শিবির তুমি আমাকে আর কান্দাইওনা ...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৯:১৮ দুপুর
(৩য়/শেষ অংশ)------------------------------
শহীদ আব্দুল্লাহ ওমর নাসিফ শাহাদত এর শাহাদাত
কেন্দ্রঘোষিত ১৮ দলীয় জোটের মহসমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য ২ মে ২০১৩ শাহাদাত ভাই ঢাকার মিরপুরে বন্ধুর বাসায় ওঠেন। ৪ মে সমাবেশে যাওয়ার সময় মিরপুরের রাস্তা থেকে সাদা পোষাকধারী র্যাবের গোয়েন্দা দল শাহাদাতকে তুলে নিয়ে যায় এবং ৭ দিন গুম করে রেখে প্রচন্ড নির্যাতন করে। এরপর ১১ মে দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে নিয়ে গিয়ে র্যাব-৫ ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত হবার আগের দিন ১০ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহাদাত রাজশাহীতে র্যাব-৫ এর হেফাজতে আছে জানতে পেরে শাহীদের বাবা-মা সেদিন দুপুর দুইটার দিকে র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে ছুটে যান। তাঁরা র্যাবের কর্মকর্তাদের কাছে সন্তানকে ফেরত অথবা সাক্ষাতের জন্য অনেক আকুতি-মিনতি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর ১১ মে রাত তিনটার দিকে কাজলা রেডিও সেন্টার মাঠে র্যাব তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহাদাতকে র্যাবের টহল গাড়িতে কওে চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এসময় শাহাদাত অচেতন ছিলেন, তাঁর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। টহল ভ্যান থেকে শাহাদাতকে নামিয়ে টেনে হিচঁড়ে রেডিও সেন্টার মাঠে নেওয়া হয়, এরপর আমরা পরপর ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই।” গুলিতে শাহাদাতের ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়, ডান পা ভেঙ্গে যায়, বুকে দুইটি, পেটে একটি এবং পিঠে একটি গুলির চিহ্ন ছিল। যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, খুব কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে।
গুম করা হল ৩ জন (তাজাম্মুল, আজিজ ও সালাম) মেধাবী শিবির নেতাকে ঃ
১৫ জুন‘১৩ যখন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সহ সারা দেশে ৪টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগন যখন আওয়ামী লীগকে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে পরাজিত করল। রাবি সহ সারা দেশ যখন আনন্দে আত্মহারা ঠিক সেই মুহুর্তে গুম করা হল রাবির ৩ মেধাবী শিবির নেতাকে। ২৩ জুন সংগঠনের কাজে রাজশাহী হতে ঢাকা যায় রাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক তাজাম্মুল আলী, ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আজিজুর রহমান ও হবিবুর রহমান হল সভাপতি ইসমাইল হোসেন। পরের দিন ২৪ জুন বিকাল ৫টায় শাহাজাদপুরের পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে কাজ শেষে বের হওয়ার সময় ইউনিভার্সিটির গেট থেকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাজাম্মুল ও আজিজকে গ্রেফতার কওে র্যাব সদস্যরা। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে ২৬ জুন তাদের সন্ধানে রাজশাহী থেকে ঢাকা ছুটে যান রাবির ছাত্রকল্যান সম্পাদক আব্দুস সালাম ও আইন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। ২৬ শে জুন সন্ধ্যা ৭টায় গুলশান থানায় নিখোজ তাজাম্মুল ও আজিজ ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে জিডি করে বের হওয়ার পথে থানার গেট থেকে গ্রেফতার করা হয় রাবি ছাত্রকল্যান সম্পাদক আব্দুস সালাম ও ঢাকার ভাটারা থানা সভাপতি নুরুল আমিনকে। তারপর যথারীতি তারাও নিখোজ হয়ে যায়। এরপর নিখোজদের সন্ধান ও মুক্তির দাবীতে পরিবার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার সংবাদ সন্মেলন, মানববন্ধন, মিছিল-সমাবেশ ও হরতাল সহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন, মানবাধীকার সংস্থা ও বিদেশী দুতাবাস গুলোর মাধ্যমে সরকারকে অনুরোধ ও চাপপ্রয়োগ, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদেও সাথে যোগাযোগ সহ বিভিন্ন কর্মপন্থা অবলম্বনের ফলে এবং আল্লাহ পাকের খাস মেহেরবানীতে অবশেষে নিখোজের ৪৩ দিন পর ৮ই আগস্ট ঢাকার ধামরাই থেকে উদ্ধার করা হয় রাবি ছাত্রকল্যান সম্পাদক আব্দুস সালাম ও ঢাকার ভাটারা থানা সভাপতি নুরুল আমিনকে। এর মাস খানেক পর ১৯ শে সেপ্টেম্বর ঢাকার ধামরাই থেকে রাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক তাজাম্মুল আলীকে এবং গাজীপুর-ময়মনসিংহ রোড থেকে ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আজিজুর রহমানকে নিখোজের ৮৭ দিন পর উদ্ধার করা হয়। বন্দি অবস্থায় তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্টিম রোলার। সারাক্ষন হাত-পা চোখ-মুখ বেধে ফেলে রাখা হত পশুর মত। নির্মম নির্যাতনের ভয়াবহতায় আজো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিওে আসতে পারেনি প্রিয় সেই সাথীরা।
শহীদ রাশিদুল হক রান্টুর শাহাদত
২৬ অক্টোবর ২০১৩ রোজ শনিবার বিকাল ৪.৩০ টায় কেন্দ্র ঘষিত ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য মিছিল নিয়ে শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে পৌঁছলে পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোষাকধারী সন্ত্রাসীদের ভারী আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭ রাইফেলের গুলিতে আহত হন শহীদ রাশিদুল হক রান্টু, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য সম্পাদক আরিফুর রহমান, জিয়া হলের সেক্রেটারী সালাম, অভি, নুর, জনি সহ অর্ধ শতাধিক শিবির নেতা-কর্মী। সেখান থেকে জরুরী ভাবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কয়েক মিনিট পরেই শাহাদত বরন করেন রাশিদুল হক রান্টু। চলে যান আমাদেরকে শোকের সাগরে ডুবিয়ে দিয়ে। এদিকে শহীদের লাশ নিয়ে শুরু হয় নতুন নাটক। এই নির্মম হত্যাকা- র্যাব-পুলিশ ভীত করে তুলে, ফলে তারা প্রথমে এই হত্যাকা-কে হার্টএ্যাটাকে মারা গেছে বলে রিপোর্ট দিতে ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তারকে চাপ দেয়। ডাক্তার এতে রাজি না হলে নিজেদের অস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেয়। ডাক্তার এতেও রাজি না হয়ে সঠিক রিপোর্ট দিতে চাইলে তাকে রামেক অধ্যক্ষ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক সব শেষে পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত প্রায় ৪০ ঘণ্টা ঘুরতে হয়। শেষে সঠিক প্রোটকল ছাড়াই ডক্তারকে বাধ্য করা হয় পোস্টমর্টেম করতে। অবশেষে পোস্টমর্টেম শেষ করে শহীদের লাশ নিজ বাড়ীতে পৌঁছায় শহীদ হওয়ার ২ দিন পর ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টায়। এরপর বিকাল ৪ টায় খোঁজাপুর গোরস্থান ময়দানে শহিদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় এবং হাজার হাজার জনতার ঢলে জানাজা শেষ করে শহীদকে সেখানে দাফন করা হয়।
এ জুলুম কি থামবে না কখনো? (ধারাবাহিক নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ)
আওয়ামী ষড়যন্ত্রের জের আজও টানতে হচ্ছে শিবির নেতা কর্মীদের। মামলা ও পুলিশি রিমান্ডের নির্যাতনের ফলে ছাত্রজীবন অসমাপ্ত রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় হতে ঝরে পড়তে হয়েছে সুমন গাজী, মাসুম, আ.আহাদ, মুজাহিদ, আনিসসহ অনেককে। রিমান্ডের ফলে জীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলেছেন রাবি শিবিরের তৎকালীন সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, ইকরাম, রাইজুল, লিটন, হুমায়ুন, ত্বোহা, হাবিব, ফারুক, মোস্তাফিজ, মোস্তফা, অমিতসহ অনেকেই। ১৫ জানুয়ারি ’১০ মিথ্যা মামলায় তৎকালীন মুজিব হল সভাপতি শাহ নেওয়াজ ইফতেখার সচ্ছকে পুলিশ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে। প্রায় দুই বছর কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। ২৭ ফেব্রুয়ারি ’১০ পুলিশী হয়রানির কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগ কর্মী ডালিমের নেতৃত্বে এস.এম হলে আমাদের রুম থেকে বই কম্পিউটার সহ সকল মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ৭ জুন ’১০ পরীক্ষা হল থেকে বের করে রাস্তায় শিবির নেতা কর্মীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সশস্ত্র ছাত্রলীগের ক্যাডার এ সময় প্রক্টর ও পুলিশের এস.আই সাখাওয়াত ও মতিহার থানার ওসিসহ প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ দাড়িয়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগ ক্যাডারদের রড় ও হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হন মুজিব হল সভাপতি মো: ফারুক হোসেন সহ বায়োজিদ, আবুল কালাম, হাবিবুল্লাহ, শামীম হোসেন, হাসানুজ্জামান, ইসহাক আলী এবং আব্দুল করিম। ০৯ জুন ’১০ শহরের লক্ষীপুর এলকা থেকে যুবলীগ ক্যাডার রবি ও বোয়ালিয়া এবং রাজপাড়া থানার ওসির নেতৃত্বে গ্রেফতার হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক আনিসুর রহমান ও মুজিব হলের সেক্রেটারী আলী রেজা পরাগ পরে মতিহার থানায় এনে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ২১ জুন ’১০ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাথী শরিফুল ইসলাম কে নির্মম ভাবে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। ২৪ জুন ’১০ পরীক্ষা হল থেকে ধরে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করে সশস্ত্র ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। তাদের আঘাতে আহত হন মহসিন, হাবিবুর, নাজমুল, মেজবাহ, আল মামুন ও রবি। ০২ জুলাই ’১০ রা.বি শাখার সাবেক অফিস সম্পদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সোহেল এম.বি. এ পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রলীগ কাডাররা তার হাত, রড, চাপাতি, দ্বারা হাত, পা ভেঙ্গে মারাত্মক জখম করে। ২৬ আগস্ট ’১০ রাবির পার্শ্ববর্তী কাজলা গেট থেকে শেরে বাংলা হলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম আরিফকে নির্মম ভাবে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করে। ৩ এপ্রিল ’১২ হবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি রুহুল আমিনকে ক্যাম্পাসে একা পেয়ে হলে নিয়ে পায়ের মধ্যে লোহার রড ঢুকিয়ে নির্মম ভাবে আহত করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ রাবি মেডিক্যাল সেন্টারে ফেলে রেখে চলে যায়। ১২ নভেম্বর’১২ রাবির বঙ্গবন্ধু হলে আল-আমিন সহ ৬ জনকে রাত ভর নির্যাতন করে ছাত্রলীগ। ১৯ নভেম্বর’১২ মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে কাল রাত হিসাবে পরিচিত। ওই দিন ১০ জনকে রাতভর নির্যাতন করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। মুখে দাড়ি থাকার কারণে গণিত বিভাগের ছাত্র ফিরোজ আলমকে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী ’১৩ রাবির পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর গেট থেকে তাওহিদকে যুবলীগ ক্যাডাররা নির্মম ভাবে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করে। ০৩ এপ্রিল’১৩ র্যাবের গুলিতে আহত হয় রাবি সমাজসেবা সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন। ১০এপ্রিল’১৩ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রামদা, চাপাতি দিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে আহত করে বোরহান ও আলি হোসেনকে। ১৫এপ্রিল’১৩ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার সম্পাদক মহসিন, আরাফাত, জাহাঙ্গীর, মুহমুদ, পলাশ সহ ৭ জন। তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ০৯ মে ’১৩ রাবির পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর এলকায় যুবলীগ ক্যাডার রবি গুলি করে আহত করে শিবির কর্মী মেরাজকে। ২১ আগস্ট ’১৩ জিয়া হলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুলকে বেধড়ক মারধর করে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ২২ সেপ্টেম্বর’১৩ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে আহত করে মতিহার হল সভাপতি আবু সুফিয়ান ও অনুষদ সেক্রেটারি ইমরানকে। ২৬ সেপ্টেম্বর’১৩ ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সেক্রেটারি প্রিয় ভাই সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, কবির, সায়েম সহ আটজন ভাইকে। গ্রেফতারের পরেই র্যাব হেফাজতে বেধরক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াকে। নির্যাতনের কারণে গ্রেফতারের ৭ ঘন্টার ব্যবধানে করা সংবাদ সম্মেলনে সোজা হয়ে দাড়াতে পারেনি প্রিয় ভাইটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা সহ প্রশাসনের সকল স্থরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরপক্ষ থেকে প্রতিকার তো দুরের কথা কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাদের আচারণে মনে হয় শিবির যারা করে তারা কোন মানুষ নয়। এ জুলুম কি থামবে না কখনো? মনুষত্ব ও বিবেক জাগবে না কখনো?
শহীদি তামান্নায় উজ্জীবিত সাহসী সেনানীরা:
খুনের দরিয়া দেখে নাই কোন ভয়,
সংগ্রাম এনে দেবে আমাদের জয়।
মতিহারের সবুজ চত্বরে কালেমার বিজয় পতাকাকে পুনরায় উড্ডীন করার প্রত্যয় নিয়ে। সাব্বির, হামিদ, নোমানী, শাহীন, শাহাদত ও রাশেদের উত্তরসূরী হিসেবে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে। খালিদ, তারিক, মুসা ও সালাউদ্দীনের মত সাহসীকতা ও হিম্মত বুকে নিয়ে। দুনিয়ার লোভ লালসাকে পেছনে ফেলে পরকালের প্রত্যাশা নিয়ে। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আসুক বাধার পাহাড়, অসংখ্য শহীদের রক্তে ভেজা এই ক্যাম্পাসে ইসলামের বিজয় পতাকা মোরা উড্ডীন করবোই। ইন্শা-আল্লাহ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কবুল করুন। আমীন।
১ম অংশের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rajpoter.soynic/posts/3743249636611
২য় অংশের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/photo.php?fbid=3746367234549&set=a.1094963591115.11904.1737337552&type=1&relevant_count=1
৩য় অংশের লিংক>> https://www.facebook.com/rajpoter.soynic/posts/3753097362798:0
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন