বলেন।
195622
২১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক করুন লাগল। এমন অনেক ঘটনাই আছে সমাজে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File