আসুন সাধারন মানুষের অপরাধপ্রবন মানসিকতার বিশ্লেষন করি।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪৩:০৯ দুপুর

সাধারন অনেক মানুষের অপরাধ প্রবনতা বিবেচনায় না আনলে নতুন উদ্যেক্তারা ভুল করবেন।

বিএনপি আওয়ামীলীগ নেতাদের ঢালাও অভিযুক্ত করা মানে আপনি পরিস্থিতির নির্মোহ বিশ্লেষন করতে পারেননি।

বাংলাদেশের মানুষ নতুন রাজনীতিকে ভয় পায়। নতুনকে অনেকদিন পরে বিশ্বাস করে।

মূল কথায় আসা যাক..............

ক্ষমতা যার বেশী খারাপ হলেও জনগন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুকে তোষামোদ করতে ভালবাসে। জনগন স্ব ইচ্ছায় ঘুষ দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে ফুসলায়। স্কুল কলেজ ভার্সিটি ভর্তির সময় ডোনেশান দেয় এবং ঘুষ দিতে চায়। চাকরী পেতে ঘুষ দেয় ও চাকরী দিতে নেয়। ভাড়া করা লোক লাগায় মারামারি ও খুন করার জন্যে। অফিসে ভুল ভাউচার করে টাকা নেয়। মোবাইল নাম্বার বানিয়ে বানিয়ে মিসকল ও কল দেয়। ইজি লোডের দোকানে মেয়েদের নাম্বার খুজে খুজে কল করে ডিস্টার্ভ করে। দামী কোন কিছু পেলে ফেরত দেয়না। অফিসে দেরীতে যেয়ে আগে বের হতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ছাত্ররা জোর দেখিয়ে ফাও খায়। বিপক্ষ ছাত্রকে নির্মম পেটায় ও খুন করে। চাদাবাজি টেন্ডারবাজি করে। অবৈধ অস্ত্র চালায়। জন্মতারিখ ভুল দেয়। আগে দেখেছি বিদ্যুৎ লাইন ও টেলিফোন লাইন পেতে ঘুষ দেয়। জেলখানায় দেখেছি তাসলিমা নাসরিনের বই পড়তে জেল লাইব্রেরীতে সিগারেটের প্যাকেট ঘুষ দিতে। কোন কিছুতে প্রবেশের লাইন দিলে লাইন ব্রেক করে। ট্রাফিক ভাঙ্গে। মিথ্যা কসম করে। ওয়াদা ভাঙ্গে অহরহ। নকল করে পাশ করতে চায়। ঘুষ দিয়ে সার্টিফিকেট চায়।বিনা টিকিটে রেল ভ্রমন করতে চায় ।ভিজিট ভিসায় বিদেশ গিয়ে পালায় যায়। দেশের ট্রেক্স দেয়না। বিদেশ থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে চায়। ভিওআইপি করে অথচ লাইসেন্স নেয়না। ইউনিপেটুইউ, ডেসটিনিতে টাকা লগ্নি করে শর্টকাট ওয়েতে ধনী হতে গিয়ে প্রতারিত হয়। সুযোগ পেলেই টাকা ধার নিয়ে আর দেয়না। বাংলাদেশী ব্যবসা মানেই মিথ্যার বেসাতী। পুরোনো ছেড়া টাকা গোপনে চিট করে আরেকজনের হাতে ধরিয়ে দেয়... গছাতে চায়। চুরি করে পর্নো দেখে। পরকীয়া করে। একসাথে ডাবল থ্রিফল পেন্টা প্রেম চালায়। শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে প্রাইভেট পড়ায়। বিচার বিভাগ,পুলিশ বিভাগ,সাংবাদিকতা,সরকারের যে কোন প্রশাসনে ঘুষের মহাসমারোহ। চুরি করে ২য় বিয়ে করে। পতিতালয়ে লম্বা লাইন। সোহরাওয়ার্দী,মিরপুর, ধানমন্ডির দৃশ্যগুলো অপরাধ প্রবনতা প্রমান করে। ভোটের সময় দল ও দলের আশে পাশে টপ-টু-বটম সবাই টাকা দিয়ে ম্যানেজ হয়। একই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য নেতাদের টাকা দিয়ে বশ করতে হয়। খাওয়ার প্যাকেট একটার স্থলে দুইটা নিয়ে নেয়। ফাও ফাও ভুল মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে মেডিকেল ছুটি দেখায়। বিদেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও ভিসা লাগায় না। বই পড়তে নিয়ে আর দেয়না।শিক্ষকরা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে গিয়ে আর ফেরেনা কমিটমেন্ট রক্ষা না করেই। ছাত্ররা এসাইনমেন্ট চুরি করে। শিক্ষকরা তোষামোদকারী ছাত্রকে নাম্বার বাড়ায় দেয়। পারসিয়েলিটি করে ভার্সিটির টিচার বানায়। বিরোধীমতের যোগ্যদেরকেও বঞ্চিত করে। বিকৃত যৌনাচার করে। এটিএম কার্ড চুরি করে ব্ল্যকমেইল করে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে নেকাব পড়ে টাকা তুলে পালায়। কালো টাকা সাদা করে। সরকারী বাগানের গাছ কেটে ফেলে বিজয়ীর হাসি হাসে। ব্যাংক লোন নিয়ে পালিয়ে যায়। জালিয়াত মটগেজ দেয়। ফেবুতে ও ব্লগে ছদ্মনামে গালাগালি করে।

সুতরাং সমস্যা সমাজের অনেক গভীরে।

বিষয়: বিবিধ

১২২২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

179354
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনার সাথে ১০০% একমত
180480
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
180840
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
অজানা পথিক লিখেছেন : চিন্তার বিষয়

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File