ইসলামী দলের ভিতরে বিচার ব্যবস্থা প্রয়োজন।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫১:২৩ দুপুর

বিশ্ব দেশ সংগঠন বা অন্য যে কোন বৃহৎ স্বার্থের নাম করে প্রকাশিত অপরাধ গোপন করা বৈধ নয়। অপরাধের শাস্তি হওয়াই কাম্য। দলের স্বার্থে দলীয় লোকের ওপেন সিক্রেট অপরাধ গোপন প্রবনতা সভ্যতা বিবর্জিত বর্বর মানসিকতা। ধর্মের আড়ালে বা দলান্ধতার আড়ালেই হোক এই মানসিকতা চরম ঘৃন্য। বান্দার হক নষ্টকারী আল্লাহর উপানুষ্ঠানিক প্রোগ্রামগুলো নিয়মিত পালনকারী হলেও তাকে শাস্তি দেয়া অতিগুরুত্বপূর্ন। দলের ভিতরে অভ্যন্তরীন স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা না থাকলে দশকে দশকে বড় উপসর্গ তৈরী হয় যে ক্ষতি বিচার করার আপাত ক্ষতির চেয়ে অনেক অনেক অনেক বেশী। বিচারহীনতায় ধূর্ত দায়িত্বশীলরা উৎসাহিত হয়। ত্যাগীরা বঞ্চিত হয়ে আল্লাহর কাছে গজব প্রার্থনা করে। কঠিন পরিস্থিতির কোনটা শাস্তি কোনটা পরীক্ষা তা বুঝতে হলে হাশরের ময়দান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ইসলাম কায়েম হওয়া মানে স্রষ্টার আইনে বিচার পরিচালিত হওয়া। যে দলের মধ্যে সুসময়ের বন্ধু হয় নেতারা ইল্লাল্লাহ বিল্লা সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহর ছদ্মাবরনে ন্যায়বিচারহীনতাকে মেনে নেয় তারা জালেম। ন্যায়বিচারহীনতাকে মৌনসমর্থনকারীরাও জালেম। মিছিল মিটিং প্রকাশ্য করতে পারার নাম ইসলাম কায়েম নয়। "আলালাহুল খালকু ওয়াল আমরু" বা ওয়ামানলাম ইয়াহকুম (মায়েদাহ-৪৭) মানে হচ্ছে মূল ইসলাম। আল্লাহর রাহমাত এর কনটিনিউটি থাকতে হলে দোষীদের শাস্তি এবং মজলুমের জন্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরী।সমসাময়িক ইসলামী দলগুলো তার অভ্যন্তরীন ন্যাস্টি পলিটিকসের কোন বিচার করেনি। আমীর নিয়ন্ত্রিত শুরা বিচারকাজ পরিচালনা করার জন্যে উপযুক্ত নয়। যে বিচার ব্যবস্থা ইমারতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার মত ক্ষমতা রাখে এবং অপরাধেকে ইসলামী আইন না থাকলেও দেশের আইনে শাস্তি দিতে সুপারিশ করতে পারে বা উদ্যোগ নেয় সে রকম কিছু দরকার। আইওয়াশ বহিষ্কারও অগ্রহনযোগ্য। সংগঠনের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্যে একজন বঞ্চিত বিচারপ্রার্থীর চোখের পানিই যথেষ্ট।সংগঠনের বিচারবিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচনী বিভাগ, অর্থবিভাগ এক ব্যক্তির আওতাধীন থাকতে পারেনা। স্বতন্ত্র বিভাগই শুধূ সংগঠনকে বড় ঝুকিঁ থেকে বাচাতে পারে।

মেইনস্ট্রিম ইসলামী দলগুলো তাদের সিলেবাসে ফিকাহ উসুলে ফিকাহ ও বিচার আর আইনের বইগুলো গুরুত্ব দেয়না। ইমাম কুরতুবীর রাসুলের বিচারালয় বইটি সহ আধুনিক ইসলামী গবেষকদের বিচার সম্পর্কিত বইগুলো ইসলামী দলের সিলেবাসে থাকা উচিত।

যে ইসলামী দলের হাইকমান্ড জনপ্রিয়তার ভয়ে সত্য বলতে পারেনা বা ইসলাম বিষয়ক সঠিক কথাটি বলতে পারেনা তারাও সত্যপন্থী হতে পারেনা এবং ইলম গোপন করার অপরাধে অপরাধী। মনে রাখতে হবে জনপ্রিয়তা স্রষ্টা নয়।

বিষয়: বিবিধ

১৮৩২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162765
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১২
আবু সাইফ লিখেছেন : সমসাময়িক ইসলামী দলগুলো তার অভ্যন্তরীন ন্যাস্টি পলিটিকসের কোন বিচার করেনি। আমীর নিয়ন্ত্রিত শুরা বিচারকাজ পরিচালনা করার জন্যে উপযুক্ত নয়। যে বিচার ব্যবস্থা ইমারতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার মত ক্ষমতা রাখে এবং অপরাধেকে ইসলামী আইন না থাকলেও দেশের আইনে শাস্তি দিতে সুপারিশ করতে পারে বা উদ্যোগ নেয় সে রকম কিছু দরকার। আইওয়াশ বহিষ্কারও অগ্রহনযোগ্য। সংগঠনের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্যে একজন বঞ্চিত বিচারপ্রার্থীর চোখের পানিই যথেষ্ট।সংগঠনের বিচারবিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচনী বিভাগ, অর্থবিভাগ এক ব্যক্তির আওতাধীন থাকতে পারেনা। স্বতন্ত্র বিভাগই শুধূ সংগঠনকে বড় ঝুকিঁ থেকে বাচাতে পারে।

জাযাকাল্লাহ... আল্লাহতায়ালা আপনার অন্তরকে আরো আরো উন্মুক্ত করে দিন Praying Praying Rose
যা বলেছেন তার সাথে ভিন্নমতের সুযোগ নেই! Thumbs Up

আপনার সাম্প্রতিক পোস্টগুলো বেশ ভালো হচ্ছে, বক্তব্য আরো সুনির্দিষ্ট হলে আরো ভালো হতো মনে হয়!! Thinking

[মোজাম্মেল হক স্যার কি কলম বিরতি পালন করছেন??]
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
117098
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : http://www.cscsbd.com
163352
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৯
ভিশু লিখেছেন : গবেষণাধর্মী উন্নত লেখা!
ইসলামী আন্দোলনের জন্য এমন আরো নিবেদিতপ্রাণদের দরকার! ভালো থাকবেন!
164621
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০০
অজানা পথিক লিখেছেন : জানলাম অনেক। আন্দোলনের জন্যে বেশ ইতিবাচক চিন্তা

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File