তারুন্যের আনন্দ, উচ্ছ্বলতা উন্মাদনার সাথে ইসলামপন্থীদের বিরোধ কমাতে হবে...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৭:২৬ দুপুর
তারুন্যের আনন্দ, উচ্ছ্বলতা উন্মাদনার সাথে অনেক ইসলামপন্থীদের বিরোধ দৃশ্যমান। তরুনরা আনন্দ করতে চায়, মজা করতে চায়, মজা দিতে চায়, মজা পেতে চায়। নির্মল আনন্দের সাথে ইসলামের বিরোধ না থাকলেও ইসলামপন্থীদের অনেকেই তরুনদের আনন্দ করতে দেখলে চোখ বড় বড় করে তাকায় যেন কি শেষ হয়ে গেল। শিশুর জন্যে হাঁ বলুন। নেগেটিভ এপ্রোচ ক্ষতিকর। দুর্বলতার সমালোচনা না করে সৎ গুনাবলী বিকাশে সহায়তা করা যোগাযোগকারীর বৈশিষ্ট্য হলেও তরুনদের আনন্দের প্রতি বেশিরভাগ ইসলামপন্থীদের ভ্রুকুটি আছে বিতৃঞ্চা আছে। "বেশি কাঁদা কম হাঁসা" দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আরো চিন্তাভাবনা করতে হবে। তাকওয়া নিয়ে যে ডেমোনেস্ট্রেশান দেখানো হয় তা নিয়ে আরো ভাবার অবকাশ আছে। তাকওয়া হল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানা। তাকওয়া প্রদর্শন করতে কাঁদো কাঁদো মুখ করে থাকতে হবে কেন? কপাল কুচতে রাখতে হবে কেন? মন খোলে হাসা যাবে না কেন? মন ভাল করে দেয়া গানের সাথে তাকওয়ার কি বিরোধ আছে? ব্যায়ামের সাথে কি তাকওয়ার বিরোধ আছে? খেলার সাথে কি তাকওয়ার বিরোধ আছে? হাত তালি দেয়ার সাথে তাকওয়ার কি বিরোধ? (আমি কম জানা মানুষ হয়ত তাই বুঝিনা), নারী বাদ দিয়ে শুধু ছেলেদের ড্যান্স বিষয়ক কি ফতোয়া ইসলামে? ছেলেদের যে নাচে যৌন আহবান নেই যৌন সুড়সুড়ি নেই তা নিয়ে ইসলাম কি বলে?
ফটোগ্রাফী নিয়ে আলেমরা চুপ করে গেলেন কেন? দেখার সাথে সাথে হারামই বা বলে কেন আবার কিছুদিন পরে একই মুখ থেকে হালাল ঘোষনাই বা আসে কেন!!! ছোট মাথায় ধরেনা আমার।
শুধু এতটুকু বুঝি তরুনদের আনন্দের সাথে ইসলামপন্থীদের বিরোধ কমাতে হবে। তরুনরা জাতির আগামী দিনের সম্ভাবনা। তরুনরা আনন্দের সাথে দলে দলে ইসলামী আন্দোলনে আসুক সে পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে এই তরুনদের সব সময় বিপক্ষ দল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকবে । আমাদের ছেলেদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া যায় না।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটি উদাহরন দিই -- উপমহাদেশের চাইতে পশ্চিমা বিশ্বে আলেমরা/ইমামরা বেশী জনপ্রিয় এবং গ্রহনযোগ্য কারন তারা ধর্মীয় রিসার্চ করে এবং গঠনমূলক খুৎবা প্রদান করে। অন্যদিকে আমাদের দেশীয় ইমাম/মাওলানারা কি বলে আমরা বুঝি না, হয়তো আমরা কি চাই বা আমাদের সমস্যা কোথায় ওনারা বুঝে না
//আজাইরা এগুলি নিয়ে প্যাঁচানোর কি দরকার!// আপনার দৃষ্টিতে মাসআলা মানেই কি পেছানো? এত ক্রেজী কেন ভাই?
এই করতে হবে কে?
বলছেন যাদেরকে তারা কি আপনার এই পোষ্ট পড়ছেন। তারপরও আপনাকে মোবারকবাদ।
শুধু এতটুকু বুঝি তরুনদের আনন্দের সাথে ইসলামপন্থীদের বিরোধ কমাতে হবে। তরুনরা জাতির আগামী দিনের সম্ভাবনা। তরুনরা আনন্দের সাথে দলে দলে ইসলামী আন্দোলনে আসুক সে পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে এই তরুনদের সব সময় বিপক্ষ দল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে থাকবে । আমাদের ছেলেদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া যায় না।
আমার একটি ভাবনা -
সারাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি/শিল্পীগোষ্ঠীর সংখ্যা এখন কম নয় [যদিও বর্তমান সরকারের জুলুমে নিষ্রেষিত], এসবের অধিকাংশই শিবিরের সীমানাভুক্ত থাকায় যথাযথ বিকাশ বিঘ্নিত হয়!
এগুলোকে বৃহত সংগঠনে রূপান্তর করা এবং শিবির থেকে মুক্ত করে সাংস্কৃতিক সংগঠন/প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা গেলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলায় শক্তি বাড়তো, আবার শরীয়াহ প্রশ্নের সমাধানের জন্য উপদেষ্টামন্ডলীতে সংস্কৃতিমনা শরীয়াহ বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করা যেতো! ....
এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ....
যদিও কিছু কাজ হয়েছে/হচ্ছে, কিন্তু তা নিতান্তই অনুল্লেখ্য- ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নির্মানোপকরণের মত, ইমারত তৈরীর কারিগর চাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন