একই আমব্রেলার অধীনে থেকে বামরাই বিএনপি সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:৩১:৩০ সন্ধ্যা
২০০৮ এর কথা যখন খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলেন আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল আর্মি ব্যাকড মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের হাতে তখন তিনি বললেন "বামরা বিএনপি হতে পারেনি"। বিএনপি হল বামদের ডানে আর ডানদের বামে।
দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই নীতি হতে এখনো বিচ্যুত দেখিনি। যখন শেখ হাসিনার সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাবনার বিপরীতে কেয়ারটেকারের র্ফমূলা দিতে গিয়ে বললেন "আমার পাশে কেহ না থাকলেও আমি একাই আন্দোলন চালিয়ে যাব" তখন সেই স্পিচে বিএনপির অভ্যন্তরীন গোলযোগের মেসেজ পাওয়া যায়।
কি সেই গোলযোগ?
এখানে দ্বন্ধটা হল আদর্শের দ্বন্ধ। সাবেক মুসলিমলীগ ভাবাপন্ন মতের সাথে সাবেক বাম দ্বন্ধ। বিএনপির ভিতরে বিএনপি প্রেমীদের সাথে সাবেক বামদের দ্বন্ধ। জামায়াত ঘেষা বিএনপির সাথে সাবেক বামদের দ্বন্ধ। এই দ্বন্ধে পর্যুদস্ত বিএনপি। তার উপর রেব বাহিনী দিয়ে খালেদা জিয়া নিজ দলের সাহসী জানবাজ কর্মীদের বিনা বিচারে শহীদ করে দেয়ার বিষয়টিতো আছেই।
আমার বরাবরই বামদের মগজের উপর একটা আস্থা কাজ করে। যারা ৯০% মুসলমানদের স্বাভাবিক আবেগের বিপরীতে টিকে থাকে তাদের ব্রেনের উপর আস্থা না রেখে পারিনা।সম্ভবত শেখ মুজিবের সাথে ৭২-৭৫ এর লড়াইয়ের পরপরই বামরা ৫০ বছরের একটা শর্টটাইম প্লান করে ফেলে। যার কারনে বিএনপিতে যোগ দিয়ে বামরা একসময়ের মুসলিম লীগের ঘোরতর শত্রু হওয়া স্বত্ত্বেও একই টেবিলে বসতে দ্বিধা করেনি!! খেয়াল করেছেন ১৯৪৭ সালের মুসলিম লীগের ফিলোসফির সাথে এক হতে না পারার কারনে ১৯৭১ ঘটাতে বামরা গুরুত্বপূর্ন রুল প্লে করে আর সেই বামরাই ১৯৭৫ পরবর্তীতে বিএনপির ভিতরে সেই পূর্বশত্রু সাবেক মুসলিম লীগের সাথে নীরবে পাশে বসে বসে প্রেম করেছে।
কেন বামদের এই সেক্রিফাইস???
বামরা বরাবরই মিশনারী। তাদের কার্যক্রমকে সহজে কেন সংশ্লিষ্টরা বিশ্বাস করে সেটাই সারপ্রাইজিং। এন্টি ডানকে একটা আমব্রেলায় এনে বিবেচনা করলে এভাবে ক্যাটাগরাইজ করে বলতে হয়
১. পিউর বাম যারা তাদের মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
২. ছিটকে পড়া বাম যারা তাদের কেন্দ্রের সাথে কানেক্টেড থাকছে আবার পিউর বামের বাইরে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট মিশনের আওতাধীন থেকে বাম আন্দোলনের পক্ষে এরা গুরুত্বপূর্ন রোল প্লেলে করছে। এরা বিএনপির ভিতরে থেকে বিএনপি নিয়ন্ত্রন করছে এবং বিএনপিকে ইসলাম ঘেষা হওয়া থেকে বিরত রাখছে। কাছে থেকে যেভাবে ক্ষতিটা করা যায় সেভাবে তো দুরে থেকে করা যায়না।আরেক গ্রুপ ভর করেছে আলীগের উপরে। আমি আলীগকে কট্টর ইসলাম বিরোধী ভাবতে অভ্যস্থ নই। হতে পারে তারা মোট মনোভাবের ২০% ইসলাম বিরোধী।ন্যাচারালী ৮০% ইসলামের পক্ষে। বর্তমানে তাদের উপর বাম ভর করায় তারা ৬০% ইসলাম বিরোধী হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সাথে আলীগের বর্তমান বিরোধটা তাই ৪০% রাজনৈতিক আর ৬০% ইসলাম । জামায়াতে ইসলামী বা জামায়াত চিন্তাধারার কেউ যদি আলীগের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলত তবে আলীগ জামায়াত বিরোধটা দৃশ্যমানভাবেই কমে যেত কারন বিষয়টা অনেকটাই রাজনৈতিক।বামরা আলীগের সাথে থেকে বামকেন্দ্রকে পুষ্ট করছে। বামদল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে কিনা এর চেয়েও বড় কথা হল বাম আদর্শের প্রতিফলন আইন প্রনয়ন থেকে শুরু করে সব জায়গায় অনুরনিত হচ্ছে কিনা! তাই বামরা গড়ে তুলেছে অসংখ্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক সামজিক সংগঠন ও মিডিয়া। শিবিরের কিছু পোলাপাইনকে দেখলাম ছাত্রলীগের নষ্ট হয়ে যাওয়াটাকে উপভোগ্য মনে করতে। আমার আবার সহজে সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়ার মত বুদ্ধি নেই। ছাত্রলীগের নষ্ট হয়ে যাওয়াটা মনে করি একটা বাম পরিকল্পনা। কারন বুর্জোয়া ছাত্রদল ছাত্রলীগ ধ্বংস হয়ে গেলে বামদেরই লাভ। কারন যুব শক্তির স্বাভাবিক ন্যাচার হচ্ছে শৃংখলিত না থাকা সুতরাং তারা ধর্মের শৃংখলেও থাকতে চাইবেনা। (মোটিভেটেড করে রাখলে ভিন্ন ব্যাপার। বামরা এটাকেই বাম আদর্শে ব্রেন ওয়াশড হয়ে ব্রেন ওয়াশড শিবির বলে চালায়।) ছাত্রলীগ ছাত্রদলের শূন্যতার সুযোগে তারা শিবির কার্যক্রমের বিপরীতে বাম আদর্শের মার্কেটিং করতে পারার ফিল্ড পায়। আার শিবিরময় ধারনাকে দুর্বল করার জন্যে বাংলাদেশের প্রাইমারী স্কুলগুলোকে নারী টিচার দেয়া হয়েছে। প্রাইমারী শিক্ষা থেকে শিশুর উপর নারীর মনোস্তাত্ত্বিক প্রভাব গড়ে উঠা বাম আদর্শের জন্যে খারাপ না। যদিও প্রাইমারী স্কুলে নারী টিচারকে আমি পজিটিভলি দেখি কারন মায়ের প্রভাবে শিশুরা ভাল বেড়ে উঠে আর নারী টিচারদেরও আমি ইফিশিয়েন্ট মনে করি প্রাইমারী শিক্ষার জন্যে। আর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী নারী নিজের জন্যে ও সমাজের জন্যে কল্যানকর। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। সিংহভাগ ইসলামপন্থীরা নারী কর্মসংস্থানকে পজিটিভলি দেখেনা বিভিন্ন ইনইফিশিয়েন্ট যুক্তি দেখিয়ে। এই জায়গাটাতে হবে কি একজন নারী টিচারের আওতাধীনে বড় হওয়া ছাত্রছাত্রী কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে অশৃংখলিত থাকার প্রবনতা সম্পন্ন বয়সে ইসলামপন্থীদের খোড়া যুক্তির বিপরীতে ছোটকাল থেকে মননে গেঁথে যাওয়া বা সহনীয় হয়ে যাওয়া নারী প্রতিচ্ছবির প্রতিফলনে কাছাকাছি বয়সের তরুনীকে কাছে টানবে শক্তিশালি উদার ইসলামী নারী আন্দোলনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আর সাথে সাথে মিডিয়ার উৎসাহে ও রাষ্টীয় নিশ্চুপতায় অইসলামী কালচারে অভ্যস্ত হয়ে বুজোর্য়া মানস নিয়ে বাম চিন্তা চেতনার সাতে কানেক্টেড থাকবে। শিবির ও বামের মধ্যবর্তী জায়গায় এখানে ধ্বংসপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল বামদের জন্যে বাম আদর্শের মার্কেটিং এর জন্যে সহনীয় ফিল্ড তৈরী করে।
আর শিবির চেতনা ঠেকানোর জন্যে ছাত্রলীগ দিয়ে যতটুকু পারা যায় বাকীটা ঠেকানো হয় একক বাম আধিপত্য করা মিডিয়া দিয়ে, জাফর স্যারদের মত লেখক দিয়ে, অসংখ্য কালচারাল সংগঠনের মাধ্যমে, ব্রাক স্টাইলে অসংখ্য এনজিও দিয়ে, বিএনপির ভিতরের বাম দিয়ে, আলীগের ভিতরের বাম দিয়ে, চারুকলা দিয়ে।
আর এখানেই কৌশলের যুদ্ধে হেরে যায় ইসলামপন্থীরা। ছাড় দিলেই গেল গেল রবের বিলাপ ধ্বনি। আর কাদের মোল্লার ফাঁসি যখন বারবার পকেটস্থ হয় তখন শোকে কাতর হয়ে যায়। পরাজয় গায়ে সয়ে গেলে পরাজয় বারবার পকেটস্থ হতে থাকে। যুদ্ধের ময়দানে নীতি গুরুত্বপূর্ন নয় জয়টাই মূখ্য।
শিবিরের বিরুদ্ধে বামনীতি ফলো করে ছাত্রলীগ ছাত্রদল সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজ কর্মী ঢুকিয়ে দেয়ার যে অভিযোগ করা হয় বাস্তবিক পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই যে শিবির তার দায়িত্বশীল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে জনশক্তির কাউকেই মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্যের আমব্রেলার ভিতরে ধরে রাখতে পারেনাই। কারন দুটি ১. মানের মুল জনশক্তিকে না ছাড়া ২. পরে যথাযথ কঠিন তদারকি না করা।
বিএনপি যদি জামাতের অপ্রয়োজনীয় বন্ধু হয়েই থাকে জামায়াতের উচিত ছিল আলীগের সাথে নেগোশিয়েশানের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিরোধের নিষ্পত্তি করা। কোন কমিটমেন্ট না নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবী হয়ে যাওয়াটা ৭১ এ দেখা গেছে কারন তারা পাকবাহিনী ও পাক সরকার থেকে কোন কমিটমেন্ট নেয়নি যে পরাজিত হলে কি হবে! ঠিকই পাকবাহিনী তার ৯৩ হাজার সেনা ও ১৯৫ যুদ্ধপরাধীকে সেইভ করেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সহযোগী ৯১ এর বিএনপি থেকেও পূর্বে কোন কমিটমেন্ট নেয়নি জামায়াত। ১৯৯৬ এর কেয়ারটেকার সরকারের জন্যে আন্দোলন সহযোগী আলীগ থেকেও কোন পূর্ব কমিটমেন্ট নেয়নি জামায়াত। নেয়নি কমিটমেন্ট ২০০১ এর বিএনপি সরকার থেকেও । প্রশ্ন করেনি ২০০৮ নির্বাচনে পরাজিত হলে কি হবে? ওভার কনফিডেন্সের দল জামায়াতে ইসলামী শুধু জয়টাই ভেবে রাখে ... সেলুকাস.... কুরআন হাদীসের রেফারেন্সে নিজেদের সিদ্ধান্ত ডিফেন্ড করতে তারা পারবেন। কিন্তু নিরপেক্ষ তাত্ত্বিকরা জামায়াতে ইসলামীর অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত ডিফেন্ড করার জন্যে দেয়া কুরআন হাদীসের রেফারেন্সকে মূল্যয়ন করে এই ভাবে যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর উপর খন্ডিত ফিলোসফি প্রবল হয়েছে। যেমন আপনি পড়লেন..."লাইন শাকারতুম লাআজিদান্নাকুম" শোকর কর বাড়িয়ে দেব। কিন্তু এটার সাথে আপনার মননের উপর যদি এই আয়াতটাও প্রবল না হয় "আল্লাহ সে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেননা যতক্ষননা নিজে সে জাতি পরিবর্তন করে। " তাহলে আপনি রাইট ট্র্যাক ধরে আগাতে পারবেননা।
জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কৌশলের অংশ হিসেবে কিছুদিন বিদেশ গিয়ে থাকতে পারতেন। এক আইনজীবীর করা এই প্রস্তাবটিকে তারা হাস্যস্পদের সাথে তুলোধুনো করেছে।
আওয়ামীলীগ-জামায়াতের এই রাজনৈতিক বিরোধটি শেষ করার জন্যে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের মাধ্যমে আলীগ জামায়াত কে প্রপোজ করেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রীতিতে জামায়াত সেই প্রপোজাল গ্রহন করেনি। এখন দেখার বিষয় হল বিএনপি জামায়াতের জন্যে কি করে। অতি আত্ববিশ্বাসী জামায়াত নেগোশিয়েশানে না যাক সেটাই চেয়েছে বাম আর বিএনপি আলীগের ভিতরের বামরা। এই বিশ্বাস আমার মধ্যে আরো দৃঢ় হয়েছে এই কারনে যে আলী আহসান মুজাহিদের সাথে বিরোধের জের ধরে সাবেক মুসলিম লীগার চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুপ, সাবেক বাম তরিকুল ইসলামরা যখন তাদের অধীনস্থদের ডেকে আন্দোলনে নিরুৎসাহিত করে (তথ্যঃ বন্ধু থেকে পাওয়া)। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা মীর নাসির,আমীর খসরু, ডাঃ শাহাদাতরা পালিয়ে বেড়ায় আর সাবেক বাম আবদুল্লাহ আল নোমানরা টকশো করে বেড়ায়। ব্যারিস্টার মওদুদ, হান্নান শাহরা ভিতরে কিন্তু সাবেক বাম শমসের মুবিন চৌধুরী, নজরুল ইসলামরা দোর্দন্ড প্রতাপে বাইরে। সেনাকুঞ্জে মির্জা ফকরুলরা যখন সুরঞ্জিত, ইনু, নাহিদ এর পাশে দাড়িয়ে দাত কেলিয়ে হাসে তখন বামনিয়ন্ত্রিত এন্টি ডান আমব্রেলা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
জামায়াত যেভাবে চিন্তা করে বিএনপি ভ্যানিশ হলে কি হবে? ঠিক তেমনি বিএনপিও মনে করে জামায়াত ভ্যানিশ হয়ে গেলে তাদের নেতা কর্মী বিএনপি না পেলেও আলীগ বিরোধি ফ্রন্টের কিছু ভোট তো বিএনপি পাবেই।
জামায়াতের উচিত এই মূহুর্তে দলীয় এজেন্ডা বাদ রেখে সরকার পতনের জন্যে খালেদা জিয়াকে সহায়তা দেয়া। প্রয়োজনে বিএনপি আলীগের উপর জামায়াত বাম টেকনিক এপ্লাই করে দেখতে পারে।
মনে রাখতে হবে জামায়াতের মুল বিরোধটা কিন্তু বামদের সাথেই।
আর আওয়ামীলীগের অভিনয়টাকে উপভোগ্য মনে হয়েছে বরাবরই। কারন মিথ্যা দিয়ে হোক ...অভিনয় করেই হোক তারা ফিল্ড ঘুরাতে পারে।
চাইলে আলীগকে বাম ও ভারতের খপ্পর থেকে বের হয়ে আসার জন্যে জামায়াত সহযোগিতা দিতে পারে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আলীগের কাছে অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট চাইতে পারে যে মুক্তিযুদ্ধের বা স্বাধীনতার বা দেশের পক্ষে থাকতে হলে কি কি করতে হবে। এই স্টেটমেন্ট হবে দেশবাসীর চোখের সামনে একদম খোলাখুলি। তখন কিন্তু খেলার বল জামায়াতের ঘরে চলে আসতে পারে।
[b]জামায়াতের ভিতরের একজন দক্ষ রাজনৈতিক খেলোয়াড়ই জামায়াতকে বাচিয়ে দিতে পারে। [/b]তরুনদের হতাশ করে বলতে চাই বাস্তবিক ব্যাপার হল চিন্তার বৃত্তাবন্দীতে থাকা ও আনুগত্যের কঠিন শিকলে থাকা এই ভাল মানুষগুলো হয়ত দক্ষ খেলোয়ার হতে পারবেননা।
আরেকটি বিষয় আশ্চর্য্যের তা হল জামায়াতের মুরুব্বীরা ছোট পোলাপাইনের দল শিবিরের দিকেই তাকিয়ে থাকে। শিবির হল হাড় ও শরীর নরম টাইপের শিক্ষিত সৎ মেধাবী পোলাপাইনের একটা সংগঠন। এই সংগঠনটির উপর অতি নির্ভরতা একটু বেশী হয়ে যায়না? শিবিরের একটাই সম্পদ ঈমানের বলে বলীয়ান সাহসিকতা। কিন্তু সংগ্রামমুখী শিবির দীর্ঘমেয়াদে এই ভূখন্ডে মুসলিম জাতির ভয়াবহ পরাজয় ঢেকে আনবে কারন দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ে জ্ঞানই টিকে থাকবে। সংগ্রাম জ্ঞান অর্জন বাধাগ্রস্থ করে। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যে বাম জনশক্তি অসংগ্রাম পরিবেশে বড় হচ্ছে এই গুলো কিভাবে ঠেকানো যাবে আল্লাহ মালুম.... ওহীর জ্ঞানকে চৌকস করে রিপ্রেজেন্ট করে বৈষয়িক জ্ঞান। নৈতিক শক্তি আর বৈষয়িক শক্তি দুর্বল হয়ে গেলে বটগাছের শিকর উপড়ে যেতে দেরী লাগবেনা।
এখন ঠিক করা যেতে পারে কি কি কুরবানী দেবেন।
১. আত্বসম্মান বলী দিয়ে আলীগের সাথে নেগোশিয়েশান করা। বাঙ্গালী জাতি সব ভুলে যায় কিন্তু।
২. সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে কুরবানী দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া। পরে আবার অফেন্সিভ খেলা।
৩. ফাইট করে সবাইকে নিয়ে শেষ হয়ে যাওয়া।
৪. বিএনপির ভিতরে ১০% জনশক্তি বিলিয়ে দিয়ে বিএনপিকে বাচিয়ে রেখে আলীগের পতন ত্বরান্নিত করা।
৫. বিএনপির সাবস্টিটিউট আরেকটি বিরোধী দল করা।
সময়ের একফোড় অসময়ের দশফোঁড়।
ওয়াল্লাহু আ'লাম।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন