যারা কর্মী মোটিভেশানে অযোগ্য তারাই সমালোচনাকে ভয় পায়।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৯:৫৫ সকাল
যারা কর্মী মোটিভেশানে অযোগ্য তারাই সমালোচনাকে ভয় পায়।
-------------------------------------
ইসলামের কোন বিষয় যেহেতু রাসুল সাঃ গোপন করেননি। সেহেতু এখনো গোপন করার কিছু নেই। কুরআন হাদীস সব ওপেন।সবার জন্যে উন্মুক্ত। কুরআন হাদীস বিশ্বমানবতার সম্পদ।ইহুদী খ্রিস্টানরাও কুরআন হাদীস পড়ে। তাইলে ইসলামে গোপন কি আছে? সুতরাং যা গোপনীয় তাতে বড় রকমের গুনাহ জড়িয়ে আছে বলেই ধরে নিতে হবে। ভাল আদর্শবাদী হলে ভয় পাওয়ার কিছু ছিলনা।ভাল আদর্শ প্রকাশিত হলে কর্মী আকৃষ্ট হও্য়ার কথা। যারা কবীরা গুনাহর সাথে লিপ্ত এরাই শুধু দোষ প্রকাশিত হওয়ার ভয়ে তটস্থ। আমি লোকমানের সাথে রুমের মধ্যে রুমমেট হিসেবে কেহ ঘুমালেও আমার খারাপ কিছু প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সো আমি তটস্থ না।
যারা কর্মী মোটিভেশানে অযোগ্য তারাই সমালোচনাকে ভয় পায়। কর্মী সক্রিয় রাখে সমালোচনাকারী সাবেক জনশক্তিদের গীবত ও চরিত্র হনন করে। ফোরামে বলেন ফোরামে বলেন বলে চিৎকার করে। আসলে বর্তমানের ফোরামটা তো ফোরাম না। নতুন তত্ত্বিকদের বহিষ্কারের একটা কারখানা মাত্র। নাবালক কর্মীর সক্রিয়তার জন্যে আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করতে হবে কেন? নাবালক কর্মীরা কি বিজয় আনে? নাকি ক্যারিশম্যাটিক লিডাররা বিজয়ের অগ্রগতির কান্ডারী হয়? ইমাম আবু হানিফা নাবালক কর্মীরা হয়না। নাবালক কর্মীর মধ্যে ইমাম আবু হানিফা লুকিয়ে থাকলেও সে ঝড়ে পড়তে জন্ম নেয় না। নাবালক কর্মীদের দিকে দেখার টাইম নাই। জুনিয়র মওদুদী রঃ কে খুজছি। লিমিটেশান দুর হয়ে গেলে তো নিজের খাইয়া পইড়া কেহ মাইনষের সমালোচনার কাম করতে যাওয়ার কথা না বিরোধী মহল ছাড়া। একজন নাবালক কর্মীকে সক্রিয় রাখার স্বার্থে হাজার হাজার ম্যাচিউরড ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে নিস্ক্রিয়তার পথে ঠেলে দেয়া কেন? সমালোচনাকারী নেতাদের কথা শুনলে তারাই (সমালোচনাকারীরা) হয়ে উঠতে পারে লক্ষ কর্মী সক্রিয় রাখার মাধ্যম। যে ভাঙ্গে সে গড়তেও পারে।
একজন মাওলানা আবদুর রহীম, একজন কাদের বাচ্চু , ২৬ জনের পদত্যাগের মত বড় উপসর্গ তৈরী হওয়ার আগে সমালোচনা পরামর্শ গ্রহন করে ইনিশিয়েটিভ নেয়া ভাল নয় কি?
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জামাতীরা এম্ননি কাজের বেলায় জিরো
মন্তব্য করতে লগইন করুন