ছাত্রীসংস্থা নিয়ে ব্লগার আবুজারীর ভাই সহ কতিপয় ব্লগার ভাইয়ের কমেন্টের উত্তর।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৪৪:১৪ দুপুর

// জারীর ভাইঃআমাদের দেশের সমাজ সংস্কৃতিই মেয়েদের রাজপথে নামতে দিচ্ছেনা। //

উত্তরঃআমাদের সমাজ সংস্কৃতি মেয়েদেরকে রাজপথে নামতে দিচ্ছে কথাটা সঠিক নয়। বরং অনেক ইসলামপন্থী পর্দার নামে এই কিছুদিন আগেও মাদরাসায় কুরআন হাদীস পড়তে আগ্রহীছাত্রীদের বাধা দিয়েছে। আলীয়া মাদরাসা ও কওমী মাদরাসার দরজাগুলো মেয়েদের জন্যে বন্ধ ছিল। ইসলাম বিরোধীরা নারীদেরকে কনভিন্স করছে দেখেই সম্ভবত মাদরাসার দরজা নারীদের জন্যে খোলা হয়েছে। মন থেকে খোলেছে কিনা আমি নিশ্চিত নই।এখনো ইসলামপন্থী অনেকেই নারী কর্মসংস্থানের বিরোধী ও নারী উচ্চশিক্ষার বিরোধী।

এই ইসলামপন্থী নারীরা শুধু রাজনীতির ব্যানারে ইসলামের কাজ করতে নামতে চায় কেন? যেখানে ন্যাচারেলী মেয়েরা রাজনীতি বিমূখ সেখানে রাজনীতির ব্যানারে ইসলামের কাজ করতে যাওয়ায় এক মস্তবড় মূর্খতা। আপনি বড়জোর রাজনৈতিক ইসলামের সমর্থক বানাতে পারেন। অজনপ্রিয় রাজনীতিতে টেনে আনার কোন দরকারই নেই।

বাংলাদেশের এসিড সন্ত্রাস নিয়ে এই ইসলামপন্থী নারীরা সরব নয়। যৌতুকের বলি হওয়া গৃহ বধুরা এদের চিন্তার বিষয় নয়। বাংলার ঘরে ঘরে উগ্রপুরুষতান্ত্রিক যাতাকলে পুরুষ নির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নির্যাতিত নারীরা এদের বিচলিত করেনা। পতিতা নারীরা এদের চিন্তা থেকে অনেক দুরে কারন তারা জাহান্নামী। পান থেকে চুন খসলেই এদের ঘোর আপত্তি। এমন একপেশে রক্তচক্ষু দেখিয়ে ইসলাম প্র্যাকটিসের চিন্তাধারাকে ঘৃনায় থুথু দিই। নারীবাদের কার্যকর মোকাবেলায় বর্তমানে কোন ইসলামী নারী সংগঠন মুন্সীয়ানা দেখাতে না পারায় আমি চরম হতাশ ও ক্ষুদ্ধ। আমাদের এত ক্রিটিকেল মেয়ের দরকার নাই। আমাদের দরকার জাস্ট স্কার্ফ পরবে আর ফরজ হারাম মানবে আর ইসলামী রাজনীতির সমর্থক মেয়ে।

//জারীর ভাইঃতেমন পরিবেশও হয়নি।//

উত্তর:

পরিবেশ নিজেদের গড়ে নিতে হয়। কেহ কাউকে অধিকার দেয়না। আপনি কঠিন মতবাদ সামনে নিয়ে আগাবেন আর লোকজন বাধ্য হয়ে গ্রহন করবে তা ভাবাটা বোকামী। আজ নারীদেরকে ইসলামপন্থীদের মুখোমুখী দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনি আছেন দ্বীনের কাজ আর দীলের কাজ নিয়ে। আমি যদি অভিযোগ করি এই ভাবে যে সংগঠনের পদ চলে যাবে ভয়ে ক আর খ কাছে আসছেনা ঠিক কিন্তু 'ক' ঘ এর সাথে আর 'খ' গ এর সাথে সম্পর্ক রাখছে। এভাবে আমরা পিছিয়ে যায় দর্শনগত এবং সিস্টেমগতভাবেই। ক ও খ ইসলামিক মেইল ফিমেইল অরগেনাইজেশন আর গ ও ঘ সেকুলার মেইল ফিমেইল সংগঠন বা পোলাপাইন। কট্টরতা দিয়ে আগানো যায় না। আপনি যখন নেকাবকে ফরজ করে দেবেন বা সেলোয়ার কামিজের রং কে বা প্রিন্টকে বা কারুকাজকে পর্দার অর্ন্তগত করে দেবেন তখন সাধারন মেয়েরা মুখ ফিরিয়ে নেবেই।

ইসলামিক স্কলাররা এখনো আল্লাহ ছাড়া অন্যকেহ ফরজ হারাম রুল জারি করতে পারে কিনা এই রকম বেসিক বিষয়েও একমত হতে পারেননি। রাসুল সাঃ কে তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন বিষয়ে মত পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। বোরকা একটা জনপ্রিয় ইসলামিক পোষাক। কিন্তু কুরআন ইসলাম যেহেতু পর্দার প্রিন্সিপ্যাল বলেছে বোরকার কথা বলেনি সেহেতু সাধারন তরুনীদের উপর একটিমাত্র পোষাক পরিধান চাপিয়ে দিলে তাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বৈরীতা তৈরী করে। গার্মেন্টস এর মাবোনদেরকে গ্রামের ওয়াজ কালামে সারাবছর ধরে ব্যাঙ্গ করতে দেখে দেখে বড় হয়েছি। ইসলামপন্থীরা নিজেরা মেয়েদের জন্যে কোন অর্থনৈতিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি বরং অন্যরা করলেও তার বিরুধিতা করে এসেছে কট্টরভাবেই। মেয়েরা তাই নীরবে ইসলামপন্থীদের এড়িয়ে গেছে। ভ্রুপ্লাক এর মত যে মাসআলা গুলো আছে তা নিয়ে গবেষনা বা আরো ব্যাপক চিন্তাভাবনা করা যায় কিনা ভাবতে হবে। আপনি কুরআন এর রুলস রেগুলেশান চ্যাঞ্জ করার কেহ নন ঠিক আছে কিন্তু অন্য যে বিষয় গুলো কোর ইসলাম বা কুরআনের রুলস বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় তৈরী করেছে তা নিয়ে কেন ভাবা যাবেনা তাই এক বিরাট প্রশ্ন। ইসলামী ল্যাদা পোলাপাইনদের ফ্যানাটিসিজমে ইসলামী গবেষনা বাধাগ্রস্থ হয়েছে কিনা বা ইলম গোপনের মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে কিনা বা কিছু লোকের কাছে বা সাধারন মানুষের কাছে লজ্জায় পড়তে হবে ভেবে ইসলামিক স্কলারগন কোন কোন জায়গায় হেকমতী চুপ থাকেন কিনা সেটাই এক বিরাট আতংকের বিষয় মনে করছি।

আপনি শুধু বলবেন কামিনের টাকা আর বাপের মীরাসী সম্পত্তি দিয়া বিশাল এক কামের কাম কইরা নারী জাতিরে উল্টাইয়া পাল্টাইয়া সুবিশাল উপকার করেছেন আসলে প্রায়োগিক বিবেচনায় তা বিরাট একটা অশ্বডিম্ব। লোক দেখানে অবৈধ কামিনের টাকা তারা পায়না বা সমাজ (কনে বর পক্ষ) তাদেরকে দিতে দেয়না। আর মীরাসী সম্পত্তি থাকে ভাইদের দখলে। এই ব্যাপারে ইসলামপন্থী পুরুষ ও নারীরা ভয়ানক রকম নীরব।

আর বসন্তের কোকিলের মত বলবেন পরিবেশ নাই। আরে গৎ বাধা সব কথাকে ক্রসফায়ার দিলাম। ঘৃনার বৃষ্টি দিলাম। মেয়েদেরকে কম শিক্ষিত রেখে, অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরশীল রেখে ডমিনেন্ট করার পুরোনো কৌশল মাঠে খাবেনা। আসুন সম যোগ্যতার মেয়েদেরকে ভালবাসার সুতায় কাছে টেনে সহাবস্থান নিশ্চিত করি।

//বৌকে নারীবাদী বানানো //

যে হয় ছোট কালে ন্যাচারালীই হয়। ঘষে মেঝে ম্যাচিউরড বয়সে কিছু বানানো যায়না।বানানো গেলেও তা ব্যতিক্রম। নারীবাদীদেরকে ছোট কালেই রিক্রুট করা হয় এবং প্রয়োজনের খাতিরে ফেইস ভ্যালু বাড়ানো হয় তারপর ইউজ করা হয়। বঞ্চিত বিপদগ্রস্থ হাইকোয়ালিফাইড নারীদের সেবা দিয়ে নিজেদের করে মানে নারীবাদী করে নেয়া হয়। আর এই ইসলামী নারী বাদী বানানোর দায়িত্ব আপনারা ছেলেদের দেননি। সুতরাং ফিউচারে কি হবে এর দায় দায়িত্ব আমি মোটেও নেবনা। আগে আপনার মহিলা ফ্রন্টকে একটু চেঁকে দেখি। এরা এত গন্ডার কেন এটাই আগে বুইঝা লই।

//ছাত্রীসংস্থা রিলেটেড একজনের ইনবক্স বার্তা//

ছাত্রী সংস্থা রিলেটেড একজন বললেন অভ্যন্তরীন পরিবেশ নীরস নয়। আমি সবিনয়ে বলতে চাই আপনি কি মেইন্টেন করছেন এটা আপনার দেখার বিষয়। আমার দেখার বিষয় আপনাকে নিয়ে ইসলাম বিরোধী নয় এমন সাধারন ছাত্রীসমাজ ও সাধারন মানুষের ও সাধারন ছাত্রসমাজের মূল্যয়ন কি!

//Rofiq Haider কে বলছি//

আপনি সবচেয়ে দামী কমেন্টটি করেছেন। যারা আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী তারা আল্লাহর দেয়া বিধানের চেয়ে ভালো বুঝার কথা না। বিশ্বাসই হল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।তবে স্রষ্টা চিন্তাভাবনা করতে বলেছেন। নতুন কিছু না করে এক্সিটিং অরগান ছাত্রীসংস্থার পাছায় লাগা না শুধু এদের বিকলাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গী দুরীকরনে আরো অনেক কিছু করা দরকার। এমন কি কারন ঘটল যে এদেশের ইসলামী আন্দোলনের লোকজনকে ছাত্রীসংস্থার উপর প্রীত মুগ্ধ হয়ে যেতে হবে? এদের ফেইল মার্ক ই আমাদের ক্ষুদ্ধ করে তুলেছে।

//পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের স্থানীয় সংস্কৃতির যতটুকুন অংশ আল্লাহর বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না ততটুকুনই কেবল সারা পৃথিবীর মুসলমানের জন্যে প্রযোজ্য। //

সারা পৃথিবীর না ঐ অঞ্চলের মুসলমানদের জন্যে প্রযোজ্য। ভূখন্ডগত রুচি একটু আলাদা হয়। ইসলাম এতে বাধ সাধেনা। কিন্তু যারা দায়ী তারা যদি হাত মোজা পা মোজা পরে ঘুরে বেড়ায় আর দাওয়াত দেয় তখন পরিবর্তিত সমাজে সাধারন ছাত্রীরা একটু ভীত হতেই পারে।

//আপনি শ্বশুর-শ্বাশুড়ি-দেবর-ননদের কথা উল্লেখ করেছেন। শুধু এটুকুই বলতে চাই, আপনার বাবা-মা'র খেদমত করা আপনার উপর ওয়াজিব আপনার বৌএর উপরে নয়। আপনার বউ যার ঔরসে কিংবা গর্ভে এ দুনিয়ায় এসেছে তাদের খেদমত করা আপনার বৌয়ের জন্যে ওয়াজিব।আপনার মাতার পায়ের নিচে আপনার জান্নাত, আপনার বৌয়ের নয়! বউ খুশি মনে আপনার পিতা-মাতার জন্যে যতটুকুনই করবে সেটি শুধু 'ইহসান' হিসেবে পরিগণিত হবে। আপনি শুধু আপনার বৌকে বেশি বেশি 'ইহসান' পূর্ণ কাজের পরামর্শ/উপদেশ দিতে পারেন, এর বেশি কিছু নয়। নিজের দায়িত্ব সক্ষম থাকা অবস্থায় আরেকজন দিয়ে পালন করালে তাতে দায়িত্ব আদায় হয়না বরং সেটি হয় দায়িত্ব থেকে পালানো। //

আমি প্রথা ভাংতে মোটেই ইচ্ছুক নই। যেখানে রাসুল সাঃ তার সময়কার সংস্কৃতির অনেক কিছুই গ্রহন করেছেন সেখানে আমি কুরআন বিরোধী নয় এমন প্রথার বিরোধী নই মোটেই। আমি যদি মানবিকতার প্রশ্ন তুলি, আমি যদি ছোটদের স্নেহ এবং বড়দের সম্মান না করলে রাসুলের সাঃ এর উম্মত ভূক্ত নয় বলে হাদীসের কথা বলি, আমি যদি ইসলামের প্রতিবেশীর হক্ব নিয়ে বলি তবে আপনার স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গী ধোপে ঠিকেনা। এই সমাজ ইসলামের নামে এমন প্রথা বিরোধী অজনপ্রিয় স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গী মেনে নিবেনা। অন্য পরিবারের মেয়ে যদি আপনার বাড়িতে এসে দায়িত্ব পালন না করে তবে আপনার বোনও অন্যের বাড়িতে গিয়ে দায়িত্ব পালন করবেনা। এভাবে সমাজের প্রথা ভাঙ্গলে সমাজ ইনসিকিউরড হয়ে যাবে। ইসলাম এমন অবিবেচক সুলভ হতে বলে কিনা আমার জানা নেই। মেয়েরাই পরিবারের নিউক্লিয়াস। সে দায়িত্বপালন করবে বিধায় শ্বশুর- পুত্রবধু সম্পর্ক মুহরিম করা হয়েছে। ইসলামের প্রত্যেকটি রুলসই ব্যালান্স। সুতরাং আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গীকে ইফিশিয়েন্ট বলে মেনে নেয়ার কোন কারন দেখছিনা। অফটপিক:আমার মা'য়ের ভাই নাই বিধায় আমার আব্বাকে দেখতেছি আজীবন শ্বশুরবাড়ির সেবা করে আসতে। আমার নানুমনির সকল মেয়ে জামাই আমার নানুর প্রতি যত্নবান।

//হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি //

শুধু মাত্র যে আচার হিন্দুধর্মের অংশ সে গুলো ছাড়া অন্য আচার গুলো যা কুরআন বিরোধী নয় তা গ্রহন করতে কোন দোষ দেখিনা।

ছাত্রী সংস্থা নিয়ে কথা বলা ইসলামিক মুভমেন্টের জন্যে গুরুত্বপূর্ন ও বড় ইস্যু। একে হালকা করে দেখার কোনভাবেই সুযোগ নেই। আর এই টপিকসে আমার ব্যক্তিগত লাভ জড়িত নেই। এখানে উম্মাহর স্বার্থ জড়িত। সুতরাং উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে যে যেই ধারনা করুকনা কেন কথা বলে যেতেই হবে। আমার মান সম্মান চুলায় যাক, আমার স্বার্থ চুলায় যাক তবুও ইসলাম তুমি বেচে থাক। আমাকে আজ না বুঝলেও চলবে। যে দিন তুমি ল্যাংড়াতে ল্যাংড়াতে খাদে পড়ে যাবা অন্তত এই লোকমান সেদিন কান্না মিশ্রিত আকুতি নিয়ে বলতে পারবে আমি বলেছিলাম...আমি বলেছিলাম...। তবে সে দিনও তোমাকে বুকে তুলে নেব। ফেলে যাবনা। জাতির অর্ধেক নারী। বিরোধীরা এই নারীদের গ্রাস করতে পারলেই কেল্লাফতে । আর দুই একজন লুইচ্চা চেলাচামুন্ডা তাদের পাশে ঘুরঘুর করার জন্যে এমনিতেই পাওয়া যাবে। এভাবে ইসলামিস্টরা পিছিয়ে যাবে।

আসুন একটু সহজ হয় আর এই পৃথিবীটাকে শাসন করি খোদায়ী বিধান দিয়ে। চারদিকে উড়ুক কালিমার পতাকা। আলা লাহুল খালক্ ওয়াল আমরু। সৃষ্টি যার আইন চলবে তার।

সম্মানীয়,

Mohammad Ahsanul Haque Arif vi

আপনি বললেন

(একটি বিষয় মনে রাখুন, জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং ছাত্রীসংস্থা এই তিনটির মাঝে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী কঠোরতা আরোপ করেছে এবং অযুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত ছাত্রীসংস্থা। আর ছাত্রীসংস্থা তাই পিছিয়ে আছে সবচেয়ে বেশী। ইসলামী বিপ্লবের কান্ডারী হিসেবে এই ব্যাপারে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। ছাত্রীসংস্থা অচিরেই ইনশাআল্লাহ এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু যত দেরী হচ্ছে ততই অসংখ্য মানবসন্তান ইসলামের পথে আসা বিলম্বিত হচ্ছে।)

আর আমি বলি কি এই সংগঠন একটি বিকলাঙ্গ চিন্তাধারার সংগঠন। আপনি শিবিরের হাতে পায়ে ধরলে শিবিরকে একটা বৈঠকেই চ্যাঞ্জ করা সম্ভব। জামায়াতে ইসলামীর পায়ে পড়লে একবছরে এটারে একটা ধাক্কা দিতে পারবেন। কিন্তু ছাত্রী সংস্থা?

এটা একটা আস্ত হোল। প্রতিটি পরতে পরতে তাদের বিকলাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গী । এইটারে নিয়ে আপনি আগাতে পারবেননা। আপনাকে যদি উচ্ছ্বল, চঞ্চল, তারুন্যের উন্মাদনায় উন্মাতাল, হাস্যজ্জল, সৃজনশীল, স্বপ্নের বাজনার নৃত্যতালে লাস্যময়ী ছাত্রীসমাজের মন পেতেই হয় তবে আপনাকে নতুন ফ্রন্টের কথা চিন্তা করতেই হবে। যে মেয়েদের কন্ঠে ঝরে পড়ে প্রান জুড়ানো শীতলতা তাদেরকে ওরা তাকওয়ার নামে করতে চায় গম্ভীর। যে উচ্ছ্বলতা বা চঞ্চলতা শিশুপালনের অনেক উপযোগী ও কার্যকরী বা সংসারকে মোহনীয় শক্তি দিয়ে নিউক্লিয়াসের ভূমিকায় আটকে রাখে যে প্রানশক্তি সেখানে তারা ঢুকিয়েছে মিশা-অমিশার আলো আধাারি তত্ত্ব। নিরাপদ কর্মসংস্থান ও নারীবান্ধব কর্মঘন্টা যেখানে দাবী করার কথা ছিল সেখানে তাদের কর্মসূচী নারীকে বন্ধ ঘরে প্রবেশ করানোর জোর প্রচেষ্ঠা। মাথা ব্যাথার জন্যে মাথা কেটে ফেলার মত এরা উচ্চশিক্ষিত হতে চায় না পর্দা তত্ত্ব দিয়ে। নফল নেকাব তাদের ফরজ ড্রেসকোড। অনলাইন তাদের জন্যে নিষিদ্ধ বস্তু। চঞ্চলাহরিনী তরুনীদেরকে ভাবগাম্ভীর্য করার নিরস এক খোয়াড়ে পরিনত হয়েছে ছাত্রীসংস্থা। যে সংগঠন ক্রিটিকেল হতে শেখায়, পর্দার নামে প্রথাবিরোধী ছোট পরিবারকে প্রমোট করে, শশুর শাশুড়ীর সেবা দায়িত্বের আওতা বর্হিভূত মনে করানো, বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য বিরোধী দেবর ননদ শশুরশাশুড়ী মিশ্র ফ্যামিলির কনসেপ্টের বিপক্ষে গোপন দীর্ঘশ্বাস যারা লালন করে এবং সর্বোপরি ইসলামী বিপ্লব করতে এসে যাদের কর্মকান্ডে বিপ্লবের কোন স্ফুরনই যাদের কর্মসুচীতে নেই সে সংগঠন বন্ধ করে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের সাবেক বর্তমান ভাইদের উচিত নব ইসলামী নারী আন্দোলনের সূচনা করা। সমাজের দুইটা পা। একটি নর আরেকটি নারী। দুই পা সমান না থাকলে খুড়িয়েই হাটতে হয়।

বিষয়: বিবিধ

১২৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File