নারীর সৃষ্টি আল্লাহর ইবাদাতের জন্যে পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্যে নয়।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৩:০৪:২৮ দুপুর

দুপুরের খাবার খেতে খেতে ঝগড়ার মত হয়ে গেল। একজন আলীয়া থেকে ফাজিল, কওমী থেকে দাওরা, বিজ্ঞান থেকে অনার্স মাষ্টার্স করা ত্রিফল উচ্চশিক্ষিত লোক বলছেন " নারীদের সৃষ্টি হয়েছে পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্যে"। আমি বললাম সৃষ্টিকে সৃষ্টি করা হয়েছে রবের ইবাদাতের জন্যে। পাল্টা উত্তর করাতে বললেন "আমি কুরআন পড়িনি"। এইটারে কে বুঝাবে জৈবিক চাহিদা নারী পুরুষ সবারই আছে।

"আররিজালু কাওয়ামুনা আলান্নিসা" এইটা বলে

আমার মাকে আমার থেকে উচ্চ অমর্যাদাশীল বলতে পারেন?।

আমার ১০ বছরের বড় বোনকে আমার চেয়ে অমর্যাদাশীল বলতে পারেননা।

ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রীটিকে রিকসাওয়ালা পুরুষের চেয়ে খাটো করতে পারেননা। মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব খতম করার জন্যে ইসলামের আগমন তাই স্ত্রীর বস বলে স্বামীকে মেনে নেয়া যায়না। স্বামী স্ত্রী বন্ধু হতে পারে। সহাবস্থান হতে পারে। কুরআন বলছে "হুন্না লিবাছুম বা'দুহুম বা'দান।"

আল্লাহর উপর ঈমান যদি থাকে তবে আপনি বিশ্বাস করেন যে "আল্লাহ ন্যায় বিচারকারী"। কোন বক্তব্য এই বেসিক কনসেপ্ট এর বিপরীত হবেনা। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলে নারীর জ্ঞান পুরুষের অর্ধেক। অথর্ব তোমারে এইটা কি কুরআনে কইছে? বলে পুরুষের কারনে সন্তান জন্ম! অথর্ব! তোমার জানা থাকা দরকার একহাতে তালি বাজেনা। জরায়ু ছাড়া প্রজননই অসম্পূর্ন । এই ক্ষেত্রে নারীকেই বস মানা যায়। তুমি পুরুষ হান্দারাম... নারীতেই কুপোকাত। বস যদি বলতে হয় নারীকেই বস বল। তোমার বেহেস্ত তো নারীরই(মা) পদতলে। আর ভাল উম্মাত হতে হলেও স্ত্রীর নিকট ভাল হতে হয়।"খিয়ারুকুম ফি নিসায়িকুম"।

নারীকে মানুষ মনে কর।যৌন বস্তু নয়।

বিষয়: বিবিধ

১৫০২ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

189993
১০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
মুক্তির মিছিল লিখেছেন : অতি ভারি ভারি কথা বলে ফেলেছেন! নারীকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবাদতের জন্য এটা তো আপনি বা আমি মানি। কিন্ত বাংলার সমাজের সবাই যে মানে না-এটা কি জানেন?
একবার খবরে পড়েছিলাম, ছাত্রলীগেরা চেতনার দন্ড সমুন্নত করে নারীদের দিকে ছুটে যায়, কেন? কেনই বা ওরা ধর্ষনে সেন্চুরী করে?
১০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
141009
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ছাত্রলীগ মানে কি ভাইয়া?
190035
১০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
ইকুইকবাল লিখেছেন : নারিরা পুরুষের অর্ধেক জ্ঞানের অধিকারী।
সর্বপরি আপনার লেখা গঠনমূলক। ভাল লাগল।
১০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
141048
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : এইটা তোমারে কে কইছে? কত ছাত্রীরে দেখলাম সব পোলাদেরকে পিছনে ফেইলা মেডিকেলে ভর্তি হইয়া যাইতে। কত মাইয়া আমারে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় হারাইয়া দিছে । তাইলে তাদের জ্ঞান অর্ধেক হয় কেমনে। হযরত আয়েশা রাঃ হাদীস বর্ননা না করলে ইসলাম এর অনেক ব্যাখ্যা দিতে ঝামেলা হত।
190038
১০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৩
হতভাগা লিখেছেন : '' জরায়ু ছাড়া প্রজননই অসম্পূর্ন । এই ক্ষেত্রে নারীকেই বস মানা যায়।'''

০ জরায়ু কি নারী নিজেরটা নিজে বানাইছে ? গর্ভাবস্থায় ব্লাড সার্কুলেশন , অর্গানোজেনেসিস কি সে নিজে নিয়ন্ত্রন করতেছে , নাকি আল্লাহ তার শরীরের মধ্যে এসব ফিট করে দিয়েছে ?

আপনার পোস্টের শিরোনামের সাথে তো এই কথা একেবারে কন্ট্রাডিক্টরী ।

পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্বকারী

এখানে স্বামী ও স্ত্রীর কথাই মূলত বোঝানো হয়েছে । এটার মানে এই বোঝায় না যে আমার মায়ের উপর আমি কর্তৃত্ব করবো , আমার বাবাই আমার মায়ের উপর কর্তৃত্ব করবে । আমার বোনের উপর তার স্বামী এবং আমি আমার বউয়ের উপর - এটা ক্বুরআনে আল্লাহ তায়ালাই স্বামীদের অধিকার দিয়ে দিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের উপর।

সূরা নিসা এর ৩৪ নং আয়াতেও একই রকম সামন্জস্যপূর্ণ কথা বলা আছে ।

মায়ের প্রতি সন্তানদের কৃতজ্ঞ থাকতে বলা আছে যেহেতু উনি সন্তানদের কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে গর্ভে ধারণ করেন ।এবং বাবা মা উভয়ের জন্য দোয়া করতে বলা আছে ।

এমন একজন নারীর নাম বলুন যাকে কি না পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন ? তবে আল্লাহর সবকিছু করার ক্ষমতা আছে ।

নারীর সৌন্দর্য্য তার স্বামীর জন্যই । শুধু নারী কেন? নারী-পুরুষসহ দুনিয়ার সব কিছুরই সৃষ্টি আল্লাহর ইবাদতের জন্য ।
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১০
141049
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : //
নারীর সৌন্দর্য্য তার স্বামীর জন্যই ।// স্বামীর সৌন্দর্যও স্ত্রীর জন্যে।

//আপনার পোস্টের শিরোনামের সাথে তো এই কথা একেবারে কন্ট্রাডিক্টরী ।//

পুরুষের শুক্রানুও আল্লাহ বানাইছে। সুতরাং স্বামীরা বস হবে কেন?
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
141078
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহই পবিত্র ক্বুরআনে বলে দিয়েছেন :

'' পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী ''

আর কর্তৃত্ব যে করে সেই বস । আপনার অফিসে আপনার বস আছে না ? উনি কি আপনাকে নির্দেশনা / আদেশ দেন না ?

তিনি পুরুষদের এও অনুমতি দিয়েছেন যে সামর্থ্য থাকলে ৪ টি বিয়ে করতে । সেখানে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার প্রশ্নই আসে না ।

আর আল্লাহ আরও বলেছেন

'' তার চেয়ে বড় জালিম কে যে আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে ?''
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
141331
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্ব কারী নয়। সেবক ও বন্ধু।
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
141335
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : শুধু প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নয় ২য় বিয়ে করার জন্যে কোর্ট থেকেও অনুমতি নেয়ার আইন পাশ করা দরকার।
190045
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : //
নারীর সৌন্দর্য্য তার স্বামীর জন্যই ।// স্বামীর সৌন্দর্যও স্ত্রীর জন্যে।

//আপনার পোস্টের শিরোনামের সাথে তো এই কথা একেবারে কন্ট্রাডিক্টরী ।//

পুরুষের শুক্রানুও আল্লাহ বানাইছে। সুতরাং স্বামীরা বস হবে কেন?

190060
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : নারী ছাড়া পুরুষ অচল আবার পুরুষ ছাড়া নারীও অচল। তাই একে অপরকে সম্মান করতে হবে। কাউছে ছোট ভাবা চলবে না।
190093
১০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৯
গেরিলা লিখেছেন : ভায়ার কি বিয়ে অইছে নি? I Don't Want To See I Don't Want To See
না হলে নারি কি জিনিস বুঝবেন কেম্নে?
190132
১০ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ন পোষ্টটির জন্য।
আমার জানা মতে কুরআন শরিফে আল্লাহর নিয়ামতের নির্দশনগুলি সবসময় মানবজাতির জন্য বলা হয়েছে। শুধু পুরুষ মানুষের জন্য বলা হয়নি। এছাড়া সুরা রুম এর ২১ নং আয়াত অনুযায়ি আল্লাহ তায়লা স্বামি ও স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্ব কায়েম এর ঘোষনা দিয়েছেন। অর্থাত স্ত্রী শুধু স্বামির সেবক নয় বরং সমান।
190501
১১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : নারী জাতী আমার মায়ের জাতী,নারীজাতী আমার বোনের জাতী,নারী জাতীই আমার জীবন সঙ্গী জাতী।
এই নারীকে কেমনে অসম্মান করি!
207975
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫৯
আহ জীবন লিখেছেন : আল্লাহ মানুষ ও জীন জাতি কে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহর এবাদত করার জন্য। তবে মানুষ এর মধ্যে পুরুষকে আগে সৃষ্টি করেছেন। তার নিঃসঙ্গতা পুরনের জন্য নারী কে পরে সৃষ্টি করেছেন। এই হিসাবে পুরুষের জন্য নারীর সৃষ্টি। কিন্তু গুড় কারন হচ্ছে আল্লাহ মানব জাতির বংশ ধারা ক্রম বিকাশ করা।
প্রত্যেক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কে সমান করেন নাই। কিন্তু আলটিমেটলি সমান। শারীরিক ভাবে দুর্বল করে সৃষ্টি করার কারনে নারীর উপর পুরুষের কত্রিত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে অসম্মান করতে বলেন নাই।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩০
156640
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : পুরুষ সন্তান ধারনে অক্ষম সে হিসেবে পুরুষকেও দুর্বল বলা যেতে পারে।
১০
208030
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৩০
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : পুরুষ সন্তান ধারনে অক্ষম সে হিসেবে পুরুষকেও দুর্বল বলা যেতে পারে।
১১
208155
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১০
আহ জীবন লিখেছেন : আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে হলে আমাকে আগে আল্লাহ কে গালি দিতে হবে। আমারে এভাবে অক্ষম বানাইল কেন? দিলে খুশি হবেন?
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
156875
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আল্লাহ তো কাউকে অক্ষম বানাইনি।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৯
156876
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : নারীর উপর পুরুষের কোন কর্তৃত্ব নেই।
১২
208216
১৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
আহ জীবন লিখেছেন : পুরুষ সন্তান ধারনে অক্ষম সে হিসেবে পুরুষকেও দুর্বল বলা যেতে পারে। - এই কথা বলার মানে কি?
১৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
156900
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : আপনি নারী কে দুর্বল বলেছেন তার উত্তরে বলেছি।
১৩
208217
১৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
আহ জীবন লিখেছেন : পুরুষ কে কি অন্য কোন খোদা বানাইছে নাকি?
১৪
208254
১৫ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
আহ জীবন লিখেছেন : কারিগর তো নিজেই কইছে আমি নারীকে দুর্বল করে সৃষ্টি করছি। তার দোষ দেখেন না। আমি কইলাম কেন বিপদে পড়ছি।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৬
157185
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : লিংক দেন...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File