এখনো বিয়ে না হওয়া মেয়েদের কথা (১ম ও ২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১১ মার্চ, ২০১৪, ১১:০১:২০ রাত
1. গ্রামের স্কুলে পড়ুয়া এক সাধারন মেয়ে।সবসময় ক্লাসের রোল আগেই থাকত। এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল। পারিবারিক ভাবে সমাজের ডিমান্ড পূরন করে ২য় কি ৩য় বর্ষে পড়াকালীন বিয়ে করে ফেলে। একটি ফুটফুটে মেয়ে আসে সংসারে। বিয়ের পরে দেখে স্বামী ড্রাগ এডিগটেড। জীবন অসহনীয় হয়ে উঠে। ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু পড়ালেখা চালাতে থাকে। অনার্স এবং মাস্টার্সে রেকর্ড পরিমান নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়। আজ তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বয়স ২৯/৩০। মোটামুটি সুন্দরী। হাইটও খারাপ না।স্কুল জীবনের এক ক্লাসমেটের সাথে কথা বলতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন। কেদেঁছেন একটি সাজানো সংসারের জন্যে। যার কাছে কেদেঁছেন তিনি আমার পরিচিত। আল্লাহ এই বান্দির সহায় হোন।
2.স্কুল বন্ধুর আত্বীয়া। বেশ কিছুদিন আগে শুনলাম তার ব্রেস্টে প্রোবলেম। বয়স ৩০ ছুঁই ছুঁই। শ্যামলা।হাইট ৫ ফিট ২ এর উপরে। পাত্রপক্ষ পছন্দ করার পর সমস্যার কথা খুলে বললেই আর বিয়ে হয়না। মেয়ে এবং মেয়ের অভিভাবক অনঢ় এই জন্যে যে কোন ছেলে সব জেনে বিয়ে করতে চাইলে মেয়ে বিয়ে দিবে নইলে তারা কাউকে ঠকাতে পারবেনা। পাত্র আসে পাত্র যায়। এই মেয়েটির যৌবন ও মন শুকাতে চলেছে। সমাজ বাস্তবতা তাকে বুঝতে শিখিয়েছে নারীর শরীরই মুল । যোগ্যতা নয়। শারীরিক চাহিদা নয় মানবিকতা নয় স্তনই মুল। নারী একটি যৌনবস্তু যৌনযন্ত্র এটি পুরুষ শাসিত সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেথেঁ আছে। খুব কম পুরুষই নারীকে সন্তান উৎপাদন যন্ত্র ছাড়া মানুষ ভেবে মানবিক হতে পেরেছে।
এই মেয়েটি যৌনকাতর হয়ে অন্ধকার গলিকে বেচে নিলে সমাজ বলত মেয়েটি খারাপ। অথচ সমাজ ও রাষ্ট এদের জন্যে কোন দায়িত্ব পালন করছেনা। করছেনা কোন ইসলামপন্থী গ্রুপ। জৈবিক চাহিদা ও একাকীত্বের কষ্ট যখন এই মেয়ের রাতগুলোকে নরক করে দেয় সমাজ তখন শান্তির ঘুমে ঘুমায়।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ জাজাকাল্লাহুল খায়ের।
তার প্রথম কাজ হবে ক্যান্সারের ফেইজ জানা। দেরী হলে সারা দেহে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়বে। এখন পর্যন্ত আমেরিকায় ভাল চিকিৎসা নেই। এক মাএ কিমো থেরাফি ছাড়া। তার পরও মানুষ বেচে থাকে আল্লাহের কৃপায়। http://www.mybreastcancertreatment.org/AskForAnswers.aspx?gclid=CMmMhc6Bi70CFZJj7Aod-WUABA#.Ux9In_ldVu0
এই বিষয়গুলির পিছনে কিন্তু রয়েছে আমাদের কিছু ভুল সামাজিক চিন্তাধারা। ড্রাগ আসক্ত স্বামির সাথে ডিভোর্স হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু একজন শিক্ষিত নারী নতুন করে জিবন শুরু না করে এই বিয়ে নিয়ে হাহুতাশ করবেন তা ঠিক নয়। আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির এই বিষয়গুলি কিন্তু সৃষ্টি করেন নারীরাই। এটি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্হতা।
Now a days we see many middle class family feel anxiety for their daughters,problem they have not huge money.Evey boys, their family need good amount or attest they have to have huge property.
সামর্থ্য থাকলে এবং যদি ন্যায় ভাবে থাকতে পারে ( সবার সাথে সমান আচরণ করাটা চাইলেও যে কঠিন সেটাও বলা আছে , তবে কাউকে একেবারে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না ) তবে করতে পারে - এটা আল্লাহই বলে দিয়েছেন । এর জন্য মনুষ্য আইন বানানো এবং স্ত্রীর অনুমতির বিধান আনা সম্পূর্নভাবেই আল্লাহর নির্দেশের পরিপন্থী । আল্লাহর পরেও স্ত্রীর অনুমতির বিধান আনা সোজা কথায় শিরক আর এখানে আপনি সেটাকেই যে সমর্থন দিচ্ছেন ।এটা মনে হয় বুঝে শুনেই করছেন ।
কোনই ব্যক্তি আক্রমন করি নাই বা ফতোয়াও দেই নাই । যে গুলো বলেছি সে গুলো ক্বুরআনেই বলা আছে ।
ধর্ম নিয়ে এক নাগাড়ে মন কড়া এবং সাংঘর্ষিক কথা বলে যাবেন আর তা সবাই গিলবে এটা মনে করে থাকলে ভুল বুঝবেন ।
কিভাবে একজন ছুপা নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্বেষী নিজের চেহারা উন্মোচন করলো আপনি তার প্রমাণ ।
আপনি কি বাদশা আকবরের মত দীন-ই-ইলাহী চালু করার ধান্ধায় আছেন ? না কি বাইবেলের মত ওল্ড টেস্টামেন্ট , নিউ টেস্টামেন্ট করার মতলব করছেন যে আল্লাহর আইনের সাথে মানুষের আইন মেশাতে চাচ্ছেন ?
আল্লাহ পবিত্র ক্বুরআনে চ্যালেন্জ দিয়েই দিয়েছেন যে মানুষ ও জ্বিন একত্র হয়ে চেষ্টা করলেও ক্বুরআনের অনুরুপ কিছু আনতে পারবে না ।
আপনি কে ভাই ?
এইটা কি জেনে শুনে বলেছেন নাকি মাতাল হয়ে গেছেন? আপনি কোন আইনে এবং কোন অধিকারে এই টাইপের কথা বললেন?
আর ন্যায় বিচারের স্বার্থে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ধর্ষনের বিচারে যে ডেথ পেনাল্টি খোলাফায়ে রাশেদার যুগে দেয়া হয়েছে তা কি জানা আছে? তা কি কুরআন সম্মত ছিল? ধর্ষনের শাস্তির জন্যে তো ৪ জন সাক্ষীর দরকার হয়। অপরাধ পরিকল্পনা বিষয়ে কুরআন কি বলে ?
০ কিভাবে রাখে ? আমার কোন আর্থিক সমস্যা হলে বা পারিবারিক কোন ঝামেলায় পড়লে রাষ্ট্র কি সেটা মেটায় ?
সুন্দরী ও পছন্দের মেয়ে ধরতে পারছিনা দেন মোহরের আধিক্যের কারণে , রাষ্ট্র কি আমার পক্ষে সেটা দিয়ে দেবে ?
এসব ব্যাপারে রাষ্ট্রের নাক গলানো উচিত তখনই যখন রাষ্ট্র নাক গলানোর মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে ।
খোলাফায়ে রাশেদীনরা নিশ্চয়ই আল্লাহর সাথে শিরক হয় - এমন বিষয়কে অনুমোদন দিতেন না ?!
মন্তব্য করতে লগইন করুন