ক্লাব গঠন (রিপোস্ট)
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৪ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২০:০৯ বিকাল
ক্লাব গঠন ও ক্লাবের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করতে গিয়ে ক্লাবের সদস্যদের সাথে ও ক্লাব একটিভিটিসের মাধ্যমে যাদের সাথে পরিচয় ও রিলেশান তৈরী হয় তার গাঁথুনি হয় অত্যন্ত মজবুত। জানাশুনা হয় উঞ্চ ও বিশ্বাস করার মত। বড়দের কাছে কাজ নিয়ে গেলে স্নেহাসিক্ত না হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। ছোটরা ডেডিকেশানকে সম্মান করে সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসে। অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীদের ভালবাসা প্রেম পেয়ে স্নেহে আপ্লুত হওয়া যায়। ***রাজনৈতিক পদ একটি ভঙ্গুর ক্ষনস্থায়ী পদ। *** সামাজিক পদ শক্তিমান আমৃত্যু স্থায়ী একটি পদ। মানুষের জন্যে মানুষ এই স্বাদটি সামাজিক ক্লাবে পাওয়া যায়। কিছু অম্নমধুর স্মৃতি যে থাকবেনা তা নয় কিন্তু। কেউ শত্রুতা করলে সব সময় চেষ্টা করতে হবে ধৈর্য্য ধরতে। বছরের বছর অপেক্ষা করতে হবে শত্রুর ভালবাসা পাওয়ার জন্যে। দুই একজন থাকবে যারা শত্রুতা করবে... নিতান্তই তারা এক্সিস অব ইভিল।
তরুনদের বলে যাই ক্লাব গঠন কর।
কি নাম হতে পারে ক্লাবের?
১. এসো ভাল হই।
২. সমাজ উন্নয়ন ক্লাব
৩. তাফসীরুল কুরআন মাহফিল ট্রাস্ট।
৪.থানা ছাত্রফোরাম।
৫.রেনেসা ট্রাস্ট ইত্যাদি ...
ক্লাবের নামকরনের ক্ষেত্রে আমি লিবারেল নাম পছন্দ করলে ভাল। সাম্প্রদায়িক নাম নয়... ভাল নামই ভাল।
কাদের নিয়ে ক্লাব?
সমমনাদের নিয়ে ক্লাব হতে পারে। তবে সমমনা ক্লাবে সুবিধা অসুবিধা আছে। মতদ্বৈধতা তৈরী হলে ১০/১৫ বছর সময় লেগে যেতে পারে বিরোধ কমতে। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সবার ভিতরে চাঙ্গা থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা না। পরকালমুখীতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ভাল হলে সমস্যা হবেনা। কিন্তু প্রতিকুলতা না থাকলে গ্রুপিং কোন্দল শুরু হয়।তাইলে বুঝতে হবে হিউম্যান রিসোর্চ ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। অনুকুল পরিবেশ মানেই যদি কোন্দল হয় তবে সেখানে আইনী ফাকঁফোকর সহজ বলতে হবে। অন্যায়ের বিরোধিতাকে কোন্দল মনে করিনা।
সেবার জন্যে নেতৃত্ব হতে হবে। আর স্রষ্টার জন্যে যে কাজ করা হয় তা ডিসক্লোজ করে তা দিয়ে দুনিয়ার সেবার পদকে ঠিক করতে চাওয়ার কম ইফিশিয়েন্ট সিস্টেম বা দৃষ্টিভঙ্গী। যার যেভাবে মানবসেবা করার ক্ষমতা আছে করুকনা....
............................অনেক সামাজিক ক্লাব হওয়া দরকার ..প্রতি ইউনিয়নে নৈতিকমানে উন্নীত দুইজন নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন এবং অন্যরা থাকবে আঠার জন। চারিত্রিক উৎকর্ষতায় এই ১৮ জনের সাথে দশ বছর সময় কাটাতে হবে।মুল পদে থেকে নয়। তবে একটি প্রভাব পড়বে ইনশাআল্লাহ। (The Number of Union Parishads in Bangladesh is 4,486 till 12th September 2009.) বাংলাদেশে চারহাজার ইউনিয়ন পরিষদে আটহাজার জনশক্তি দায়িত্ব নিলে নীরবে সমাজ বিপ্লব ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা লুকায়িত আছে। তবে কর্মীয় বৈসাদৃশ্য, স্বার্থপরতা, পদের প্রতি লোভ, ইন্টারনাল পলিটিকস, স্বজনপ্রীতি বা যে অনিয়ম সাধারন মানুষকে খেপিয়ে তোলে তা বিদ্যামান থাকলে স্বপ্নকে তিমিরে তিরোহিত করে দেবে।
ক্লাব গুলো শক্তিশালী অবজারভার বডির আওতাধীনে হলে ভাল হয়। ক্লাবের কাজগুলো ব্যাপক গবেষনার মাধ্যমে ডিফাইন করে নেয়া যেতে পারে।কাজ করতে গিয়ে সমস্যাগুলো গবেষনা করে সমাধান করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার জীবনে যেসব ক্লাবের(+লাইব্রারী) সদস্য ছিলাম সেগুলোর নাম-
-উদয়ের পথে
-অরুণোদয়
-অগ্রপথিক
-জনতা সংঘ
সাধারণতঃ একটি এলাকায় একাধিক ক্লাব হতোনা এবং এগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার সম্পদ/প্রতিষ্ঠান মনে করা হতো!
এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় সকল মানুষেরই অংশগ্রহন ও সমর্থন থাকতো! ভালো-মন্দ সবাই একটি শাসনের বাঁধনে আবদ্ধ থাকায় স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ ছিল খুবই কম!
মন্তব্য করতে লগইন করুন