আসুন ছাত্রলীগকেও আপন ভাবি।

লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৯:৪৪ রাত

বিবেকবান আলীগ দেখেছি। যারা নীরবে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করলে তো দলের লোকেরা মারবে। নইলে কাদের সিদ্দিকী হয়ে যাবে। গোলাম মাওলা রনি হয়ে যাবে। মুল জায়গা থেকে সততা উৎসাহিত না হলে সততা ধরে রেখে দল করা কঠিন। আওয়ামী টপ ম্যানেজম্যান্ট কাবিলের উত্তরসুরী। এই দলটিতে সৎ লোকরা অস্তিত্ব ঠিকানোর স্বার্থে ক্রমে অসৎ হয়ে যায়। না হলে অসৎ হতে বাধ্য করা হয়। মুজিববাদ প্রতিষ্ঠার তথাকথিত মহান উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে আলীগ বড় নেতা কর্তৃক সন্ত্রাসী হয়ে উঠাটাকে প্রমোট করে করে একজন তরুনকে নিজের মনের অজান্তে সন্ত্রাসী বানানো হয় অথবা কোন মামলায় ফাসিয়ে দিয়ে দলের পিছে পিছে যাতে বাধ্য হয়ে আজীবন ঘুরতে হয় তার ব্যবস্থা করা হয়। একটা এলাকায় একজন দুইজনকে দিয়ে বিরোধী দলের উপর খুন নির্যাতন করে ঐই এলাকার সকল আওয়ামী নেতাকর্মীকে বিরোধী লোকজনের রোষের শিকার করিয়ে বিরোধী পার্টির ভয়ে দলের প্রতি যাতে বাধ্য হয়ে যোগাযোগ রাখে ও দলের সন্ত্রাসী এসাইনমেন্ট বাস্তবায়নে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় উৎসাহিত হয় সে ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রলীগের উঠতি নেতারা যাতে সন্ত্রাসী হিসেবে বিতর্কিত হয়ে যায় সেই আশাই আওয়ামীলীগের নেতারা করে থাকে। কারন ছাত্রলীগ থেকে নেতা উঠলে আওয়ামীলীগের এক্সিসটিং অযোগ্য নেতাদের দলে ঠিকে থাকা কঠিন। তাই যত পার ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী বানাও বিতর্কিত কর আর মনের মাধুরী মিশিয়ে ব্যবহার কর। যখন তরুনরা বুঝে তখন তার জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা হারিয়ে ফেলে। পরিবার আত্বীয় সহ সবার চক্ষুশুল হওয়ার পাশাপাশি সমাজেরও চক্ষুশুল হয়ে যায়। আর এসব বিতর্কিত সন্ত্রাসী তরুননেতারা যাদের খুন করেছে তার স্বজনরা প্রতিশোধের নেশায় প্রফেশনাল কিলারদের ভাড়া করে মারার জন্যে এভাবে একজন ছাত্রলীগ নেতার জীবন দুর্বিসহ থেকে দুর্বিসহ হয়ে উঠে। একদিন নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং বা বিপক্ষ শক্তির হাতে কচি তরুনী স্ত্রীকে বিধবা করে ছোট অবুঝ শিশুটিকে কাদিয়ে মায়ার পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। এ এক অদ্ভূত মরন খেলা। অস্ত্র নারী ড্রাগস তরুনের জীবনের সাথে জড়িয়ে দেয়া হয়। এই তিনটা জিনিষের একটিও অবৈধ ভাবে তরুনরা পেলে শেষ হয়ে যায়। অন্ধ হয়ে যায়। আর এভাবে আওয়ামী পরিবারের ভিতরে একজন আবেগময়ী ছাত্রলীগ নেতার মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটে। আওয়ামীলীগের বাইরে থাকা সৎ ব্যাক্তিরা আওয়ামীলীগের ভিতরের এই সব কান্না শুনতে পায়না। ছাত্রলীগ মানেই খারাপ ভেবে আমরা তাদের দাওয়াত দিইনা। নেতারাই গ্রুপিং উসকে দেয়। একগ্রুপ দিয়ে আরেকগ্রুপকে শাসায়। কথা না শুনলে আরেকগ্রুপ দিয়ে মেরে ফেলে। তাই আর কখনো পাপাচার থেকে বের হতে পারেনা নেতা ও দেশ সেবক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হওয়া ছাত্রলীগের তরুন আবেগময়ী ভাইটি। অসতর্কে জড়িয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের ভাল মনের ছেলেদের দেখার কেউ যেন নেই। আসুন ছাত্রলীগকেও আপন ভাবি। তাদের একটু ভালবাসা দিই। সে ও হয়ে উঠতে পারে অসম্ভব ভালমানুষ। বিড়ালকে গুতা মারলে খামচি মারে আর পিঠে হাত বুলিয়ে দিলে বাধ্য ছেলের মত পাশে বসে বসে লেজ নাড়ায় আর আদুরে মিউ মিউ করে ডেকে উঠে।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File