খোলা চোখে বাংলাদেশের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অবদান

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৭:০৬ বিকাল

মৌলিক অবদানঃ

১.পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে দেশের একনিষ্ঠ লড়াকু কর্মী হিসেবে গড়ে তোলাঃ

১৭৫৭ সালে অধিপত্যবাদী ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ দখল করে নেয়ার সাথে সাথে প্রশাসনিক ও অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ইংরেজী চালু করার কারনে আরবী, ফারসী, উর্দু ভাষা জানা হাজার হাজার আলেম (মাওলানা) প্রশাসনিক কাজের যোগ্যতা হারান আধিপত্যবাদীদের ভাষা ইংরেজী না জানার কারনে। তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারা স্কলারগন হয়ে গেলেন অপাংথেয়। তারা অহমিকা, আত্বসম্মানবোধ, দুরদৃষ্টির অভাবে ইংরেজী শিক্ষাকে হারাম বললেন আর পিছিয়ে পড়লেন ৩০০ বছরের জন্য। তিনটি ভাষা রপ্ত করার মত যোগ্যতা সম্পন্নরা হয়ে গেলেন সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগন।হয়ে গেলেন রাজনৈতিক ভাবেও অসচেতন। জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এই পিছিয়ে পড়া চরিত্রবান মানুষগুলোকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে দেশের একনিষ্ঠ লড়াকু কর্মী হিসেবে পুনরায় গড়ে তোলে ব্রিটিশ পরাধীনতার গিনিপিগের দায় থেকে মুক্ত করেছে বাঙ্গালী জাতিকে।

২.ক্ষমতায় না গিয়ে কর্মসংস্থান তৈরী ও চুড়ান্ত সফলতা অর্জনঃ

বাংলাদেশে অন্যতম রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করেছে। বাংলাদেশের ডেভেলাপমেন্টের জন্য মৌলিক কি কাজ করেছে ?

অথচ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, এনজিও, মাইক্রোফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান, মাল্টিপারপাস, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানী, রিয়েলস্টেট কোম্পানী, শিপিং কোম্পানী, ট্রান্সপোর্টে বিনিয়োগ, টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে ও কর্মসংস্থান তৈরী করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ডেভেলেপমেন্টে সুনাম ও সফলতার সাথে কাজ করছে। ইসলামপন্থীদের ইসলামী ব্যাংক আজ ব্যাংক জগতের শীর্ষে অবস্থান করছে।

৩. করাপশান ফ্রি (দুর্নীতি মুক্ত) পেশাদারী প্রতিষ্ঠান তৈরীঃ

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ব্রেইন চাইল্ড ইসলামী ব্যাংক ১০০% করাপশান ফ্রি পেশাদারী প্রতিষ্ঠান। এখানে ইনভেস্টমেন্ট নিতে ঘুষ দিতে হয়না । কর্মকর্তা কর্মচারীরা ১০০% সৎ। বাংলাদেশে এমন করাপশান ফ্রি পেশাদারী প্রতিষ্ঠান কে তৈরী করতে পেরেছে!

করাপশান ফ্রি পেশাদারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারনে এই মাসে (যখন লেখা হয়েছিল) টোটাল ফরেন রেমিটেন্সের ৩৮% ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা ইসলামী ব্যাংককে চরম বিশ্বাস করে ও ইসলামী ব্যাংক সফলতার সাথে সেই আস্থা ধরে রেখে দেশের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী ডেভেলেপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) এর মত প্রতিষ্ঠান ও ইসলামী ব্যাংক এর সাথে বেশী পরিমানে কাজ করতে ইচ্ছুক যে ব্যাংকটি জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বলে আওয়ামীলীগ প্রায় চিৎকার করে উঠে।

৪. ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং জামায়াতে ইসলামীর ব্রেইন চাইল্ডঃ

ইসলামী ব্যাংকিং ও ইসলামী অর্থনীতি জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ব্রেইন চাইল্ড। এই মডেল ওআইসিভূক্ত অনেক ইসলামী দেশে চলছে। সম্প্রতি নাইজেরিয়া সরকারীভাবে আইডিবির পরামর্শে ইসলামী ব্যাংক থেকে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা হায়ার করেছে সে দেশে ইসলামী ব্যাংকিং চালু করার জন্য। সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রঃ) ও মাওলানা আবদুর রহীমের অনবদ্য গবেষনায় এটি সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে ৭ টি পূর্নাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক রয়েছে যা জামায়াত নেতাদেরই চিন্তার সাফল্য। প্রপিট লস শেয়ারিং মেথড পুরোবিশ্বের অর্থনীতির জন্য ত্রানকর্তা বিবেচিত হবে অচিরেই।

৫.তত্তাবধায়ক সরকারের র্ফমূলা দেয়াঃ

একটি মাইক্রো ক্রেডিটের আইডিয়া দিয়ে ও বাস্তবায়ন করে ডঃ ইউনুস সাহেব বাংলাদেশকে নোবেল প্রাইজ এনে দিয়েছেন। ইউনুস সাহেবের যেমন হিলারীরা বন্ধু ঠিক তেমনি অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবেরও যদি পশ্চিমা বন্ধু থাকত তবে তত্তাবধায়ক সরকারের র্ফমূলা দেয়ার জন্য শান্তিতে আরেকটি নোবেল বাংলাদেশ পেত। রাষ্টবিজ্ঞানে অনন্য সংযোজন তত্তাবধায়ক সরকারের র্ফমূলা। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের দুর্যোগপূর্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি দারুন কার্যকরী হয়েছে। তত্তাবধায়ক সরকারের র্ফমূলার আবেদন এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে তীব্রভাবে বিদ্যামান। পৃথিবীর সকল দুর্বল গনতন্ত্রী দেশে তত্তাবধায়ক সরকারের র্ফমূলা আশার পথ দেখাবে অনেক দিন ধরে।

৬.আধিপত্যবাদ বিরোধী জনশক্তি তৈরীঃ

সরকার পরিবর্তন হলে আওয়ামীলীগের সোনার ছেলেদেরকে (ছাত্রলীগ/যুবলীগ) ক্ষমতায় থাকাকালীন করা অপকর্মের কারনে জনরোষের ভয়ে বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে দেখা যায়না ।

কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা পৃথিবীর ইতিহাসের স্মরনকালের ভয়াবহতম নির্যাতন উপেক্ষা করে রাজনৈতিক ময়দানে তীব্রভাবে সক্রিয়। সকল আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অবদান রয়েছে। ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯৬ এর তত্তাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন সহ আধিপত্যবাদী ভারত ও আমেরিকা বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ভূমিকা আছে। আধিপত্যবাদ বিরোধী নয় বিধায় আওয়ামীলীগকে দেশপ্রেমিক জনগন একদমই বিশ্বাস করেনা এবং ভারতের দালাল মনে করে।

৭. আক্ষরিক স্বাধীনতার পরিবর্তে মানসিক স্বাধীনতার উপর গুরুত্বারোপ ও জনসেন্টিমেন্ট তৈরীঃ

জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে একটি অভিযোগ হচ্ছে তারা ১৯৭১ এ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। এই অভিযোগের উত্তরে জামায়াতে ইসলামীর উত্তর হচ্ছে "তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের ভয়ে পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাক তা চাননি" ।

আজকের বাস্তবতায় বাংলাদেশের জনগনকে যদি প্রশ্ন করা হয়

ক. ভারতীয় পন্য ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ?

খ. ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিনেমা ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ?

গ. ভারতের সাথে বানিজ্য ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ ?

ঘ.ভারতের সাথে সামরিক শক্তিতে পারবে বাংলাদেশ?

ঙ.বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ও অবস্থান বাংলাদেশের সাথে ভারতের হবে কি?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে

বেশিরভাগ জনগনের উত্তর হবে না। কি বুঝা গেল? আক্ষরিক স্বাধীনতা লাভ করে মানসিক পরাধীনতার শিকার হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।

ক. ভারতীয় পন্য ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ?

খ. ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিনেমা ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ?

গ.ভারতের সাথে বানিজ্য ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ ?

এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর যদি জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কাছে আপনি খুজেন তাঁরা বলবে অবশ্যই পারবে বাংলাদেশ । ভারতীয় পন্য ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ।

ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিনেমা ছাড়া চলতে পারবে বাংলাদেশ।

ভারতের সাথে বানিজ্য ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারবে বাংলাদেশ । না পারলে প্রাচ্যমুখী বানিজ্যনীতি শুরু করতে হবে।

ঘ.ভারতের সাথে সামরিক শক্তিতে পারবে বাংলাদেশ?

ঙ.বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ও অবস্থান বাংলাদেশের সাথে ভারতের হবে কি?

এই দুটি প্রশ্ন যদি জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে করা হয় তারা উত্তরে বলবে দেশপ্রেমিক জনগনের উপর ভরসা করে আমরা স্বাধীন স্বত্তা নিয়ে বেচে থাকতে চাই। আর এটা প্রমানিত সত্য যে এদেশের মানুষকে যুদ্ধ করে পরাস্ত করার ইতিহাস খুবই কম আছে। জামায়াতে ইসলামী ঘরানার লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গী হল ভারতীয় আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় প্রয়োজনে মুসলিম দেশগুলোর সাথে সামরিক জোট হতে পারে।

মানসিক ভাবে যদি বন্দী থাকেন তবে কখনোই আপনি প্রকৃত স্বাধীন হতে পারবেন না। আগে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে "ইউ কেইন" আপনি পারবেন। তবেই আপনি পারবেন। জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কেহ বিশ্বাস করেনা স্বাধীন পররাষ্টনীতির বাস্তবতার কথা ।

আক্ষরিক স্বাধীনতার পরিবর্তে মানসিক স্বাধীনতার উপর জামায়াতে ইসলামী গুরুত্বারোপ করেছে ও জনসেন্টিমেন্ট তৈরী করেছে।

৮.নৈতিক চরিত্র বিকাশ সাধনের জন্য প্রচুর পরিমান সাহিত্য তৈরী ও অনুবাদঃ

জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিরা নৈতিক চরিত্র বিকাশ সাধনের জন্য প্রচুর পরিমান সাহিত্য রচনা করেছে ও বিদেশী সাহিত্য অনুবাদ করেছে। ইসলামী অধ্যয়নের গুরুত্বপূর্ন রেফারেন্স বই গুলো জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদের।

৯.কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি ফররুখের পর প্রচুর পরিমান ইসলামী গান তৈরীঃ

আজ অসংখ্য নতুন ইসলামী গান আপনি শুনতে পান । কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে এর লেখক, সুরকার এবং প্রকাশক কারা? জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিরা

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি ফররুখ এর পর প্রচুর পরিমান ইসলামী গান দেশের জনগনের খেদমতে পেশ করতে পেরেছে।

দেশগঠনঃ

১. সংগঠন ও দেশ পরিচালনায় একসাথে সকল জনশক্তির মগজ ব্যবহারের ব্যতিক্রম মডেল উপস্থাপনঃ

আওয়ামীলীগ, বিএনপি ক্ষমতায় যায় । তাদের সকল স্তরের জনশক্তি কি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়? অথবা দল পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা কি সকল জনশক্তির মগজ ব্যবহারে সক্ষম?

কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির পরামর্শ ব্যবস্থা রেখে দল পরিচালনায় অনন্য সক্ষমতায় ও সফলতার সাথে প্রত্যকটি জনশক্তির ব্রেইনকে দল ও দেশের জন্য ব্যবহার করছে । একজন তৃনমুল পর্যায়ের কর্মী দলের ও দেশের জন্য কি চিন্তা করছেন ম্যাক্সিমাম এক মাসের মধ্যে দলীয় প্রধানের নিকট রিপোর্ট আকারে মুলবক্তব্যটি পৌছে যায়। এছাড়া কোন সমর্থক কর্মী ইচ্ছা করলে লিখিত বা ফোন করে পরামর্শ যেকোন স্তরের নেতাকে পৌছাতে পারে। দেশ পরিচালনায় এমন সিস্টেম চালু করা গেলে দেশের চেহারা অসম্ভব দ্রুত গতিতে পাল্টাবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

২.প্রচুর পরিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, আদর্শ ও দক্ষ শিক্ষক সমাজ তৈরীঃ

পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজেকে গড়। এই মূল মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে মেধাভিত্তিক দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য জামায়াতে ইসলামী ১০০% শিক্ষিত নেতাকর্মী তৈরী করেছে। যার অধিকাংশ নেতাকর্মীরা উচ্চ শিক্ষিত। শুধু তাই নয় প্রচুর পরিমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, আদর্শ ও দক্ষ শিক্ষক সমাজ তৈরী করেছে। যার সামান্য অবস্থান জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে অবস্থানের জানান দেয়।

৩. সমাজের নৈতিক মোটিভেশনের লক্ষ্যে বাকশক্তি সম্পন্ন অসংখ্য সাহসী ইমাম তৈরী করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির।

৪. অসংখ্য প্রতিভাবান লেখক ও সংস্কৃতি কর্মী তৈরী করেছে। রমজানের সময় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ইসলামী অনুষ্ঠান ও টকশো তার প্রমান বহন করে।

৫.জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এদেশে দেশপ্রেমিক প্রশাসনিক অফিসার তৈরী করেছে । যারা প্রশাসনের ভিতরে সৎ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে পরিচিত। সাবেক এক স্বরাষ্ট সচিব ও ফেনীর সাবেক এক ডিসির কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। জেলখানার ঘুষ খায়না অফিসারদের শিবির মিয়াসাব বলা হয়।

৬. জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিরা এদেশে অসংখ্য হাসপাতাল,ক্লিনিক, দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।

৭. সর্বপর্যায়ের জনশক্তিকে কার্যকরভাবে অধ্যয়নমুখী করা, ক্যরিয়ার সচেতনতা তৈরী, নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাতে পারা ও দেশ গঠনের কাজে লাগিয়ে দেয়া জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এর অন্যতম অবদান। এক রেটিনা (মেডিকেল ভর্তি কোচিং) দিয়েই তো প্রচুর মেধা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের তৈরী করে সরকারী মেডিকেলে সাপ্লাই দিয়েছে ছাত্রশিবির । খ্রিষ্টান মিশনারী শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিদের অবদান সুবিধাভোগীরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করবে।

দলীয় ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে ভূমিকাঃ

১ .জামায়াতে ইসলামী , ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিরা বাংলাদেশে দলীয় কোন্দল মুক্ত সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেছে । বাংলাদেশে বিদ্যামান অন্য দলগুলোতে খুনোখুনি পর্যায়ের দলীয় কোন্দল।

২.জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির তাদের দলীয় পরিবেশে অনুকরনীয় গনতন্ত্র চর্চা করে । বিএনপি ও আওয়ামীলীগে যা নেই।

৩. ১০০% ধুমপানমুক্ত সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির। যা বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো কল্পনা করতে পারেন।

৪. তৃনমূল পর্যায় থেকে নেতা তৈরী ও বাছাই করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বপালনের সুযোগ প্রদান জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এর ক্রেডিট। অন্য দলের নেতা কমীরা যা স্বপ্নে ভাবেন মাত্র।

৫. দলের নেতাদের প্রতি কর্মীদের আস্থা রয়েছে অগাধ। এই দলটি সৎ জনশক্তি তৈরী করতে পেরেছে ও সৎ জনশক্তিগন জনগনের আস্থা অর্জন করেছে। যার কারনে গত ব্যাংকিং বছরে ইসলামী ব্যাংক ৩২ % ফরেন রেমিটেন্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর কে না জানে এই ব্যাংকে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তার চিন্তাভাবনার জনশক্তিরা আছেন।

বাংলাদেশে যদি আওয়ামীলীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আপনি প্রশ্ন করেন তাদের নেতারা কেমন? উত্তরে তারা বলবে "সব ধান্ধাবাজ , চোর ও পেট লীগ" । আর জামায়াতে ইসলামীর সকল সমর্থককে আপনি প্রশ্ন করে দেখেন যে "সাঈদী হুজুর বা অন্য নেতারা কেমন ?" উত্তরে তারা সবাই বলবে উনি বা উনারা খুবই ভাল লোক। কাছের মানুষের সাক্ষ্যই মানুষের ভাল হওয়ার প্রমান বহন করে। তাই নয় কি?

৬.জামায়াতে ইসলামী , ছাত্রশিবির কর্মীদের চাদাঁয় দল পরিচালনা করেন। এমন ত্যাগী মন মানসিকতার নেতাকর্মী তৈরী অন্যরা শুধু স্বপ্নে দেখে চমকে উঠবেন মাত্র।

খুববেশী দুরে নয় এই বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় গিয়ে সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের মদ্যে দিয়ে পলাশীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিবে।

(repost)

বিষয়: বিবিধ

২১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File