বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগ্রহী হে ইসলামী আন্দোলনের তাজা যুবক...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩১:০৩ সকাল
তোমাকে হয়ত কুমারী মেয়ের সাথে আলিঙ্গনের কথা ভুলে যেতে হবে।
ভুলে যেতে হবে বয়সে ছোট রিনিঝিনি সুরের অষ্টাদশী ললনাদের।
ভুলে যেতে হবে সাজানো ফুলেল বাসর আর আতশবাজিতে ভরা বিয়ের পূর্বরাত।
তোমার সব প্রিয় মানুষের সমাগমে তোমার আকদ নাও হতে পারে।
চুপিসারে কোন একটি বাসায় বা অপরিচিত স্থানে তোমার প্রিয়তমার মিলন উপহার গ্রহন করা লাগতে পারে।
ইসলামী আন্দোলনের তোমার সিনিয়র ভাইয়ের বিধবা বউটিকে তোমার বিয়ে করা লাগতে পারে।
তোমার শহীদ ভাইয়ের অবুঝ শিশুকে তোমার বড় করার দায়িত্ব নেয়া লাগতে পারে।
তোমার প্রিয় বোনটিকে তোমারই কোন বউ হারানো ভাইকে দিয়ে দিতে হবে হয়ত জীবনসঙ্গী রুপে।
জেল থেকে নির্যাতিত বোনদের ফিরে আসার জন্যে তোমার বিয়ের দিন পিছিয়ে দেয়া লাগতে পারে।
কুমারী মেয়ের ভালবাসা ভুলে নির্যাতিতার হাতে তুলে দিতে হবে হয়ত বাগানের সেরা গোলাপ।
গন্ধরাজ রজনীগন্ধা ফুলের মালা তৈরীর সময় হয়ত পাওয়া যাবেনা।
কোন এক জানাজার পরপরই শহীদের কোন এক মেয়ের আঙ্গুলে পরিয়ে দিতে হবে ইমিটেশনের আংটি।
কারন শহীদের মেয়ের পরিবারকে দেখার জন্যে পিতা ছাড়া তো কোন ভাই ছিলনা
আর পিশাচেরা কেড়েও নিয়েছে শহীদের সমুদয় সম্পদ।
আমরা এক কঠিন সময়ের ধারপ্রান্তে।
আরো রক্ত ফিনকী বের হবে প্রতিনিয়ত আমাদের বুক চিড়ে।
কারন আমরা বুকে ধারন করেছিলাম আলকুরআন।
সালাতের জামায়াতে আমরা যুবকদের ডাকতাম।
সত্য সমাগত মিথ্যা বিতাড়িত হোক এই ছিল আমাদের শ্লোগান।
রাজপথ কাপিয়ে আমরা জয়বাংলা বলিনি বলেছি আল্লাহু আকবার।
হে আকাশের মালিক! কাল বেচে থাকব কিনা জানিনা।
আমার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়ে আমাকে শহীদ করে নিও।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসাদ বিন হাফিজের কবিতার মত
মন্তব্য করতে লগইন করুন